Tag Archives: sutapa sikdar

Irrfan Khan: কল্পলোকে ইরফান ফিরে এলেন স্ত্রী সুতপার কাছে! দিলজিতের সঙ্গে ছবি করবেন! আরও কত কথা! চোখ ভিজবে

মুম্বই: চার বছর হয়ে গেল ইরফান খান চলে গিয়েছেন! বলিউডের মেঘে ঢাকা সব থেকে উজ্জ্বল তারা ছিলেন তিনি! না ছিল নায়ক সুলভ চেহারা! না ছিল তাঁর বিরাট বহর! সাদা-মাটা অতি সাধারণ এক মানুষ যেন ইরফান! আর ঠিক এই কারণেই তাঁর অভিনয় ছাপিয়ে যেত সকলকে! ইরফানের চলে যাওয়া আজও অনেকেই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি! বলিউড শুধু নয় অন্য ভাষার ছবিতেও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেল যে! তবে শুধু ইরফান ভক্তরা নয়, স্ত্রী সুতপা আজও বেঁচে আছেন ইরফানের গন্ধ মেখে! তাঁর বাড়ির শিউলি ফুলের গাছ আজও বারে বারে ফিরিয়ে নিয়ে আসে ইরফানকে! চার চারটে বছর কেটে গেল! কিন্তু আজ যদি ইরফান বেঁচে থাকতেন তাহলে কী হত? কী কথা বলতেন ইরফান-সুতপা? এক কল্পলোকের ছবি আঁকলেন সুতপা শিকদার!

এই সংলাপ এই কল্পলোকের কাহিনি আপনার চোখ ভেজাতে বাধ্য! সুতপা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন এই লেখাটি! সেখানে সুতপা লিখেছেন, ইরফান আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ৪ বছর তিন দিন আগে! চার বছর? ওকে ছাড়া আমার মধ্যে ভয়, হতাশা, অপরাধ বোধ আরও কত কী যে কাজ করেছে! বারে বারে ভেবেছি যদি আরও কিছুটা সময় বেশি থাকা যেত! ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা একে অপরকে চিনি! ৩৬ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা একে অপরকে ছুঁয়ে আছি! চেয়েছিলাম আমৃত্যু এক সঙ্গে থাকব, তাই থাকবো! সে ও সঙ্গে থাক বা দূরে কোথাও থাক! আমরা তো এক সঙ্গেই পথ চলছি।”

সুতপা আরও লেখেন, “আজ ২০২৪ সালে যদি ইরফান শরীরী ভাবে এখানে থাকত, তাহলে আমরা কী কথা বলতাম? কারণ ঠিক এই কথা গুলোই আমি সব থেকে বেশি মিস করি! ২০২৪-এ ও ঠিক ওর শ্যুটিং শেষ করে তবে বাড়িতে আসত! এসেই বিড়াল ছানাকে আদর করে বইয়ে মুখ গুঁজে বসে পড়ত!

আর আমি বলতাম, তোমার ‘চমকিলা’ দেখা উচিত?
ইরফান: বই থেকে মুখ না তুলেই পড়তে থাকত! (বইয়ে ঢুকে গেলে সাধারণত ও এমনটাই করে)
আমি: ছেলটা সত্যি দারুণ ভাল। আমি ওর অভিনয় ভালবেসে ফেলেছি!
ইরফান: আচ্ছা? কে?
আমি: আরে ইয়ার দিলজিৎ দোসান্জ! (ও শুনতো তবে…)
ইরফান:এবার আমার দিকে তাকাতো! তোমার মনে হয় ও সত্যিই এতটা ভাল!
আমি: হ্যাঁ! তোমার দিলজিতের সঙ্গে একটা কাজ করা উচিত! তুমি আবার সর্দারের চরিত্রে অভিনয় করবে! দুই ভাইয়ের বা অন্য কোনও গল্পে কাজ করবে! ম্যাজিকাল হবে!
ইরফান: হুম! (এমন সময় ফোন বেজে উঠত ওর) হে দিনু (দিণেশ বিজয়ন) ইয়ার সুতপা বলছে দিলজিৎ খুব ভাল!
আমি: ভাল না খুব খুব ভাল।
ইরফান: আরে ইয়ার চলো তাহলে কিছু করি! পাঞ্জাবিতেই কিছু করি চলো! আমি আজকেই ‘চমকিলা’ দেখে নিচ্ছি!

অথবা এটাও হতে পারত! ইরফান কানে হেডফোন লাগিয়ে বাড়িতে আসত! এসেই বলতো আরে ইয়ার সুতপা ‘কী লিখেছে দেখ ইরশাদ! (ইরশাদ কামিলকে খুব ভালবাসতেন ইরফান) উফফ জাস্ট ভাবা যায় না! তুমি গানগুলো শুনলে? বিদা করো? কী ভাল গান! এখানে হয়ত ইরফানের সঙ্গে ওর ম্যানেজার বসে থাকত, আর ইরফান তাঁকে বলত, ভাই আমাকে এবার একটা মালায়ালি ছবি করতে হবে! আমি এই পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চাই! যদি বলিউডে না হয়… আমিই একটা মালায়ালি ছবি করবো! আরও আরও অনেক কথা!’ ঠিক এই কথাগুলোই হয়ত আমরা এখন বলতাম!”