বিকানের সবুজ শাকসবজির ভাণ্ডার। এখানে সারা বছরই সবুজ শাকসবজি চাষ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিকানেরে চাষ হচ্ছে সবুজ পেঁয়াজকলি। এখানে বিপুল সংখ্যক সবুজ পেঁয়াজকলি চাষ করেন এবং খুব উৎসাহের সঙ্গে এর সবজি খান। বিকানেরের প্রতিটি বাড়িতেই সবুজ পেঁয়াজ ছাড়া সবজি তৈরি হয় না। এই সবুজ পেঁয়াজ প্রায় সব সবজিতেই ব্যবহার করা হয়।দোকানদার মুলি দেবী লোকাল১৮কে বলেন, এখানকার অনেক এলাকায় সবুজ শাকসবজি চাষ হয়। এমন পরিস্থিতিতে এখানে পেঁয়াজকলি চাষ করা হয়। এই সবুজ পেঁয়াজকে এখানে গুডলিও বলা হয়।তবে এর মরসুম অগাস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। অনেক জায়গায়, এটি কেবল সারা বছরই চাষ পায়। বর্তমানে অনেকে পেঁয়াজকলির চাষ শুরু করেছেন। এই সবুজ পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। এখানকার পেঁয়াজকলি অন্যান্য শহরেও সরবরাহ করা হয়।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নিধি মিশ্র লোকাল১৮-কে জানিয়েছেন, পেঁয়াজকলিতে রয়েছে সালফার, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি। পেঁয়াজকলি খেলে দৃষ্টিশক্তিরও ক্ষতি হয়। এর ফলে চোখের রেটিনায় পিগমেন্ট বাড়ে, যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রমাণিত হয়।এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবুজ পেঁয়াজকলি কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও আমাদের ত্বক শুষ্ক ও প্রাণহীন হওয়ার পরিবর্তে সুন্দর দেখায়। সবুজ পেঁয়াজকলি থেকে ভিটামিন ডি দিয়ে হাড় মজবুত করা যায়। এটি আর্থ্রাইটিস রোগ থেকেও মুক্তি দেয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
