Agriculture Tips: চাষের শতাব্দী প্রাচীন ‘এই’ পদ্ধতিতে হবে মুশকিল আসান! ফসলে ফসলে ভরে উঠবে গোলা, আয়ও হবে দারুণ

ইতিমধ্যেই কৃষকরা খরিফ শস্য ধান রোপণ করেছেন। আর ধানের ভাল ফলন পেতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। ফলে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কৃষকরা ধান গাছে কলি বাড়ানোর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করেন। তার মধ্যে অন্যতম হল পাটা প্রযুক্তি। কারণ এই প্রযুক্তি একাধারে সস্তা, আর অন্যদিকে কার্যকরও বটে!

উত্তরপ্রদেশেরে নিয়ামতপুরের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. এনসি ত্রিপাঠী বলেন যে, ধান গাছকে পুষ্ট করে কলি বাড়াতে কিংবা ফলন বৃদ্ধি করতে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের সার এবং নিউট্রিয়েন্ট ব্যবহার করে থাকেন। যার জেরে কৃষকদের খরচও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন পাটা কৌশল ব্যবহার করলে দুর্দান্ত ফলাফল তো পাওয়াই যায়, সেই সঙ্গে এক টাকাও খরচ করতে হয় না। প্রায় ৫০ বছর আগে এই কৌশল ব্যবহার করতেন কৃষকরা।

ড. এনসি ত্রিপাঠী বলেন যে, ধান যখন ১৫-২০ দিনের হয়ে যাবে, তখন ধানের জমিতে ৩-৪ ইঞ্চি জল ভর্তি করে দেওয়া উচিত। এরপর ফসল অর্থাৎ ধানের উপর পাটা চালিয়ে দিতে হবে। এমনটা করা হলে ধান গাছ থেকে রস আহরণকারী পোকা তো মরে যাবেই, সেই সঙ্গে ধানের কলিও দ্রুত হারে বাড়বে। আর এই কৌশলটি একেবারেই সস্তা এবং কার্যকরও বটে!

আরও পড়ুন: বাজেটের পর হুড়মুড়িয়ে কমছে সোনার দাম, আরও কমবে কি দাম ?

আরও পড়ুন: কেমন হল নতুন বাজেট! যা জানাচ্ছেন মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষেরা

কিন্তু কীভাবে এই কৌশল অবলম্বন করতে হবে? ড. এনসি ত্রিপাঠী বলেন যে, পাটার মতো কাঠের দণ্ড নিতে হবে। যার ওজন ১৫-১৮ কেজি। কাঠের ওই পাটাতনের দুদিকে দুটি দড়ি বাঁধতে হবে। যাতে তা ধানের জমিতে ঘুরতে পারে। ওই পাটাতনের দৈর্ঘ্য ১০ থেকে ১২ ফুট হওয়া উচিত। আর পাটাতন ব্যবহার করার সময় একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আর সেটা হল – জমিতে যেন জল থাকে। কারণ জল না থাকাকালীন পাটা ব্যবহার করা উচিত নয়।

ড. এনসি ত্রিপাঠী বলেন যে, ধান চাষ করতে গেলে মাটির উপরের স্তর অগোছালো হয়ে যায়। এর জেরে বায়ু চলাচল উন্নত হয়। আর ধান গাছের মূলও ভাল হয়। আর তা মাটির গভীরে প্রবেশ করে। আর গাছও স্বাস্থ্যবান হয়। এছাড়া ধানের গোড়ায় জলও থাকে দীর্ঘ সময়। ফলে জমিতে ফুটিফাটাও হয় না। আর জমিতে থাকা পোকামাকড়ের লার্ভাও নষ্ট হয়ে যায়।