#বিশাখাপত্তনম: বিষাক্ত গ্যাস লিক করায় অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বহু মানুষ। অসুস্থদের মাথা যন্ত্রণা, বমি ভাব ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একাধিক হাসপাতালে আরও ১৫০ থেকে ১৭০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় হাসপাতালগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অসুস্থদের চিকিৎসা করছে। অন্তত ১৫০০ থেকে ২০০০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাসপাতালগুলিতে। মৃতের সংখ্যা আপাতত ৮ হলেও তা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে ৷ লকডাউনের পর কারখানাটি আবার খোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল ৷ আর সেই সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা ৷
Shocked & deeply anguished by the visuals from #VizagGasLeak
My wholehearted condolences to those who lost their near & dear. Let’s pray for the well-being of the hospitalised ?
What a horrible year this has been!
— KTR (@KTRTRS) May 7, 2020
১৯৮৪ সালের ৩ ডিসেম্বর ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল বহু প্রাণ ৷ পরবর্তী সময়ে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে পঙ্গু হয়েছিলেন অনেকেই ৷ তিন দশক পার করে সেই ভয়াবহ স্মৃতি এবার ফিরে এল অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৷ বৃহস্পতিবার ভোররাতে ‘এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া’-র কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরোতে থাকে ৷ দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে ৷ মৃতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান ৷ কেমিক্যাল প্লান্টে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিশাখাপত্তনমে ওই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে একধরণের উদ্ভিদ থেকে নির্গত রাসায়নিক থেকেই ওই বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছে ৷ আর সেটি কোনওভাবেই বাইরের বাতাসে মিশে যাওয়াতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি হয়েছে ৷ এলাকায় বহু মানুষ ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২০০-র বেশি মানুষ ৷