লাইফস্টাইল Winter Health Tips: ‘অমৃতসম’…! পেট থাকবে বরফের মতো ঠান্ডা, গ্যাস-অম্বলের টিকি দেখা যাবে না! ঢক ঢক করে রোজ খান এই ‘ম্যাজিক’ পানীয় Gallery October 22, 2024 Bangla Digital Desk রাজস্থানের প্রাচীনতম খাবার হল রাবড়ি। শীতকালে, বাজরার আটা দিয়ে তৈরি রাবড়ি ঠান্ডা থেকে মুক্তি দেয়। বজরার রাবড়ি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং স্বাস্থ্য বর্ধক টনিক হিসেবে কাজ করে। গ্রামীণ অঞ্চলে, এটি একটি ভাল টনিক এবং শীতকালীন পানীয় হিসাবে বিবেচিত হয়, তাই শীতকালে গ্রামাঞ্চলে বাটার মিল্ক এবং ময়দা দিয়ে তৈরি রাবড়ি খুব পছন্দ করা হয়। গ্রামে, রাতে প্রস্তুত রাবড়ি শীতকালে গরম করা হয় এবং সারা দিন আনন্দের সঙ্গে খাওয়া হয়। বাজরা ও গমের রাবড়ি এখন দোকানেও তৈরি হচ্ছে। শীতকালে এটি গরম পানীয় হিসেবে পান করে মানুষ। স্টল বসিয়ে রাবড়ি বিক্রি করা কুলদীপ প্রজাপতি বলেন, রাবড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ এখন দামি হয়ে গেছে, তাই আজকাল শহরাঞ্চলের ডেইরি বুথ ও দোকানে প্রতি গ্লাসে রাবড়ি বিক্রি হচ্ছে দশ থেকে বিশ টাকায়। এভাবেই তৈরি হয় রাবড়িবাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা কুলদীপ প্রজাপতি বলেন, এতে বাজরার আটা, নুন, বাটার মিল্ক ইত্যাদি লাগে। রাবড়ি তৈরির জন্য বাজরার আটা ভাল, তবে বার্লি এবং গমের আটা থেকেও রাবড়ি তৈরি করা যায়। কুলদীপ জানান, রাবড়ি তৈরি করতে একটি হান্ডি (মাটির তৈরি ছোট পাত্র) প্রয়োজন। একটি পাত্রে বাটার মিল্কের মধ্যে বাজরের ময়দা মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন। কিছু বাজরা দানা-এর ভিতরে রাখা হয় আবার কেউ কেউ ছোলার ডালও যোগ করে। অনেকক্ষণ আগুনে রান্না করার পরে, এটি থেকে সরানো হয় এবং এইভাবে গরম রাবড়ি প্রস্তুত করা হয়। পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় না বলেজানান আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক নরেন্দ্র কুমার বলেন, শীতকালে বাজরের আটা ও বাটার মিল্ক দিয়ে তৈরি রাবড়ি পেট গরম রাখে এবং শক্তি বজায় রাখে। এ কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় না। সত্যিই, এটি শীতের অমৃত। সুস্থ থাকতে এবং ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এটি পান করতে হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)