Tag Archives: Alipurduar news

Dengue News: ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট! ‘ডেন- থ্রি’ কতটা বিপজ্জনক, চিন্তায় স্বাস্থ্যমহল

আলিপুরদুয়ার: ডেঙ্গির প্রকোপ হবে আরও ভয়াবহ। ‘ডেন থ্রি’ ভ্যারিয়েন্টের হদিস মিলল কালচিনি ব্লকে। ঘন ঘন জ্বর, বমি হলেই ভর্তি হতে হবে হাসপাতালে। তাই আগের থেকে সতর্কবার্তা জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর। আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। ৪৪ জন কালচিনির। ডেঙ্গি রুখতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর এবং কালচিনি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পূর্বে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে সন্ধান মিলতো ‘ডেন টু’ ভেরিয়েন্টের। ফলে সাধারণ মানুষ কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অধিকাংশ রোগী বাড়িতেই সঠিকভাবে চিকিৎসা মিললে তাঁরা সুস্থ হয়ে যেতেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এবার কালচিনি ব্লকের ৩০ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের নমুনা পরীক্ষা করার পর সেখানে ৩জনের মধ্যে ‘ডেন থ্রি’ ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে। ফলে পূর্বের তুলনায় ডেঙ্গির তীব্রতা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, দিন প্রতিদিন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে এই ভেরিয়েন্ট পাল্টাতে থাকে। এরূপ পরিস্থিতিতে বেশ কিছু ডেঙ্গি আক্রান্তকেই ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। যা রপরেই ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্বাস্থ্য দফতর ও কালচিনি ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।

কালচিনি ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, “ডেন থ্রি ভেরিয়েন্টের প্রকোপ এবার ব্লকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে কিছুটা চিন্তায় রয়েছি এবং সাধারণ মানুষকে নিয়মিত এ নিয়ে সচেতন করছি।”

বর্ষার পূর্বেই কালচিনি ব্লকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। কালচিনি ব্লকে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক আক্রান্ত কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ১৪ জন আক্রান্ত রয়েছেন। যারপরে ডেঙ্গি রুখতে পুরোপুরি ময়দানে নেমে পড়েছেন তারা।

অনন্যা দে

HS Result 2024: বাবা পরি‌যায়ী শ্রমিক, মা চা বাগানের দিনমজুর! ঘর সামলেও উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য দীপশিখার

আলিপুরদুয়ার: সংসারের হাল ফেরাতে পাশাপাশি মেয়ের পড়াশুনো আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন বাবা, মা চা বাগানের শ্রমিক, সকাল হতেই বাগানের কাজে বেরিয়ে পড়েন।এরপরই একা হাতে ঘরের কাজ সামলে সময়মতো পড়াশুনো করে উচ্চমাধ্যমিকে ভাল ফল করেছে দীপশিখা লামা।সে কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের গুম্বা লাইনের বাসিন্দা।উচ্চমাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৮।সে কালচিনি হিন্দি হাইস্কুলের ছাত্রী। চা বাগানের মেয়ে দীপশিখা লামার এই ফলাফলে খুশি তার পরিবারের সদস্যদের থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারাও।

দীপশিখার বাবা পূর্বে বাগানের শ্রমিক ছিলেন, তবে সংসারের হাল ধরতে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আর মা এখনও কাজ করছেন বাগানে। ফলে একা হাতেই ঘর সামলাতে এবং ছোট বোনকে দেখাশোনা করতে হত দীপশিখাকে। এর মাঝেই সময় বের করে পড়াশোনা চালিয়ে যেত সে।স্কুল শিক্ষক ও গৃহ শিক্ষকদের সহায়তায় এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৩৮ নম্বর পেয়েছে সে। যারমধ্যে হিন্দিতে ৮৫, ইংরেজিতে ৯০, ভূগোলে ৮৫, ইতিহাসে ৮৪ এবং পলিটিক্যাল সায়েন্সে ৯৪ নম্বর পেয়েছে দীপশিখা।আগামীতে পলিটিক্যাল সায়েন্সে অনার্স করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি আমলা হতে চায় সে।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

