চলতি বছরের শেষের দিকে BEML দশটি নতুন স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেনের রেক সরবরাহ করতে চলেছে।আজ বেঙ্গালুরুতে BEML ওয়ার্কশপে গিয়ে কাজ দেখলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের একটি রেকে থাকতে চলেছে ১৬টি কোচ। এর মধ্যে ১১টি থাকবে এসি থ্রি টিয়ার, ৪টি সেকেন্ড এসি এবং একটি ফার্স্ট এসি কোচ।২০২৯ সালের মধ্যে সারা দেশে ২৫০টি স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছেন ভারতীয় রেলের।বন্দেভারতের স্লিপার সংস্করণ ১৬-কোচের ট্রেন হতে চলেছে৷ সেখানে থাকবে চারটি বগির একটি ইউনিট।ট্রেনের ভিতরে বড় কাচের জানালা। উপরের আসনের উচ্চতাও খুব বেশি রাখা হয়নি। এখানে বাঙ্কে ওঠার জন্য তৈরি সিঁড়ির ফাঁক কম রাখা হয়েছে। এছাড়া, সিঁড়িতে বসানো হয়েছে কুশন।এতে থাকবে সেন্সর-ভিত্তিক আলো, ক্যামেরা, শব্দ নিরোধক ব্যবস্থা, বড় চওড়া কাচের জানালা।এই ট্রেনেও একদিকে তিনটি আসন দেওয়া হয়েছে বসার জন্য। আসনের রংও বদলানো হয়েছে। সিটের রং রাখা হয়েছে খুবই হালকা বাদামি।রয়েছে বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট৷ এই সমস্ত উন্নতমানের সুবিধা, যা এ যাবৎকাল পর্যন্ত কোনও ভারতীয় ট্রেনে ছিল না।
এই ট্রেনেও একদিকে তিনটি আসন দেওয়া হয়েছে বসার জন্য। আসনের রংও বদলানো হয়েছে। সিটের রং রাখা হয়েছে খুবই হালকা বাদামি। এ ছাড়া, যে লাইটগুলো বসানো হয়েছে তা-ও বেশ অভিনব, যা কোচের জৌলুস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন: দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন৷ ইতিমধ্যেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি বিপুল সাফল্য পেয়েছে৷ দুরন্ত গতি এবং আধুনিক সুবিধার জন্য যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ট্রেন৷ তবে চেয়ার কার হওয়ার কারণে দীর্ঘ যাত্রায় অসুবিধা ছিল৷ এই সমস্যাও এখন দূর হতে চলেছে৷ আসছে বন্দে ভারত স্লিপার কোচ ট্রেন।উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ গৌতম জানিয়েছেন যে স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেনটিকে ট্র্যাকে চালোনারে জন্য রেলওয়ের তরফ থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ এপ্রিল জয়পুরে অনুষ্ঠিতব্য ভারতীয় রেলওয়ে টাইম টেবিল কমিটির বৈঠকে স্লিপার বন্দে ভারত-এর সময়সূচী এবং যাত্রাপথ নিয়ে আলোচনা করা হবে।রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আগেই প্রস্তাবিত কোচ কেমন হতে পারে তার ঝলক দিয়েছিলেন৷একেবারে ঝাঁচকচকে, অত্যাধুনিক বিদেশি ট্রেনের মতো কোচ৷যাত্রী সাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই এই তৈরি হচ্ছে এই সেরার সেরা ট্রেন৷আগ্রা ফোর্ট-গোরখপুর বন্দে ভারত সপ্তাহে ৬ দিন চলতে পারে। এই ট্রেনটি গোরখপুর থেকে আগ্রার দূরত্ব প্রায় ১০ ঘণ্টায় অতিক্রম করবে। এই একই পথ অতিক্রম করতে অবধ এক্সপ্রেস এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ১৩ ঘণ্টা সময় নেয়। ফলে স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেন চালু হলে অনেকটা সময়ও বাঁচবে।প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী, এটি গোরখপুর থেকে ছেড়ে লখনউ, আইশবাগ-কানপুর হয়ে আগ্রা ফোর্টে পৌঁছাবে। গোরখপুর থেকে সন্ধ্যা ৭ টায় ছাড়বে এবং আগ্রা ফোর্টে পৌঁছবে ভোর ৫ টায়। একইভাবে আগ্রা থেকে সন্ধ্যা ৭ টায় ছাড়বে এবং ৫ টায় গোরখপুর পৌঁছবে।তথ্য অনুযায়ী প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন পেতে পারে উত্তরপ্রদেশ। স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি চলছে আগ্রা ও গোরখপুরের মধ্যে। উত্তর-পূর্ব রেল এই ট্রেন নিয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। প্রাথমিকভাবে এই ট্রেনটি গোরখপুর থেকে আগর পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা থাকলেও পরে এর রুট দিল্লি পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।এই ট্রেনের রুট, ভাড়া এবং সময় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সবধরনের মানুষ যাতে এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারে সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রেনটির আসন ও বার্থে সামান্য পরিবর্তন করে যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক করা হয়েছে। বন্দে ভারত ট্রেনে যেমন চমক ছিল, তেমনই এই স্লিপার ট্রেনেও সকলে চমকে যাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের৷
