Category Archives: আলিপুরদুয়ার

Alipurduar News: এখনও পাকেনি ধান! তবু রাত নামলেই দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে ‘ওরা’! চারদিকে আতঙ্ক

আলিপুরদুয়ার: সবে মাত্র ছয় বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন কৃষকেরা। ধান গাছের দেখা মিলতেই খেতে হাজির হাতির দল। নষ্ট করেছে প্রচুর ধান গাছ।

প্রতিদিন এই ঘটনা দেখতে দেখতে ক্ষিপ্ত মাদারিহাট এলাকার কৃষকরা। মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা চাষের জন্য নামকরা। এইসব এলাকাগুলিতে হয় ধান চাষ। বর্তমানে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলেন এলাকার চাষিরা। ধান গাছ শুধুমাত্র উঠেছে, এখনও বীজ আসেনি। ফসল পাকতে রয়েছে প্রচুর দেরি। এই অবস্থাতেই হাতির হানা ঘটেছে ধান চাষের জমিতে। হাতির হানায় কৃষি কাজ বিপন্ন বলে অভিযোগ এলাকার কৃষকদের।

বিশেষ করে রাতে হানা দিয়ে ছ’বিঘা জমির ফসল তছনছ করে দিয়েছে হাতির দল। এই ঘটনার পর মাথায় হাত কৃষকদের। এলাকার বাসিন্দা আলিমুল হকের দুই বিঘা ধান, মেহেমুদ ইসলামের দুই বিঘা ধান , আমিরুল হকের দুই বিঘা ধান তছনছ করে দেয়।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ! নির্বাচন মিটতেই চেনা ছন্দে পাহাড়… দেখা মিলল পর্যটকদের 

আরও পড়ুন: ভোট দিতে এসে বুথের এখানে ভিড় করছে সবাই, সেলফি তোলার হিড়িক

আলিমুল  জানান, “ভুট্টা ক্ষেতে প্রতিনিয়ত চলছে হাতির হানা। ধানের গাছ সবে মাত্র উঠছে। ফসল পাকতে প্রচুর দেরি রয়েছে, তার আগেই ধান ক্ষেতে হাতি ঢুকে তছনছ করে দিচ্ছে গাছ। এভাবে চললে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। বন দফতরের কাছে আর্জি জানাচ্ছি বিষয়টি দেখার।”

জানা যায় হাতির হানা শুরু হয় গভীর রাত থেকে। চলে ভোর পর্যন্ত। চাষের জমি থেকে কখন হাতির দল কখন চলে আসে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন এলাকার বাসিন্দারা।

অনন্যা দে

Alipurduar News: কাজ করবেন সকলের জন্য, পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার পর বললেন সুমন কাঞ্জিলাল 

আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা জানালেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে নেওয়ার পর আলিপুরদুয়ারে আসলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।গত ২৪  এপ্রিল কলকাতায় বিধানসভায় গিয়ে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন সুমন কাঞ্জিলাল।চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সেখানে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রথম বৈঠকও করেন সুমন কাঞ্জিলাল।

আরও পড়ুন: বিজেপি, সিপিএম ‘চাকরিখেকো!’ মানুষখেকো বাঘের সঙ্গে তুলনা টানলেন ক্ষুব্ধ মমতা

আগে এই পদে দায়িত্বে ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এর পরে এই পদ ফাঁকা হয়ে যায়। বিধানসভার স্পিকার এই পদে সুমন কাঞ্জিলালকে নিয়োগ করেন।

কলকাতায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বেনেওয়ার পর শুক্রবার কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে এসে নামেন সুমন কাঞ্জিলাল। এদিন সুমন কাঞ্জিলালকে উত্তরীয় এবং ফুলের তোড়া  দিয়ে সংবর্ধনা জানান আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

এ দিন সুমন কাঞ্জিলাল জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই পদে কাজ করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি। তাঁর কাজের দায়িত্ব বাড়ল।