এ বিষয়ে দীপশিখার মা শ্যামনা লামা বলেন, ‘দুই মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য আমরা কষ্ট করছি। ঘর সামলানোর পাশাপাশি দীপশিখা যে এত ভাল ফল করবে তা আমরা সত্যি ভাবিনি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে চায় আমরা করব।’

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

অন্যদিকে, দীপশিখা লামা বলেন, ‘মা বাগানে কাজে যাওয়ায় ঘরের কাজ করতে হত। ফলে নিয়মিত সময় করে পড়াশোনা করা হত না।তবে পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকে সব ভুলে কয়েকঘণ্টা পড়াশোনা করেছি, আর তারই ফল হয়তো আমার এই নম্বর।পরিবারের সদস্যরা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহায়তায় এই অর্জন আমার।’ এক চা বাগানের মেয়ে এরূপ ফল করায় খুশি এলাকার সকলে। দীপশিখার বাড়ি এসে তাকে এবং তার মা সংবর্ধনা জানান গ্রামবাসীরা।

Annanya Dey

WB HS Result 2024: ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায়! চমকে দেওয়া ফল আলিপুরদুয়ারের অন্বেষার

আলিপুরদুয়ার: সকাল সাড়ে ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চ মাধ‍্যমিকে রাজ‍্যে নবম আলিপুরদুয়ারের অন্বেষা দত্ত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে তাঁর।

আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার সীমানায় অবস্থিত খোলটা এলাকায় বসবাস অন্বেষার। একান্নবর্তী পরিবারের মেয়ে। এলাকাটি এমন, যেখানে মেয়েদের বিয়ে যত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায় তার ব‍্যবস্থা করেন বাবা-মায়েরা।

আরও পড়ুন: ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, ৯০ শতাংশ পাশ! রেজাল্ট দেখুন সরাসরি এক ক্লিকে

সেখানে দাঁড়িয়ে মেয়েকে শিক্ষিত করার জন‍্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্বেষার বাবা। মেয়েকে চার কিলোমিটার দূরে স্কুলে দিয়ে আসা, টিউশনে নিয়ে যাওয়া সব করতেন তাঁর বাবা। অন্বেষা বাবার এই অবদানের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান। কলাবিভাগ নিয়ে পড়ে রাজ‍্যে নবম হবেন তা তিনি বুঝতে পারেনি।

এই বিষয়ে অন্বেষা বলেন, “খুব ভোরে উঠে কখনও পড়িনি। যেটা ভুল হত, সেটা বেশি করে পড়তাম। মন যেটা পড়তে বলত সেটাই পড়তাম।” ইংরেজি বিষয়টি ভালবাসেন অন্বেষা। ভবিষ‍্যতে এই বিষয় নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান তিনি। অন্বেষার সাফল‍্যে খুশি গ্রামবাসীরা।

Annanya Dey

Alipurduar News: ১৫ দিন লুকিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে খাঁচায় লেপার্ড! স্বস্তি চিঞ্চুলা চা বাগানে

আলিপুরদুয়ার: লেপার্ডের আক্রমণে সম্প্রতি আহত হয়েছিলেন এক মহিলা শ্রমিক। তারপরেই পাতা হয় খাঁচা।এদিন সকালে খাঁচায় দেখা মেলে এক লেপার্ডের। ১৫ দিনের মাথায় খাঁচাবন্দি হল লেপার্ড। চা বাগান থেকে বন দফতরের পাতা খাঁচায় খাঁচাবন্দি হল লেপার্ড।‌

