Viral News: হচ্ছে টা কী! বিশালাকার ট্রেন ঠেলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা… ভাইরাল ভিডিও দেখে হাঁ হয়ে গিয়েছে সবাই

কথায় বলে, ‘বিহার ইজ নট ফর বিগিনার্স।’ অর্থাৎ আনকোরা মানুষদের জন্য বিহার একেবারেই উপযুক্ত নয়! আর সেই প্রবাদটা যে সত্যি, তা আবারও একবার প্রমাণ হয়ে গেল! কীভাবে? আসলে একটি ট্রেনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে হাসবেন না কি কাঁদবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না নেটিজেনরা!

কিন্তু কী এমন ছিল ওই ভিডিওটিতে? আসলে ওই ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দিব্যি একটা ট্রেনের কোচ ঠেলছেন যাত্রীরা। হ্যাঁ একেবারেই ঠিক শুনেছেন! এখানেই চমকের শেষ নয়। আরও বাকি রয়েছে। ঠেলেঠুলে ট্রেনের কোচটিকে সরাতেও পেরেছেন তাঁরা। আর আশপাশ থেকে ভেসে আসতে থাকে উল্লাসের ধ্বনি। এহেন ঘটনার সাক্ষী হল বিহারের লাখিসরাইয়ের কিউল জংশন।

লোকমত টাইমস-এর তরফে জানানো হয়েছে, আসলে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৬ জুন পটনা-ঝাড়খণ্ড প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মহিলা কামরায় আচমকাই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে রেলকর্মী এবং যাত্রীরা তৎপর হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। অন্য কামরায় যাতে আগুন না ছড়াতে পারে, সেই জন্য সেগুলি ঠেলে সরাতে শুরু করেন। এমনকী পাথর তুলে নিয়ে দুটি বগির মাঝে থাকা কাপলিংও ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেন, যাতে তা মহিলা কামরা থেকে সহজেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর ভিডিওটিতে ট্রেনের কামরা ঠেলে নিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্যই ধরা পড়েছে। যদিও এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি News18।

যদিও এহেন ঘটনা প্রথম বার নয়। এর আগেও ট্রেনের কামরা ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর এহেন ঘটনার সাক্ষী ছিল নভি মুম্বইয়ের ভাসি স্টেশন। আসলে সেই সময় ট্রেনের চাকার তলায় পড়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর প্রাণ বাঁচাতে মানবিকতার খাতিরে একজোট হয়েছিলেন যাত্রীরা। আর সেই উদ্ধারের ভিডিও দেখে প্রশংসা করেছিলেন নেটিজেনরাও।

তবে মিড-ডে-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, মূলত রেললাইন দিয়ে অবৈধ ভাবে যাতায়াতের কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল। এমনকী ক্রসিংয়ের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছিল প্রতিবেদনে। ওই ব্যক্তি রেললাইন পেরোচ্ছিলেন, সেই সময় পানভেলগামী লোকাল ট্রেন এমার্জেন্সি ব্রেক কষে। ফলে দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া গিয়েছিল। ট্রেনের তলা থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার জন্য বিশালাকার ১২ কোচের ট্রেনটিকে সরাতে শুরু করেন যাত্রীরা।