Tag Archives: pop song

Baba Sehgal: পপস্টার-রকস্টার বাবা সেহগাল, ‘আজা মেরি গাড়ি মে’ গেয়ে সুপারস্টার! এখন কোথায় তিনি জানেন? চমকে যাবেন

ভারতীয় দর্শককে প্রথম র‌্যাপ সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন তিনি বিস্মৃত। কেউই তাঁর খোঁজ আর রাখেন না। তিনি বাবা সেহগাল। এখন কোথায় বাবা সেহগাল? গান করেন এখনও? কেরিয়ারে হাজার চড়াই-উতরাই পার করে সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন বাবা। কিন্তু অর্থের প্রাচুর্যই ডেকে আনে বিপদ।
ভারতীয় দর্শককে প্রথম র‌্যাপ সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন তিনি বিস্মৃত। কেউই তাঁর খোঁজ আর রাখেন না। তিনি বাবা সেহগাল। এখন কোথায় বাবা সেহগাল? গান করেন এখনও? কেরিয়ারে হাজার চড়াই-উতরাই পার করে সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন বাবা। কিন্তু অর্থের প্রাচুর্যই ডেকে আনে বিপদ।
১৯৬৫ সালের ২৩ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম বাবার। তাঁর আসল নাম হরজিৎ সিংহ সেহগল। হরজিতের বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। পুত্রকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে পড়াশোনার প্রতি ছোট থেকেই বিশেষ আগ্রহ ছিল না বাবার।
১৯৬৫ সালের ২৩ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম বাবার। তাঁর আসল নাম হরজিৎ সিংহ সেহগল। হরজিতের বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। পুত্রকে ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে পড়াশোনার প্রতি ছোট থেকেই বিশেষ আগ্রহ ছিল না বাবার।
ছোটবেলা থেকেই গান গাইতে ভালবাসতেন বাবা সেহগাল। ছোট থেকেই বাড়িতে অতিথি এলে কিশোর কুমারের গান গেয়ে শোনাতেন। পরে তাঁর গলায় সুপারহিট হয়েছিল 'আজা মেরি গাড়ি মে বয়ঠ জা' গান।
ছোটবেলা থেকেই গান গাইতে ভালবাসতেন বাবা সেহগাল। ছোট থেকেই বাড়িতে অতিথি এলে কিশোর কুমারের গান গেয়ে শোনাতেন। পরে তাঁর গলায় সুপারহিট হয়েছিল ‘আজা মেরি গাড়ি মে বয়ঠ জা’ গান।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে চাকরিও জুটিয়েছিলেন বাবা। তবে মন পড়েছিল গানে। বাড়িতে জানান, মুম্বইয়ে গিয়ে গানবাজনা নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চান তিনি। ইঞ্জিনিয়ারের চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি। মুম্বইয়ে বাবার এক বন্ধু সঙ্গীত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বন্ধুর সাহায্যে গানের দু'টি অ্যালবাম বার করেন বাবা।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে চাকরিও জুটিয়েছিলেন বাবা। তবে মন পড়েছিল গানে। বাড়িতে জানান, মুম্বইয়ে গিয়ে গানবাজনা নিয়ে কেরিয়ার গড়তে চান তিনি। ইঞ্জিনিয়ারের চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি। মুম্বইয়ে বাবার এক বন্ধু সঙ্গীত প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বন্ধুর সাহায্যে গানের দু’টি অ্যালবাম বার করেন বাবা।
নব্বইয়ের দশকে যখন রোম্যান্টিক ঘরানার গানের চল উঠেছিল, সেই সময় বাবা তাঁর র‌্যাপ গানের অ্যালবাম নিয়ে আসেন। দু’টি অ্যালবামই ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়। চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। এই সব ঘটনায় মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি।
নব্বইয়ের দশকে যখন রোম্যান্টিক ঘরানার গানের চল উঠেছিল, সেই সময় বাবা তাঁর র‌্যাপ গানের অ্যালবাম নিয়ে আসেন। দু’টি অ্যালবামই ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়। চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। এই সব ঘটনায় মুষড়ে পড়েছিলেন তিনি।
এরপর ঘুরে দাঁড়াতে এক বন্ধুর সাহায্য়ে বিজ্ঞাপনের নেপথ্যসঙ্গীত রেকর্ড শুরু করেন বাবা। পর পর আটটি গান রেকর্ড করে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন বাবা। প্রতিটি গানই সুপারহিট হয়। এমনকি, বাজারে এমন হারে অ্যালবাম বিক্রি শুরু হয় যে অ্যালবামের ঘাটতি পড়ে গিয়েছিল।
এরপর ঘুরে দাঁড়াতে এক বন্ধুর সাহায্য়ে বিজ্ঞাপনের নেপথ্যসঙ্গীত রেকর্ড শুরু করেন বাবা। পর পর আটটি গান রেকর্ড করে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন বাবা। প্রতিটি গানই সুপারহিট হয়। এমনকি, বাজারে এমন হারে অ্যালবাম বিক্রি শুরু হয় যে অ্যালবামের ঘাটতি পড়ে গিয়েছিল।
বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি ভিডিওর মাধ্যমে তাঁর গান শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেবেন। তাই অ্যালবামের একটি গান গেয়ে মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন তিনি। এই ভিডিয়োতে দেখা যায় পূজা বেদীকেও। অনেকের মতে, হিন্দি গানের প্রথম মিউজিক ভিডিওর স্রষ্টা বাবা সেহগল।
বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি ভিডিওর মাধ্যমে তাঁর গান শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেবেন। তাই অ্যালবামের একটি গান গেয়ে মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন তিনি। এই ভিডিয়োতে দেখা যায় পূজা বেদীকেও। অনেকের মতে, হিন্দি গানের প্রথম মিউজিক ভিডিওর স্রষ্টা বাবা সেহগল।
গানের পাশাপাশি অভিনয় করতেও শুরু করেন বাবা। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিস ৪২০’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এ ছাড়াও তামিল এবং তেলুগু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
গানের পাশাপাশি অভিনয় করতেও শুরু করেন বাবা। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিস ৪২০’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এ ছাড়াও তামিল এবং তেলুগু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
এ আর রহমান, অনু মালিকের মতো সঙ্গীত নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন বাবা। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, কন্নড় ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি। কিন্তু সাফল্যের স্বাদ বেশি দিন পাননি বাবা। অন্ধকার জগৎ থেকে মাঝেমধ্যেই প্রাণনাশের হুমকি পেতেন বাবা। প্রথম দিকে তেমন পাত্তা দেননি। ১৯৯৭ সালে মুম্বইয়ের একটি মন্দির থেকে বেরনোর সময় সঙ্গীত নির্মাতা গুলশন কুমারকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ভয় পেয়ে যান বাবা।
এ আর রহমান, অনু মালিকের মতো সঙ্গীত নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন বাবা। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তামিল, তেলুগু, কন্নড় ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি। কিন্তু সাফল্যের স্বাদ বেশি দিন পাননি বাবা। অন্ধকার জগৎ থেকে মাঝেমধ্যেই প্রাণনাশের হুমকি পেতেন বাবা। প্রথম দিকে তেমন পাত্তা দেননি। ১৯৯৭ সালে মুম্বইয়ের একটি মন্দির থেকে বেরনোর সময় সঙ্গীত নির্মাতা গুলশন কুমারকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ভয় পেয়ে যান বাবা।
গান করে যা উপার্জন করেছিলেন, সর্বস্ব নিয়ে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান বাবা। সেখানে গিয়ে নিজের উপার্জনের পুরোটাই বিনিয়োগ করে দেন তিনি। বাবা ভেবেছিলেন, বিনিয়োগ করার ফলে আরও উপার্জন করতে পারবেন তিনি। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।
গান করে যা উপার্জন করেছিলেন, সর্বস্ব নিয়ে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান বাবা। সেখানে গিয়ে নিজের উপার্জনের পুরোটাই বিনিয়োগ করে দেন তিনি। বাবা ভেবেছিলেন, বিনিয়োগ করার ফলে আরও উপার্জন করতে পারবেন তিনি। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন।
দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে সিঙ্গাপুর ছেড়ে ভারত চলে আসেন বাবা। একটি মিউজিক শোয়ে কাজ করার প্রস্তাব পান তিনি। জাভেদ জাফরির সঙ্গে সেই শোয়ে কাজও করেন বাবা। এরপর কিছুদিন আমেরিকায় ছিলেন বাবা। কিন্তপ তারপর আর গানের জগতে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। দক্ষিণী ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় বাবাকে। বর্তমানে হিন্দি ছবিতেও টুকটাক অভিনয় করেন তিনি। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হেলিকপ্টার ইলা’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে সঙ্গীতের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হননি তিনি। ইউটিউবে মাঝেমধ্যে গান পোস্ট করেন বাবা। বর্তমানে মুম্বইয়ে দিন কাটাচ্ছেন বাবা।
দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে সিঙ্গাপুর ছেড়ে ভারত চলে আসেন বাবা। একটি মিউজিক শোয়ে কাজ করার প্রস্তাব পান তিনি। জাভেদ জাফরির সঙ্গে সেই শোয়ে কাজও করেন বাবা। এরপর কিছুদিন আমেরিকায় ছিলেন বাবা। কিন্তপ তারপর আর গানের জগতে দাগ কাটতে পারেননি তিনি।
দক্ষিণী ছবিতে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় বাবাকে। বর্তমানে হিন্দি ছবিতেও টুকটাক অভিনয় করেন তিনি। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হেলিকপ্টার ইলা’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে সঙ্গীতের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হননি তিনি। ইউটিউবে মাঝেমধ্যে গান পোস্ট করেন বাবা। বর্তমানে মুম্বইয়ে দিন কাটাচ্ছেন বাবা।