#দুবাই: পাকিস্তানের দেওয়া টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। কে এল রাহুল প্লেদ অন হয়ে যাওয়ার পর দুর্দান্ত বোলিং করতে থাকা নাসিম শাহ বেশ চাপে রেখেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। এমনকি বিরাট কোহলি স্লিপে আউট হয়ে যেতে পারতেন, যদি না ক্যাচ ছেড়ে দিতেন পাকিস্তানি ফিল্ডার।
রোহিত এবং বিরাট দুজনে মিলে প্রায় পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করেন। রোহিত একবারের জন্যেও নিজের টাইমিং খুঁজে পাননি। একটি মাত্র ছক্কা মারেন তিনি। অন্যদিকে বিরাট ৩৫ করেন তিনটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা মেরে। সুনীল গাভাসকর স্পষ্ট জানিয়েছেন রোহিত এবং বিরাটের আরও অন্তত দু ওভার উইকেটে থাকা উচিত ছিল।
কারণ তারা যখন আউট হন তখন পর্যন্ত ম্যাচটা প্রবলভাবে ভারতের হাতেই ছিল। দুজনেই বাঁহাতি স্পিনার নওয়াজকে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন। এটা বেশ বিরক্তিকর লেগেছে সানির কাছে। কারণ একজন অন্তত টিকে থাকলে ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াত না। দুজনেই দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। তাই পরের ম্যাচগুলো একজন আউট হয়ে গেলে, অন্যজনকে চেষ্টা করতে হবে কমপক্ষে ১৫ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকার।
তবে গাভাসকর মেনে নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়া যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে ভারতের সমস্যা মিডল অর্ডারে কমে যাবে পরের ম্যাচগুলোয়। তিনি আশাবাদী যেভাবে বিরাট কোহলি ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সানি মনে করছেন হয়তো পরের ম্যাচেই একটা অর্ধশতরান আসতে চলেছে কোহলির।
Special win on a special day! ?? pic.twitter.com/7WmE7GeJMD
— Virat Kohli (@imVkohli) August 28, 2022
কারণ আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত বেশিরভাগ সময় ব্যাটের মাঝখান দিয়ে তিনি খেলেছেন। এটাই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত। অন্যদিকে রোহিত ১২ রান করলেও, তিনিও বড় রান করবেন আশাবাদী সানি। এই এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে ব্যাট হাতে প্রত্যেক ম্যাচে অবদান রাখতে হবে।
কারণ গাভাসকার জানেন আর ঠিক দু মাস পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে এই এশিয়া কাপ ভারতের অ্যাসিড টেস্ট। যাবতীয় ভুল ভ্রান্তি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেখে নেওয়ার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে টিম কম্বিনেশন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এশিয়া কাপ ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।