Annanya Dey

Lok Sabha Elections 2024: ভোট দিতে গিয়ে বুথে ঢুকতেই পারলেন না তৃণমূল প্রার্থী, গোপালের ‘কপাল’ ফিরল একটু পরেই

দার্জিলিং: ভোটার কার্ড না নিয়ে আসায় ভোট দিতে পারলেন না দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। দ্বিতীয় বার ঘরে গিয়ে ভোটার কার্ড এনে ভোট দিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম মুখ গোপাল লামা। এতদিন দার্জিলিং লোকসভার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। জয়ের বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী তিনি। শিলিগুড়ি প্রধাননগরের বাসিন্দা, গোপাল লামা। শিলিগুড়ি মার্গারেট স্কুল তাঁর ভোটকেন্দ্র।

আরও পড়ুনঃ অবিকল মটনের মতো খেতে, মাত্র ৩০ টাকা কেজি! কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, বাজার খুঁজে আজই পাতে রাখুন

এ দিন ভোরে উঠে শালুগারার বৌদ্ধমঠে গিয়ে পুজো সারেন। আশীর্বাদ নেন বৌদ্ধ ভিক্ষুদের থেকে। তারপরেই তিনি চলে আসেন ভোটদান কেন্দ্রে। কিন্তু ভোটার কার্ড না নিয়ে আসায় তিনি ভোট দিতে পারেন না।

ফের ঘরে গিয়ে ভোটার কার্ড নিয়ে এসে ভোট দিতে যান তিনি। ভোটের লাইনে গিয়ে সকলের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলেন তিনি। এদিন আড্ডার মেজাজ দেখা যায় তাঁকে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশাবাদী গোপাল লামা।

Annanya Dey

Bison Attack: হাতির দোসর বাইসন, শেষে ছুঁড়তে হল ঘুমপাড়ানি গুলি

আলিপুরদুয়ার: একে হাতিতে রক্ষা নেই সঙ্গে দোসর বাইসন! হাতির তাণ্ডবে বহুদিন ধরেই আতঙ্কে আছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল এলাকার বাসিন্দারা। এবার বাইসনের তাণ্ডব শুরু হয়েছে সেখানে। তা যেন থামার নাম নেই। মথুরা চা বাগান এলাকায় বাইসনের আতঙ্কে ভুগছে শ্রমিক ও তাদের পরিবার।

বৃহস্পতিবারও তিনটি বাইসন তাণ্ডব চালায় মথুরা চা বাগানে। এর মধ্যে দুটি বাইসন আধ ঘণ্টা বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। কিন্তু একটি বাইসন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকায় তুলকালাম করতে থাকে। আতঙ্কে মথুরা চা বাগানে কাজ বন্ধ রাখেন শ্রমিকরা।

আর‌ও পড়ুন: ডায়মন্ডহারবারের মহিলা ভোট কোন দিকে?

স্থানীয় সূত্রের জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাগানে কাজ করতে গিয়ে বাইসনগুলোকে দেখতে পান চা শ্রমিকরা। ভয়ে বাগান কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপর বন দফতরে খবর দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ। খবর পাওয়ার পর জলদাপাড়া বনবিভাগের চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা আসেন। কিন্তু তার মধ্যেই দুটি বাইসন চিলাপাতার জঙ্গলে ঢুকে যায়।

শেষ পর্যন্ত বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে অপর বাইসনটিকে কাবু করে। একটি বাইসনকে ঘুমপাড়ানির গুলি ছুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। অন্য দুটি বাইসনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে বন দফতর। এদিকে ঘন ঘন বাইসনের হানায় অতিষ্ঠ বনকর্মীরাও।

অনন্যা দে

Forest Parrot Attack: হাতি বাইসন তো আছেই, এবার আকাশ পথে হামলা চালাচ্ছে এরা! মাথায় হাত ভুট্টা-চাষিদের

