সনাতন ধর্মে তুলসী গাছের পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সাধারণ বিশ্বাস অনুযায়ী, তুলসী গাছ সংসার থেকে নেতিবাচকতা দূর করে। এছাড়া, তুলসী পূজা করলে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদও পাওয়া যায়। কিন্তু বাড়িতে তুলসী গাছ রাখার কিছু নিয়মও বলা হয়েছে। তুলসী গাছ ঘরের ভিতরে কখনওই রাখা উচিত নয়। এর পাশাপাশি কিছু জিনিস রয়েছে যা তুলসী কাছে রাখা এড়িয়ে চলা উচিত। এতে সংসারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।অযোধ্যার জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম জানাচ্ছেন, তুলসী গাছে ভগবান বিষ্ণু বাস করেন। সেই কারণে, তুলসী গাছ সংক্রান্ত কিছু নিয়ম বিধি রয়েছে, যা আমাদের অবশ্যই মেনে চলা উচিত।তুলসীর কাছে পরিষ্কার করার কোনও জিনিস রাখা কখনওই উচিত নয়। তুলসী গাছের ধারেকাছে যাতে ঝাড়ু, ন্যাতা ইত্যাদি জিনিস রাখবেন না৷ এই জিনিসগুলি তুলসী গাছের কাছে রাখলে সংসারে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে।তুলসী গাছের কাছাকাছি জুতো, চপ্পল বা জুতো রাখার জায়গা একেবারেই রাখবেন না৷ মা লক্ষ্মী রেগে যান৷তুলসী গাছ আমরা প্রায়শই বাড়ির বারান্দায় রেখে থাকি৷ কিন্তু সেই বারান্দায় গিয়ে কখনওই ধূমপান বা মদ্যপান করা উচিত নয়। এতে ভগবান শ্রীবিষ্ণু আপনার উপর কুপিত হতে পারেন। এছাড়াও, তুলসী গাছের কাছে যে কোনও সময় সিগারেট, অ্যালকোহল এবং মাছ-মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।তুলসী গাছের কাছাকাছি কখনওই ডাস্টবিন রাখবেন না। এতে সংসারে বিরাজমান ইতিবাচক শক্তি নষ্ট হতে পারে। শুকিয়ে যেতে পারে তুলসী গাছ৷ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী গাছের কাছে কখনওই শিবলিঙ্গ রাখা উচিত নয়৷ শালিগ্রাম শিলা তুলসীর কাছে রাখলেও শুভ ফল পাওয়া যায়।দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