মঙ্গলবার সাতসকালে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের চিঞ্চুলা চা বাগান থেকে লেপার্ডটি উদ্ধার হয়। এদিন সকালে চা বাগানের ৮ নম্বর সেকশনে খাঁচাবন্দি লেপার্ডটিকে দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা বন দফতরে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা মোবাইল রেঞ্জের বন কর্মীরা।

আরও পড়ুন:গরমে হিট শসা মাখা! নতুন রেসিপিতে মজেছে আলিপুরদুয়ার

খাঁচাবন্দি লেপার্ডটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শ্রমিকদের তরফে জানা যায় এলাকায় লেপার্ডের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি লেপার্ডের আক্রমণে একজন মহিলা শ্রমিক আহত হয়েছিল। এরপর তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে বন দফতরের তরফে খাঁচা বসানো হয় বাগানে। লেপার্ড টি উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শ্রমিকরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Alipurduar News: বাড়ি ফেরার তাড়াই হল কাল! দুর্ঘটনায় মৃত্যু চিকিৎসকের

আলিপুরদুয়ার: জয়গাঁ জিএসটি মোড় সংলগ্ন এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা ব্যবহার করতে গিয়ে এই ঘটনা। রবিবার গভীর রাতে প্রতীক নায়ার নামের ওই চিকিৎসক ছোটো গাড়ি চালিয়ে পাশাখা থেকে জি এস টি মোড় আসছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেন গাড়ি নিয়ে তিনি।

রাতের বেলায় গাড়িটি দেখতে না পেয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। জোরে আওয়াজ হওয়াতে পুলিশকর্মীরা তাকে সেখান থেকে বের করে। রক্তাক্ত হয়েছিলেন প্রতীক নায়ার। তাকে সেখান থেকে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির এক জন দন্ত চিকিৎসক।

আরও পড়ুন:হাই-প্রেশার, বাতের ব্যথা গায়েব হবে! এই চেনা শাক খেলে ছুঁতেও পারবে না গরম!

জয়ঁগাতে তার ক্লিনিকে এসেছিলেন ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর বাড়ি টোটোপাড়াতে। এই বিষয়ে মৃতের বড় মেসো হরেন্দ্রনাথ শৈব জানান,”আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। বিকেলেও কথা হয়েছিল। কি থেকে যে কি হয়ে গেল। বাড়ি ফেরার তাড়া ওর প্রাণ কাড়ল।” পাঁচ বছর হল এই পেশায় যুক্ত হয়েছে প্রতীক নায়ার বলে জানান তিনি। সন্ধ্যায় বীরপাড়ায় চেম্বার করে জয়গাঁতে এসেছিলেন। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Alipurduar News: অনাবৃষ্টিতে মাঠের ফসল মাঠেই শুকিয়ে শেষ! জেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষতি সবজি চাষে

আলিপুরদুয়ার: তীব্র দাবদাহে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন সবজি চাষীরা, বিশেষ করে পটল চাষে হয়েছে ক্ষতি। তীব্র দাবদাহ,বৃষ্টিপাত নেই এছাড়া অনেক জায়গয় জলসেচের ব্যবস্থা নেই আর এর ফলে মাঠে গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে জলের অভাবে। মাথায় হাত আলিপুরদুয়ার জেলার কৃষকদের।বর্তমানে ডুয়ার্সে প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্ৰিতে ঘুরছে।

কৃষকরা জানান, এত বেশি তাপমাত্রা ডুয়ার্সে কোনো সময় লক্ষ্য করা যায়নি। এবার অতিরিক্ত তাপমাত্রা, ঘর থেকেই বের হননা কেউ। দাবদাহের প্রভাব সরাসরি পড়েছে সবজি চাষে। এর ফলে পটল, ঝিঙ্গে, করলা সমস্ত ফসলের গাছ মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ঘরে ফসল তুলতে পারছেনা কৃষকরা।

আরও পড়ুন: জেলার সম্মান বাড়ালেন শৌর্য্যদীপ, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ করতে পাড়ি জমালেন তরুণ