আলিপুরদুয়ার: শস‍্য ক্ষেতে নতুন আতঙ্কের নাম বনটিয়া। ঝাঁকে ঝাঁকে এসে সাবাড় করে দিচ্ছে শস‍্য ক্ষেত। পরিস্থিতি এমনই যে কৃষকরা কিছুই করতে পারছেন না, যেন দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়েই ঘটছে এই ঘটনা।

বন টিয়ার এই উৎপাতের বিষয়টি জানানো হয়েছে বন দফতরকে। সকালে বনটিয়া পাখি ও রাতে বুনো হাতির তাণ্ডবে মারাত্মক ক্ষতিগ্ৰস্থ হচ্ছেন আলিপুরদুয়ার জেলার সাঁতালি ও লতাবাড়ি এলাকার কৃষকরা। সকালে ঝাঁকে ঝাঁকে বন টিয়া চলে আসে শস‍্যক্ষেতে। এলাকার কৃষকদের ভুট্টা ক্ষেতে হানা দিয়ে ভুট্টা খেয়ে চলে যাচ্ছে। কিছুই বাঁচছে না। এদিকে সন্ধে হলেই বুনো হাতির দল এলকার কৃষকদের শস‍্যক্ষেতে হানা দিচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! সরকারের পরিত্যক্ত জমি এখন ফলের বাগান

এই পরিস্থিতিতে বন টিয়াকে কীভাবে আটকাবেন তা বুঝতে পারছেন না একটু ঝগড়া। ভুট্টা এখনও পাকেনি, তার আগেই কাঁচা ভুট্টা সাফ করে দিচ্ছে পাখি। কয়েকজন কৃষক টিয়া পাখি ঠেকাতে গেলে তারা ঠুকরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এই বিষয়ে অভিযোগ জানালেও বন দফতর কিছু করছে না বলে অভিযোগ। যদিও হ্যামিলটনগঞ্জ রেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

অনন্যা দে

Alipurduar News: হাতির হাত থেকে বাঁচতে আনারস চাষ! ব্যাপক ফলনে খোশ মেজাজে কালচিনির কৃষকেরা

আলিপুরদুয়ার: সুপুরির ফলন শেষ হতেই আনারসের ফলন শুরু। পরীক্ষামুলকভাবে আনারস চাষে সাফল‍্য মিলতেই মুখে হাসি কৃষকদের। সুপুরির ফল আসতেই বাগানে আনারস চাষ শুরু করেছিলেন কালচিনির কৃষকেরা। এই এলাকাটি সুপরি চাষের জন‍্য পরিচিত। তবে বেশ কিছু বছর ধরে সুপউরি বাগানে বন‍্যপ্রাণীর দাপট বেশি দেখা যাচ্ছে। সুপউরি বাগান রক্ষা করতে আনারস চাষ শুরু করেছিলেন কৃষকেরা।

পরীক্ষামুলক চাষে ফলন হওয়ায় খুশি তারা। ১৫০ টি আনারস চারা লাগানো হয়েছিল। সবকটিতেই ফল এসেছে। সাতালি এলাকার কৃষকেরা নিত‍্যনতুন ভাবনা এনে রক্ষা করে চলেছেন ফসল। বক্সা ব‍্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী এলাকা সাতালি। জেলার মধ‍্যে কৃষিপ্রধান এলাকা এটি।আবার এই এলাকাতেই দেখা যায় হাতি,বাইসন,বুনো শূকদের দৌরাত্ম্য। যার ফলে জীবিকা নিয়ে সংশয় লেগেই থাকে কৃষকদের। এলাকাটি প্রধানত সুপরি চাষের জন‍্য বিখ‍্যাত।

আরও পড়ুন:শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, পথচলতি মানুষের জলপানের তিনিই ভরসা! চেনেন এই সুরজ বাবুকে?

এ বিষয়ে এলাকার কৃষক ভানু শর্মা জানান,”সুপুরি গাছের মাঝেই আনারস গাছ রোপণ করেছি। এই গাছের পাতা শক্ত হয়। বন‍্যপ্রাণী বাগানে ঢুকলেও এই পাতার কারণে যাতায়াত করতে পারবে না। আনারস কাঁটাযুক্ত ফল কোনও বন‍্যপ্রাণী খেতেও পারবে না। আর ফল ভাল এসেছে,তাতেই আমরা খুশি।”এই আনারস বাজারে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করবেন তারা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Alipurduar News: শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, পথচলতি মানুষের জলপানের তিনিই ভরসা! চেনেন এই সুরজ বাবুকে?

