আলিপুরদুয়ার: ভাইফোঁটার আগে নেপালি সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা বোনকে ও বোনেরা ভাইকে উপহার দেওয়ার জন্য দেওসি ও ভৈলিনি গানের আয়োজন করে। গোর্খা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় দীপাবলির পর এই গানগুলি গেয়ে থাকেন গোর্খা সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা।
নেপালি অধ্যুষিত এলাকায় এখন কান পাতলেই শোনা যায় ভৈলিনি ও দেওসির সুর। ভৈলিনি ও দেওসি এখন আর শুধু গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। নেপালি সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক উৎসব ভৈলিনি ও দেওসি। দীপাবলির রাত থেকেই নেপালি সম্প্রদায়ের মেয়েরা সাংষ্কৃতিক পোশাক পরে ভৈলিনি সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। কালচিনি, জয়ঁগা, মঙলাবাড়ি, দলসিংপাড়া, রায়মাটাং এলাকায় দেখা যায় এই উৎসব।
আরও পড়ুন: জীবের মধ্যে দেবতার বাস, তাই গৃহপালিত পশু পুজো করেন নেপালিরা
রাধা ছেত্রী নামের এক যুবতী জানান, “সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এই আয়োজন করে থাকি প্রতিবছর দীপাবলিতে। আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে গান গাইতে ভাল লাগে।তারা যে যা দেয় তাই নিয়ে আসি।”
আরও পড়ুন: সন্ধ্যে হলেই এলাকায় নেমে আসে আতঙ্ক! তেড়েফুঁড়ে আসে ওরা, নিশ্চিন্তে ঘুমানোও দায়!
সন্ধ্যা হতেই অলিগলিতে শোনা যায় ভৈলিনি গান ‘ভৈলিনি আয়ো আঙ্গন মা’। নেপালি সম্প্রদায়ের মেয়েরা ঘর ঘর গিয়ে ভৈলিনি উৎসব পালন করে এই গান গেয়ে। এরপর নাচের আয়োজন করা হয়। সবশেষে যে যা টাকা দেয়, তা নিয়ে চলে আসেন তারা। এইভাবে ছেলেরা দেওসি উৎসবের আয়োজন করেন। দেওসি গান গাইতে ছেলেরা ঘরে ঘরে যান আর গান করেন, ‘ঝিলিমিলি ঝিলিমিলি দেওসি রে’।
Annanya Dey