কালচিনি ব্লকের সাঁতালি এলাকার কৃষকরা জানান বৃষ্টি নেই আর বিঘের পর বিঘা পটল, ঝিঙ্গে, করলা সব গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঠেই পটল শুকিয়ে যাচ্ছে এখন ঘরে পটল তোলার সময় বাজারে ও পটলের যথেষ্ট দাম রয়েছে কিন্ত এত তীব্র দাবদহে প্রায় সমস্ত পটল গাছ শুকিয়ে গেছে। পটল লাল আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে। আগামী দিনে কিভাবে চলবে এই নিয়ে চিন্তায় রয়ছে কৃষকরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Alipurduar News: তীব্র গরমে ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন! বিদ্যুৎ দফতরে ‌যা করলেন বাসিন্দারা!

আলিপুরদুয়ার: গরমে নাজেহাল অবস্থা। ৩৬ ডিগ্ৰি তাপমাত্রায় ক্লান্ত সকলেই। অপরদিকে প্রায় ৪৮ ঘন্টারও সময় ধরে বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা।ক্ষিপ্ত কালচিনি ব্লকের মানুষেরা। অসহ্য গরমে থাকতে না পেরে কালচিনি বিদ্যুৎ দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখালেন মেচপাড়া, ভাটপাড়া ও আচ্ছাপাড়ার বাসিন্দারা। এদিন কালচিনি বিদ্যুৎ দফতরের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা।

তারা জানান, সামান্য বৃষ্টির পর থেকেই এলাকায় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে বিষয়েও কোনও কিছু বলা হচ্ছে না। এরপর এদিন এনিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে অভিযোগ করতে এলে কার্যালয়ে কালচিনি বিদ্যুৎ বিভাগের ম্যানেজারকে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন:হালকা তেল-মশলা দিয়ে কাঁচকলার টক-ঝাল তরকারি! বোরোদের এই খাবার মুখে লেগে থাকবে, জানুন সহজ রেসিপি

বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকলে কতটা সমস্যা হতে পারে তা বোঝানোর জন্যই দফতরের সব বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু না জানালে এভাবেই তারা ধরনায় থাকবেন বলে জানান মেচপাড়া, আচ্ছাপাড়া সহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা। ঘণ্টা খানেক বিক্ষোভ চলার পর বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের আশ্বাসে বাসিন্দারা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey

Alipurduar News: এখনও পাকেনি ধান! তবু রাত নামলেই দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে ‘ওরা’

সবে মাত্র ছয় বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন কৃষকেরা। ধান গাছের দেখা মিলতেই খেতে হাজির হাতির দল। নষ্ট করেছে প্রচুর ধান গাছ।

Alipurduar News: এখনও পাকেনি ধান! তবু রাত নামলেই দল বেঁধে হামলা চালাচ্ছে ‘ওরা’! চারদিকে আতঙ্ক

আলিপুরদুয়ার: সবে মাত্র ছয় বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন কৃষকেরা। ধান গাছের দেখা মিলতেই খেতে হাজির হাতির দল। নষ্ট করেছে প্রচুর ধান গাছ।

প্রতিদিন এই ঘটনা দেখতে দেখতে ক্ষিপ্ত মাদারিহাট এলাকার কৃষকরা। মাদারিহাটের খয়েরবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকা চাষের জন্য নামকরা। এইসব এলাকাগুলিতে হয় ধান চাষ। বর্তমানে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলেন এলাকার চাষিরা। ধান গাছ শুধুমাত্র উঠেছে, এখনও বীজ আসেনি। ফসল পাকতে রয়েছে প্রচুর দেরি। এই অবস্থাতেই হাতির হানা ঘটেছে ধান চাষের জমিতে। হাতির হানায় কৃষি কাজ বিপন্ন বলে অভিযোগ এলাকার কৃষকদের।