আলিপুরদুয়ার: সকালে উঠেই তার কাজ মাটির কলসিতে জল ভরে রাখা। এই জলভরা কলসি তিনি বসিয়ে রাখেন তার দোকানের সামনে। উদ্দেশ্য তৃষ্ণার্তদের জল পান করানো। নিঃস্বার্থভাবে বছরের পর বছর ধরে তৃষ্ণার্তদের জল পান করিয়ে চলেছেন কালচিনির সুরজ কোনি। যেদিন থেকে তিনি দোকান খুলেছেন তখন থেকেই এই কাজ তিনি করে থাকেন।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে তার। এই সময়টুকু পর্যন্ত যারা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন তাঁদের জলপান করান তিনি। চলাচল কারি থেকে শুরু করে গাড়ির চালকরা জানেন সুরজ কোনির দোকানে মিলবে জল। বিশেষ করে গরমের দিনে মাটির কলসি জল তৃষ্ণার্তদের তৃষ্ণা মিটিয়ে দেয়। শীতের দিনে তিন কলসি জল রাখেন কিন্তু গরমের দিনে ৬ কলসি জল রেখে দেন।

আরও পড়ুন:হালকা তেল-মশলা দিয়ে কাঁচকলার টক-ঝাল তরকারি! বোরোদের এই খাবার মুখে লেগে থাকবে, জানুন সহজ রেসিপি

মাটির কলসির জল ঠান্ডা হয়। যা গরমের দিনে প্রাণ জুড়িয়ে দেয় সকলের।এই বিষয়ে সুরজ কোনি জানান,”জল না পেয়ে অনেকের শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। কাজের তাড়নায় গরম উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে বের হতেই হয়। জল সঙ্গে রাখতে ভুলে যান অনেকেই। আমি সকলের জন্য মাটির কলসিতে জল ভরে রাখি।” বছরের পর বছর ধরে বিনামূল্যে পথচলতি মানুষদের জল খাওয়াতে পেরে মন থেকে আনন্দ পান সুরজ কোনি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Raw Banana Benefits: হালকা তেল-মশলা দিয়ে কাঁচকলার টক-ঝাল তরকারি! বোরোদের এই খাবার মুখে লেগে থাকবে, জানুন সহজ রেসিপি

আলিপুরদুয়ার: কম তেল ও মশলা দিয়ে তৈরি হয় এই খাবার। গরমের দিনে কাঁচকলার টক-ঝালকে আদর্শ খাবার হিসেবে মনে করে থাকেন বোরো জনজাতির মানুষেরা।

কাঁচকলার টক-ঝাল তৈরি করতে বিশেষ উপকরণের প্রয়োজন হয় না।কাঁচকলার দরকার হয় বেশি পরিমাণে। গরমের এই সময় দেখা যায় মেচ, বোরো জনজাতির মানুষদের কলাবাগানে গিয়ে কাঁচকলা সংগ্রহ করতে।এই কাঁচকলা বাড়িতে নিয়ে এসে ছাড়ানো হয় খোসা। সবুজ অংশ যাতে না থাকে সেই ব‍্যবস্থা করা হয়। খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর তা ছোট আকারে কেটে নিতে হয়। এরপর তা জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়।

আরও পড়ুন: ফেলে দিন মিক্সি, শিলেবাটা মশলাতেই ভরসা! অবলুপ্তির পথে এই শিলনোড়া, তাও পাথরে বাটা মশলার কত গুণ

কড়াইয়ে সরষের তেল গরম হলে কালো জিরে ফোরণ দিতে হয়। এই রান্নায় কাঁচকলার সঙ্গে আলু ব‍্যবহার করা যায়। এরপর আলু ও কাঁচা কলা ভেজে নিয়ে হলুদ ও লবণ দিতে হয়।

