প্রতীকী ছবি৷

রিমলের দুর্যোগ কাটলেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু চলছেই! তারাতলায় গাফিলতির বলি ২

ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে তৈরি হওয়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটেছে৷ তারপরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কলকাতায়৷ এ দিন বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে তারাতলার ইন্ডিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে৷ এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর৷

জানা গিয়েছে, মৃত দু জনের নাম সন্তোষ মণ্ডল (৩৪) এবং মনোহর রজক (৪৫)৷ সন্তোষ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন, মনোহর সুপারভাইজার পদে কাজ করতেন৷ তারাতলায় থাকলেও দু জনেই বিহারের বাসিন্দা৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই কয়েকদিন ধরে একটি রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল৷ সেই কারণে খোঁড়াখুড়িও করা হয়৷ সেই জায়গাতেই বৃষ্টির জল জমে গিয়েছিল৷ এ দিন বিকেলে বাগানের ঘাস কাটতে গিয়ে ওই জমা  জলই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সন্তোষ৷ সন্তোষকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মনোহর৷ তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লুটিয়ে পড়েন৷

এই ঘটনার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অন্যান্য শ্রমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই দু জনকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান৷ কিন্তু চিকিৎসকরা দু জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

কলকাতা পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের আনোয়ার খানের অভিযোগ, পাম্প চালানোর মাটির নীচ দিয়ে তার নিয়ে গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার পর জেসিবি আঘাতে সেই তারই ছিঁড়ে মাটির উপরে বেরিয়ে এসেছিল৷ তিন চার দিন আগে এই ঘটনা ঘটলেও বিপজ্জনক ওই তার ঠিক করার উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ বৃষ্টির পর ওই তারের উপরেই জল জমেছিল৷ এ দিন সেই জমা জলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন দুই শ্রমিক৷ যদিও এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সিইএসসি৷

রিমলের দুর্যোগের জেরে রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হল৷ রবিবার ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বর্ধমানের মেমারি, উত্তর চব্বিশ পরগণার পানিহাটি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মহেশতলাতেও তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