আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে প্যান কার্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি। প্যান কার্ড ছাড়া, কেউ স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারবেন না বা মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্যও প্যান নম্বর প্রয়োজন৷ এমন পরিস্থিতিতে যদি কারও PAN-এ কোনও ভুল তথ্য থাকে, তা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।আমরা আপনাদের বলছি কীভাবে যে কেউ খুব সহজেই প্যান কার্ডে লেখা ভুল নাম, জন্মতারিখ সংশোধন করতে পারেন। এটি বাড়িতে বসেই খুব সহজে করা যেতে পারে। এর জন্য কোথাও যেতে হবে না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাড়িতে বসে খুব সহজেই অনলাইনে প্যান কার্ড সংশোধন করার উপায়।অনলাইন প্যান কার্ড আপডেট করার উপায় –– NSDL ই-গভর্নেন্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে PAN আপডেট করতে, ই-গভর্নেন্স পোর্টালে যেতে হবে । – এর পরে ‘পরিষেবা’ ট্যাবে যান এবং ড্রপডাউন মেনু থেকে ‘প্যান’ নির্বাচন করতে হবে। – তারপর ‘প্যান ডেটাতে পরিবর্তন/সংশোধন’ শিরোনামের বিভাগটি খুঁজে পেতে নিচে স্ক্রল করতে হবে এবং ‘প্রয়োগ করুন’ নির্বাচন করতে হবে।– ‘প্যান কার্ডে পরিবর্তন/সংশোধন’ ট্যাবের অধীনে ‘আবেদন করতে ক্লিক করুন’ বেছে নিতে হবে। – ‘প্যান কার্ডের বিশদ পরিবর্তন/সংশোধনের জন্য আবেদন করুন’ বেছে নিতে হবে। – নথি জমা দেওয়ার পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে, প্যান নম্বর লিখতে হবে, প্যান কার্ড মোড নির্বাচন করতে হবে এবং ‘জমা দিন’-এ ক্লিক করতে হবে।– রেজিস্ট্রেশন করার পরে, একটি টোকেন নম্বর আসবে। ঠিক আছে অপশনে ক্লিক করতে হবে। – নাম এবং ঠিকানা পূরণ করুন. তারপর ‘Next step’-এ ক্লিক করতে হবে। – যাচাইকরণের জন্য নিজের প্যান নম্বর লিখতে হবে এবং ‘পরবর্তী ধাপ’-এ ক্লিক করতে হবে। – প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে এবং তারপর ‘জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।এই বিষয়ে মনে রাখা প্রয়োজন যে, প্যান সংশোধন করতে সাধারণত প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে। নিজেদের প্যান কার্ড পোস্টের মাধ্যমে পাঠানো হলে রেজিস্টার মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ আসবে।প্যান আপডেট করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি – প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার আইডি, বিদ্যুৎ বিল, পাসপোর্ট, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স।
প্যান কার্ড দেশের প্রায় সর্বত্র ব্যবহার করা হয়। যে কোনও আর্থিক লেনদেন বা ব্যাঙ্কের কাজকর্মের জন্য প্যান কার্ড অত্যন্ত আবশ্যক। প্যান নম্বর প্রত্যেককে জীবনে একবারই জারি করা হয়।এরপর সারা জীবন সর্বত্র ব্যক্তিকে এই প্যান কার্ডের নম্বর দিতে হবে। প্যান কার্ডের সাহায্যে দেখা যায় যে, ব্যবহারকারীদের কতগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বা তাঁরা কতগুলি ব্যাঙ্কে আর্থিক লেনদেন করেন। তবে সম্প্রতি এই প্যান কার্ডের কারণে প্রতারণা বাড়ছে।প্যান কার্ড ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীদের খুব সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ যে কেউ এটির অপব্যবহার করতে পারে। আজ আমরা জানাব কীভাবে প্যান কার্ডের অপব্যবহার হতে পারে এবং কীভাবে ব্যবহারকারীরা তা সনাক্ত করতে পারেন।প্যান কার্ড জালিয়াতি কেউ যদি ব্যবহারকারীর প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড নম্বর জেনে ফেলেন, তবে তিনি ব্যবহারকারীর নামে ঋণও নিতে পারেন। আজকাল অনেক ধরনের অ্যাপ সহজেই লোন দেয়, সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারী জানবেনও না যে তাঁর নামে লোন নেওয়া হয়েছে।ব্যাঙ্ক বা ফিনান্স কোম্পানি যখন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে আসবে তখন তাঁরা এই বিষয়ে জানতে পারবেন। গত কয়েক বছরে এমন অনেক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।এছাড়াও, কেউ ট্যাক্স বাঁচাতে ব্যবহারকারীর প্যান কার্ড ব্যবহার করতে পারেন, ব্যবহারকারীর নামে ঋণ করে কয়েক লক্ষ টাকার আয় দেখাতে পারেন।প্যান কার্ড জালিয়াতি কীভাবে সনাক্ত করা যায়? এখন কেউ যদি জানতে চান যে তাঁর প্যান কার্ডের সঙ্গে কোনও জালিয়াতি হয়েছে কি না, তাহলে এর জন্য নিজের ক্রেডিট স্কোর চেক করতে পারেন। এর জন্য ব্যবহারকারী ফর্ম-26AS ডাউনলোড করতে পারেন।প্যান কার্ডের সঙ্গে কেউ কারচুপি বা জালিয়াতি করলে সঙ্গে সঙ্গে আয়কর বিভাগকে জানানো উচিত। এছাড়াও পুলিশের কাছে গিয়েও অভিযোগ করা উচিত। এছাড়া কেউ যদি প্যান কার্ড চান, তাহলে কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে প্যান কার্ড দেওয়া উচিত নয়। যদি এর ডুপ্লিকেট কোথাও দেওয়া হয় তবে এটিতে স্বাক্ষর করে রাখা উচিত। এতে কেউ প্যান কার্ডের অপব্যবহার করতে পারবে না।
