#নয়াদিল্লি: করোনার আক্রমণের মধ্যেই দেখা দিল নতুন আতঙ্ক, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাংগাস। করোনা আক্রান্তরাই সংক্রমিত হচ্ছেন এই মারণ ছত্রাকে। এই পরিস্থিতিতে ‘মিউকরমাইকোসিস’ নিয়ে একগুচ্ছ সতর্কতা জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union health ministry) এবং আইসিএমআর (Indian Council of Medical Research)।
ICMR জানাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত ডায়বেটিক রোগী বা দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে চিকিৎসা চললে করোনা রোগী মিউকরমাইকোসিস-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রথমেই চিকিৎসা শুরু না করলে এই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে। নিশ্বাসের মাধ্যমে এই ছত্রাক শরীরে ঢুকে ফুসফুসকে আক্রমণ করছে।
ICMR-এর তরফে বলা হয়েছে, ‘মিউকরমাইকোসিস’ সংক্রমণের লক্ষণগুলি হল– চোখ ও নাক চোখ ও নাকের চারপাশে ব্যথা, লালচে ভাব। পাশাপাশি রয়েছে জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তবমি, এমনকী মানসিক অবস্থার পরিবর্তনও দেখা দিতে পারে।
Evidence based Advisory in the time of #COVID-19 (?????????, ????????? & ?????????? ?? ????????????) @MoHFW_INDIA @PIB_India @COVIDNewsByMIB @MIB_India #COVID19India #IndiaFightsCOVID19 #mucormycosis #COVID19Update pic.twitter.com/iOGVArojy1
— ICMR (@ICMRDELHI) May 9, 2021
করোনা আক্রান্ত ডায়বেটিক রোগী যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল, তাঁদের মধ্যেই মূলত বাসা বাঁধছে এই ছত্রাক। দেখা দিচ্ছে মুখের একদিকে ব্যথা বা অবশ হয়ে যাওয়া, নাকের দুপাশ কালো হয়ে ওঠা, দাঁতে ব্যথা, চোখের দৃশ্টি ঝাপসা হয়ে ওঠা, থ্রমবোসিস, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ।
মিউকরমাইকোসিস রুখতে, কোভিড আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও নিয়মিত তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে হবে। সঠিক ডোজ ও সময়ে স্টেরয়েড দিতে হবে। অক্সিজেন থেরাপির সময় স্টেরাইল জল ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। মিউকরমাইকোসিস’-এ সংক্রমিত রোগীকে অ্যাম্ফোটেরসিন-বি ইঞ্জেকশন দিতে হবে।