Tag Archives: N18

Bus Accident: প্রবল গতিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৯, আহত একাধিক

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের মাইহার জেলায় বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নয়জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁরাও মারা গিয়েছেন বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

জেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে জাতীয় সড়ক ৩০-এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার রাত ১১ টার দিকে মাইহারে একটি পাথর বোঝাই ট্রাকে বাসটি ধাক্কা মারে৷ ঘটনায় প্রায় ২০ জন আহত হয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে৷

আরও পড়ুন : ছিনতাই ডাকাতির সাজানো ছক! প্রাক্তন লাভার-এর থেকে মোবাইল পেতে প্রেমিকা যা করল…

মাইহারের পুলিশ সুপার (এসপি) সুধীর আগরওয়াল পিটিআইকে জানিয়েছেন, বাসটি প্রায় ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে প্রয়াগরাজ থেকে রওয়ানা দিয়েছিল৷ এটি রেওয়া হয়ে নাগপুরের দিকে যাচ্ছিল৷ নাদান দেহাত থানার কাছে ঘটেছে ঘটনাটি৷ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু৷ ঘটনাস্থলে ছয়জন মারা গেলেও, তিনজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাতনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কিন্তু লাভ হয়নি৷ মারা গিয়েছেন তাঁরা৷ নিহতদের মধ্যে সবাই পুরুষ৷ একটি শিশুও রয়েছে, যার বয়স চার বছর৷

সাতটি মৃতদেহকে শনাক্ত করা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন জৌনপুরের, তিনজন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা৷ আগরওয়াল বলেছেন, বাকি দুজন পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। চারজন নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাইহারে এবং তিনজনের দেহ সাতনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এসপি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় বাকি যারা আহত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগকেই জৌনপুর এবং প্রতাপগড়ের, রেওয়া-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : চিতা বাঘ ধরতে পাতা হয়েছিল খাঁচা, দেওয়া হয়েছিল টোপ, ধরা পড়ল এ কোন জন্তু!

জানা গিয়েছে বাসটি দ্রুত গতিতে চলছিল। ধ্বংসাবশেষ থেকে যাত্রীদের বের করার জন্য উদ্ধারকারী দলকে গ্যাস কাটার ব্যবহার করতে হয়েছিল। পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুর দুটোর পরে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়।

এদিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “নয়জনের মৃত্যুর ব্যাপারটা খুবই দুঃখের৷ একজন যাত্রীর অবস্থা গুরুতর। আমি আহতদের জন্য ইশ্বরের কাছে দ্রুত আরোগ্য কামনা প্রার্থনা করছি৷ করার জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি।”

Bengaluru News: ছিনতাই ডাকাতির সাজানো ছক! প্রাক্তন লাভার-এর থেকে মোবাইল পেতে প্রেমিকা যা করল…

বেঙ্গালুরু: ভোগনাহল্লি এলাকায় ২৯ বছর বয়সী এক মহিলা তার প্রাক্তন প্রেমিকের মোবাইল ছিনতাই করার জন্য দুর্ঘটনা ও ডাকাতির নাটক করেছিল৷ সত্যিটা প্রকাশ হওয়ার পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ হতবাক।

পুলিশ পি শ্রুতি (২৯) এবং তার চার সহযোগী- মনোজ কুমার, সুরেশ কুমার, হোন্নাপ্পা এবং ভেঙ্কটেশ-কে শনিবার ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, মহিলাটি বলেছিলেন যে তিনি তার প্রাক্তন প্রেমিকের মোবাইল ফোন ছিনতাই করার জন্য এই ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন, যেটিতে তাদের ব্যক্তিগত ছবি রয়েছে৷

আরও পড়ুন : চিতা বাঘ ধরতে পাতা হয়েছিল খাঁচা, দেওয়া হয়েছিল টোপ, ধরা পড়ল এ কোন জন্তু!

প্রাথমিকভাবে, পুলিশ ভেবেছিল এটি একটি ডাকাতির ঘটনা। অপরাধিরা শ্রুতি এবং তার বন্ধুকে ধাক্কা দেয়, এবং তাদের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে চেষ্টা করে। তেমনই অভিযোগ ছিল৷ পরে জানা যায় যে মহিলাটিই পুরো ঘটনা পরিকল্পনা করেছিলেন এবং প্রাক্তন প্রেমিককে ডাকাতির জন্য চারজনকে নিয়োগও করেছিলেন।

প্রেমিক ডুম্পা ভামশি কৃষ্ণ রেড্ডি অভিযোগ করেছেন যে, ২০ সেপ্টেম্বর একটি দুচাকার গাড়িতে যাওয়ার সময় কিছু দুষ্কৃতি তাঁর ও মহিলার মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। একটি বাণিজ্যিক দোকানের কাছে ছোটখাটো ট্রাফিক বিবাদ থেকে যা শুরু হয়৷

আরও পড়ুন : দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী, শুভেচ্ছাবার্তায় কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

“একটি সুইফ্ট ডিজায়ার গাড়ি পেছন থেকে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা দেয়, এবং আমি যখন তাদের জিজ্ঞাসা করি, তখন গাড়ি থেকে দু’জন ব্যক্তি আমাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়,” জানিয়েছেন তিনি।

যাইহোক, পুলিশ আবিষ্কার করেছে যে উল্লিখিত স্থানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, পরিবর্তে চারজন লোক রেড্ডি এবং শ্রুতিকে আটক করে এবং তাদের ফোন নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।

পুলিশ তখন ক্যাব এবং এর চালককে খুঁজে বের করে এবং পরে মনোজ, পেশায় একজন চিত্রশিল্পী এবং মহিলার অন্যতম সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি তার সহযোগীদের সাথে মোবাইল ছিনতাই করার কথা স্বীকার করেছেন এবং শ্রুতি তাকে এই কাজের জন্য একা লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে পুলিশ কর্মীদের চমকে দিয়েছেন।

শ্রুতি পুলিশকে বলেছিল যে রেড্ডির সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন৷ মনে করেছিলেন, তাঁদের অন্তরঙ্গ ছবির অপব্যবহার করতে পারে সে৷ এই ভয়েই পুরো নাটকটি তৈরি করেছিল সে। রেড্ডি মহিলাকে আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, তিনি ছবিগুলি মুছে দিয়েছেন৷ রেড্ডি এরপর মেয়েটিকে তাঁর ফোন দিতে অস্বীকার করেন৷ এতেই সন্দেহের জন্ম নেয়।