খোয়াজার শতরান, গ্রিনের আক্রমনাত্মক ব্যাটিং! আহমেদাবাদে প্রথম দিনের শেষে প্রবল চাপে ভারত

আহমেদাবাদ: বর্ডার গাভাসকার টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথম দিন চাপে রইল ভারত, কথাটা বললে ভুল হবে না। চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া। সাহসী ক্রিকেট খেলেছে তারা। ভাগ্য সঙ্গ দিয়েছে টস জেতায়। চায়ের বিরতির পরে বোলিং শুরু করেন উমেশ যাদব। ৬৩তম ওভারে অস্ট্রেলিয়া দলগত ১৫০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন স্টিভ স্মিথ। ১৩৫ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। মারেন ৩টি চার।

বলটা হঠাৎ করেই নিচু হয়ে যায়। মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ২৭ বলে ১৭ রান করেন তিনি। মারেন ৩টি চার। পুরনো বলে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে স্বচ্ছ্বন্দ দেখায়নি অজি ব্যাটসম্যানদের। উমেশ যাদবের ওভারে ২টি চার মারেন ক্যামেরন গ্রিন।

তবে ভারতের তরফ থেকে শামি শর্ট বলে গ্রিনকে বেশ কয়েকবার চ্যালেঞ্জ জানালেন। গ্রিন দুটো বলে আঘাতও পেলেন। আবার পাল্টা মারলেন। বুঝিয়ে দিলেন অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কম হলেও সাহসের কমতি নেই তার। অন্যদিকে উসমান খোয়াজা নিজের প্রথম ভারত সফরের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। বলা ভাল দিনের শেষ সেশনে ভারত দুটো উইকেট নিলেও অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছে।

মেরিট বুঝে খেলেছে। খুব ঝুঁকি যেমন নেয়নি, তেমনই ভারতীয় বোলারদের মাথায় উঠতে দেয়নি। অক্ষর, অশ্বিন একটিও উইকেট পাননি। তবে ভারতের বোলারদের প্রাথমিক দায়িত্ব হবে দ্বিতীয় দিন সকালের প্রথম সেশনে দুটি উইকেট তুলে নেওয়া। রবি শাস্ত্রী মনে করছেন আজ সেভাবে ভারতীয় স্পিনাররা উইকেট থেকে সাহায্য না পেলেও দ্বিতীয় দিন ঘন্টা খানেক পরে সাহায্য পেতে পারেন।

তখন অশ্বিন, জাদেজা, অক্ষর কতটা ভয়ানক হয়ে উঠতে পারেন সেটাই দেখার। তবে অস্ট্রেলিয়া একটা অদ্ভুত শান্ত মাথায় নিজেদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তাদের আসল লোক খওয়াজা। শুধু সেঞ্চুরি করেই তিনি সন্তুষ্ট হবেন না। তার দায়িত্ব হবে বড় রান করা। প্রথম ইনিংসে এমন একটা টোটাল খাঁড়া করতে চায় অস্ট্রেলিয়া যাতে ভারত চাপে পড়ে যায়।

ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় হলে অস্ট্রেলিয়ার হাতে সে ক্ষেত্রে ফলো অন করানোর জায়গা থাকবে। রোহিত শর্মাকে দেখে এদিন মাঝে মাঝেই বিচলিত মনে হচ্ছিল। সেটাই স্বাভাবিক একজন অধিনায়কের জন্য। দেখে মনে হচ্ছে প্রথম দুটো টেস্ট হেরে নিজেদের ভুল ভ্রান্তি সম্পূর্ণ ঠিক করে নিয়েছে ক্যাঙ্গারু ব্রিগেড। উল্টে ভারতই এখন সমস্যায় ভুগছে। গ্রিন টিকে গেলেও কিন্তু ভারতের কপালে দুঃখ আছে। এই দীর্ঘদেহী অলরাউন্ডার অনেক হিসেব বদলে দিতে পারেন।