বিশেষ করে রাতে হানা দিয়ে ছ’বিঘা জমির ফসল তছনছ করে দিয়েছে হাতির দল। এই ঘটনার পর মাথায় হাত কৃষকদের। এলাকার বাসিন্দা আলিমুল হকের দুই বিঘা ধান, মেহেমুদ ইসলামের দুই বিঘা ধান , আমিরুল হকের দুই বিঘা ধান তছনছ করে দেয়।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ! নির্বাচন মিটতেই চেনা ছন্দে পাহাড়… দেখা মিলল পর্যটকদের 

আরও পড়ুন: ভোট দিতে এসে বুথের এখানে ভিড় করছে সবাই, সেলফি তোলার হিড়িক

আলিমুল  জানান, “ভুট্টা ক্ষেতে প্রতিনিয়ত চলছে হাতির হানা। ধানের গাছ সবে মাত্র উঠছে। ফসল পাকতে প্রচুর দেরি রয়েছে, তার আগেই ধান ক্ষেতে হাতি ঢুকে তছনছ করে দিচ্ছে গাছ। এভাবে চললে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। বন দফতরের কাছে আর্জি জানাচ্ছি বিষয়টি দেখার।”

জানা যায় হাতির হানা শুরু হয় গভীর রাত থেকে। চলে ভোর পর্যন্ত। চাষের জমি থেকে কখন হাতির দল কখন চলে আসে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন এলাকার বাসিন্দারা।

অনন্যা দে

Alipurduar News: হাতির হাত থেকে বাঁচতে আনারস চাষ! ব্যাপক ফলনে খোশ মেজাজে কালচিনির কৃষকেরা

আলিপুরদুয়ার: সুপুরির ফলন শেষ হতেই আনারসের ফলন শুরু। পরীক্ষামুলকভাবে আনারস চাষে সাফল‍্য মিলতেই মুখে হাসি কৃষকদের। সুপুরির ফল আসতেই বাগানে আনারস চাষ শুরু করেছিলেন কালচিনির কৃষকেরা। এই এলাকাটি সুপরি চাষের জন‍্য পরিচিত। তবে বেশ কিছু বছর ধরে সুপউরি বাগানে বন‍্যপ্রাণীর দাপট বেশি দেখা যাচ্ছে। সুপউরি বাগান রক্ষা করতে আনারস চাষ শুরু করেছিলেন কৃষকেরা।

পরীক্ষামুলক চাষে ফলন হওয়ায় খুশি তারা। ১৫০ টি আনারস চারা লাগানো হয়েছিল। সবকটিতেই ফল এসেছে। সাতালি এলাকার কৃষকেরা নিত‍্যনতুন ভাবনা এনে রক্ষা করে চলেছেন ফসল। বক্সা ব‍্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী এলাকা সাতালি। জেলার মধ‍্যে কৃষিপ্রধান এলাকা এটি।আবার এই এলাকাতেই দেখা যায় হাতি,বাইসন,বুনো শূকদের দৌরাত্ম্য। যার ফলে জীবিকা নিয়ে সংশয় লেগেই থাকে কৃষকদের। এলাকাটি প্রধানত সুপরি চাষের জন‍্য বিখ‍্যাত।

আরও পড়ুন:শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, পথচলতি মানুষের জলপানের তিনিই ভরসা! চেনেন এই সুরজ বাবুকে?

এ বিষয়ে এলাকার কৃষক ভানু শর্মা জানান,”সুপুরি গাছের মাঝেই আনারস গাছ রোপণ করেছি। এই গাছের পাতা শক্ত হয়। বন‍্যপ্রাণী বাগানে ঢুকলেও এই পাতার কারণে যাতায়াত করতে পারবে না। আনারস কাঁটাযুক্ত ফল কোনও বন‍্যপ্রাণী খেতেও পারবে না। আর ফল ভাল এসেছে,তাতেই আমরা খুশি।”এই আনারস বাজারে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করবেন তারা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Annanya Dey