পলাতক বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের ১৮০ কোটি ঋণখেলাপি মামলায় এই ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।
সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক এসপি নায়ের নিম্বলকর ২৯ জুন বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে এই আদেশ জারি করেন। সোমবার তার বিশদ বিবরণ সামনে এসেছে। আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করেননি বিজয় মালিয়া।
সিবিআই-এর যুক্তি শোনার পর এবং বিজয় মালিয়ার পলাতক থাকার কারণে আদালত বলে, “এই মামলা বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য উপযুক্ত। যাতে আদালতে পলাতক ব্যবসায়ীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়”।
আদালতে শুনানি চলাকালীন সিবিআই বলে, তদন্তে জানা গিয়েছে, দেউলিয়া এয়ারলাইন্স সংস্থা কিংফিশারের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় মালিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ১৮০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করেননি। ইতিমধ্যেই মানি লন্ডারিং মামলায় তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেছে ইডি। জানা গিয়েছে, বিজয় মালিয়া বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার।
সিবিআই-এর চার্জশিট অনুযায়ী, বিজয় মালিয়া বিজয় মালিয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক থেকে ১৮০ কোটি টাকা ঋণ নেন এবং সেই টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০১০ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এসবিআইকে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রস্তাব বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এরপর ওভারসিজ ব্যাঙ্ক-সহ ১৮টি ব্যাঙ্কের একটি কনসোর্টিয়াম কিংফিশার এয়ারলাইন্সের সঙ্গে এমডিআরএ চুক্তি করে। অভিযোগ বিজয় মালিয়া জেনেশুনে প্রতারণার উদ্দেশ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করেননি।
এর ফলে ব্যাঙ্কের ১৪১.৯১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ঋণকে শেয়ারে পরিণত করার কারণে আরও ৩৮.৩০ কোটি টাকার লোকসান হয়। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বিজয় মালিয়া ২০১৬ সালের মার্চ মাসে দেশ ছেড়ে পালান। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিজয় মালিয়াকে বেশ কয়েকটি ঋণ খেলাপি এবং মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।