প্রতি বছর লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হয় এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে। কিন্তু জানেন কি মন্দিরের লুকোনো ইতিহাস।জৈন আদলে তৈরি ৪৫ ফুটের বিশাল এক্তেশ্বরের শিব মন্দির।এই মন্দিরের সঙ্গে মিল রয়েছে জৈন উপাসনা কক্ষের? জৈন আদলেই নাকি তৈরি এই মন্দির, বিশ্বাস ঐতিহাসিকদের।ইতিহাস অনুরাগী সুকুমার বন্দোপাধ্যায় জানান, “জ্যামিতি লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে একটি উচ্চ ভিত্তি ভূমি থেকে ধীরে ধীরে নিচে নামছে মূল উপাসনা গৃহ এবং এই মন্দির মূলত পশ্চিম মুখী।”বদ্ধ ধারণা এটাই যে এক সময় জৈন মন্দির বা “দেউল” ছিল এই দিকে দিকে বিখ্যাত, মহা জাগ্রত এক্তেশ্বরের শিব মন্দির।সম্ভাবনা, অনুমান এবং পর্যবেক্ষণের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাস। তাই এই বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে সত্যতা যাচাই করা অসম্ভব।
মহাশিবরাত্রির পুণ্য তিথিতে নিয়ম রীতি মেনে অনেকেই ভগবান শিবের আরাধনা করেন। নতুন বছর পড়ে গিয়েছে। প্রতি বছরই দেখা যায় নতুন বছরের শুরু দিকে এই মহাশিবরাত্রি উৎযাপিত হয়।তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনেকে ভাবছেন এই বছর কবে পড়েছে এই শুভ তিথি?পুরীর কেন্দ্রীয় সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষী ডক্টর গণেশ মিশ্র জানিয়েছেন ২০২৪ সালে অর্থাৎ নতুন বছরে কবে পালিত হবে মহাশিবরাত্রি।প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি পালন করা হয়৷ এই দিনে বিপদমুক্তির জন্য, সংসারের কল্যাণ সাধনের জন্য, মনোস্কামনা পূরণের জন্য শিবরাত্রির ব্রত পালন করেন ভক্তেরা৷নতুন বছরে মহাশিবরাত্রি ৮ মার্চ, শুক্রবার পড়েছে।তিথি অনুসারে ২০২৪ সালে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথি পড়ছে ৮ মার্চ রাত ৯টা ৫৭ মিনিট থেকে, শেষ হচ্ছে ৯ মার্চ সন্ধে ৬টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত।মহাশিবরাত্রির পুজোর শুভ মুহূর্ত পড়ছে ৮ মার্চ রাত ১২টা ৭ মিনিটে থেকে মধ্যরাত্রি অর্থাৎ ১২টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত৷এই দিন সকাল থেকেই সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ তৈরি হচ্ছে৷ ৮ মার্চ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ থাকবে৷এছাড়া, ৮ মার্চ ভোর ৪টে ৪৫ মিনিট থেকে ৯ মার্চ সকাল ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শিব যোগ থাকবে৷শিবরাত্রির উপবাস ভাঙার সময় ৯ মার্চ ৬টা ৪৪ মিটি থেকে বিকেল ৬টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে৷ (দাবিত্যাগ: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ 18 বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন৷)
ফাল্গুন কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রির পবিত্র উৎসব। এই বছর, মহাশিবরাত্রির দিনে, সর্বার্থ সিদ্ধি সহ ৩টি শুভ যোগ তৈরি হতে চলেছে। ওই দিন রয়েছে শ্রাবণ ও ধনীষ্ঠা নক্ষত্র। মহাশিবরাত্রিতে শিব ভক্তরা উপবাস করেন এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজো করেন। শিবভক্তরা সোমবার শিবের আরাধনা করে তবে মহাশিবরাত্রিতে, চতুর্থ রাতের পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এবং এর জন্য শুভ সময়টি পালন করতে হবে। এবছর মহাশিবরাত্রি কোন দিন,শুভ সময় কোনটা, জানাচ্ছেন কাশীর জ্যোতিষী চক্রপাণি ভট্ট৷মহাশিবরাত্রি ২০২৪ কোন দিনে? এই বছর ফাল্গুন কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথি ৮মার্চ শুক্রবার রাত ৯.৫৭ থেকে শুরু হবে এবং এই ৯মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৬.১৭ পর্যন্ত চলবে৷ মহাশিবরাত্রির পূজার রাতের পুজো ৮ই মার্চ হবে। ফলে ৮মার্চ শুক্রবার মহাশিবরাত্রির তিথি পালন হবে।মহাশিবরাত্রির সময় কখন? মহাশিবরাত্রির পুজোর শুভ সময় হল রাত ১২.০৭টা থেকে ১২.৫৬টা পর্যন্ত চলবে। যারা রাতের পুজো করতে চান না, তারা ব্রাহ্ম মুহুর্ত থেকে শুরু করে দিনের যে কোনও সময় করতে পারেন। মহাশিবরাত্রির দিন, ব্রাহ্ম মুহুর্ত সকাল ৫.০১ থেকে ৫.৫০ পর্যন্ত চলবে।মহাশিবরাত্রি ২০২৪ রাত চার প্রহর পুজোর মুহুর্ত- মহাশিবরাত্রির রাতে প্রথম প্রহর পুজোর মুহুর্ত-সন্ধে ৬.২৫ থেকে রাত ৯.২৮ ৷ মহাশিবরাত্রির রাতে দ্বিতীয় প্রহর পুজোর মুহুর্ত-রাত ৯.২৮ থেকে রাত ১২.৩১৷ মহাশিবরাত্রির রাতে তৃতীয় প্রহর পুজোর মুহুর্ত-৯মার্চ সকাল ভোর ১২.৩১ থেকে ৩.৩৪ পর্যন্ত৷ মহাশিবরাত্রির রাতে চতুর্থ প্রহর পুজোর শুভ সময়-৯ মার্চ ৩.৩৪ থেকে সকাল ৬.৩৭ পর্যন্ত৷মহাশিবরাত্রির উপবাসের দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি, শিব ও সিদ্ধ যোগ তৈরি হচ্ছে। সেই দিন সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ সকাল ৬.৩৮ থেকে ১০.৪১ পর্যন্ত। যেখানে শিব যোগ ৯ মার্চ সকাল থেকে ১২.৪৬ পর্যন্ত। সেই থেকে সিদ্ধ যোগ গঠিত হচ্ছে। শিব যোগ আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়, যেখানে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে করা কাজ সফল প্রমাণিত হয়। শ্রাবণ নক্ষত্র ভোর থেকে সকাল ১০.৪১ পর্যন্ত থাকে, তারপরে এটি ধনীষ্ঠা নক্ষত্র। মহাশিবরাত্রি উপবাস শেষ হবে ৯ মার্চ শনিবার।মহাশিবরাত্রির গুরুত্ব-মহাশিবরাত্রির দিনে শিব ও মা পার্বতীর সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেদিন দু’জনের বিয়ে হয়। মহাশিবরাত্রিতে উপবাস ও শিবের আরাধনা করলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় এবং কষ্ট দূর হয়। Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