টম্যাটো বাটা দেওয়া যায় রান্নাটিতে। টক স্বাদ এতেই এসে যায়। ঝালের জন‍্য দিতে হয় সামান‍্য পেঁয়াজ ও লঙ্কাবাটা। কষিয়ে নিয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হয়।

Annanya Dey

Bomb Hoax: মেয়েদের হস্টেলের সামনে বস্তায় ওগুলো কী! ভয়ঙ্কর কাণ্ড! বড় কিছু ঘটানোর পরিকল্পনা?

আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে বোমাতঙ্ক। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসেছে বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার হয়েছে দুটি বোমা।

বুধবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের নার্স হস্টেলের সামনে একটি বস্তা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বস্তাটি দেখে নার্সরা বিষয়টি জানান হাসপাতাল সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডলকে।

আরও পড়ুন: SSC কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন! তাকিয়ে আছে গোটা বাংলা

খবর দেওয়া হয় আলিপুরদুয়ার থানায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। বস্তাটিতে বোমা রয়েছে তা বারবার বলেছেন নার্সরা।

বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা এসে বস্তা থেকে দুটি সুতলি বোমা উদ্ধার করে। দিনে দুপুরে এই ঘটনায় স্তম্ভিত সকলেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।হাসপাতালে বোমা দিয়ে কেউ আক্রমণ শানাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

—- Annanya Dey

Elephant Attack: হাতির মাথায় কী বুদ্ধি! গাছ ফেলে ফেন্সিং উপড়ে ঢুকছে গ্রামে

আলিপুরদুয়ার: হাতির উপদ্রব অব্যাহত জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন বন বস্তিতে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে হামলা করে ক্ষেতের ফসল লন্ডভন্ড করে দেওয়ায় চাষ করতে পারছেন না বাসিন্দারা। এদিকে বেপরোয়া বুনো হাতির হানা ঠেকাতে গিয়ে মহাচিন্তিত বন দফতরের আধিকারিকরাও।

হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ট জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলির সাধারণ মানুষ। জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্ক থেকে বেড়িয়ে লোকালয়ে চলে হামেশাই চলে আসছে হাতির দল। কখনও দিনে কখনও রাতে এসে তাণ্ডব চালচ্ছে তারা। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া, শালকুমার ব্যাঙ্ডাকি, চিলাপাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে বুনো হাতির উপদ্রব। জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে হাতি কোনও সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, আবার কোনও সময় সুপরি, কলাবাগান সহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট করছে। লাগাতার চাষের জমিতে হামলা করায় গ্রামের সাধারণ মানুষ খেটেখুটে চাষ করেও ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না।

আর‌ও পড়ুন: কেরি সাহেবের নীলকুঠি পর্যটনকেন্দ্র হবে? ভোটের আগে জোরালো দাবি

এখানকার গ্রামবাসীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে হাতি। জঙ্গলের পাশে হাতি, বাইসন সহ পশুপাখিদের জন্য সিপ্টিং তার লাগানো থাকে। এই তার জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কোনও জায়গায় রয়েছে আবার কোথাও নেই। এর ফলেই হাতি সহজে লোকালয়ে চলে আসছে গ্রামে গ্রামবাসীদের ধারণা। এদিকে অনেকের অভিযোগ, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিয়মমাফিক ক্ষতিপূরণের আবেদন করলেও তা অনেকেই পাননি। এই বিষয়ে জলদাপাড়া বন বিভাগের এডিএফ‌ও নবজ্যোতি দে বলেন, ফেন্সিং তার দিয়ে হাতিকে আটকানো সম্ভব নয়। অনেক সময় হাতেই গাছ ফেলে তার ছিঁড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের কর্মীরা দেখাশোনা করছেন। এদিকে বন বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, যাদের ক্ষতি হয়েছে তাঁরা সঠিক নিয়মে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

অনন্যা দে