প্রতীকী ছবি৷

South Bengal weather update: সঙ্গে ছাতা না রাখলে বিপদ! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহভর কেমন বৃষ্টি, জানাল হাওয়া অফিস

কলকাতা: প্রচণ্ড গরমে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার যোগার। উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি হলেও পুড়ছিল বাকি রাজ্য। তবে কিছুদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। কবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে আশার আলো শোনালো আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী চার-পাঁচ দিন কলকাতার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হবে। তবে সেটা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের। ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনার কথা আপাতত নেই। গাঙ্গেয় পচিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে গেলেও পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগামী ৫ দিনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করবে।
২১ জুন বর্ষা এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। বর্তমানে মৌসুমী বায়ু উত্তরবঙ্গের সব এলাকা এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় ঢুকে পড়েছে।

আরও পড়ুন: ‘গরিবের পার্টির’ তকমা খুইয়েছে সিপিএম? এখনও ফেরেনি ভরসা, স্বীকার দলের রিপোর্টেই

দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা ও পশ্চিমের কিছু এলাকায় মৌসুমী বায়ু ঢুকতে এখনও বাকি রয়েছে। আগামী বুধ- বৃহস্পতিবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের বাকি এলাকাতেও মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করে যাবে। মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করায় গরম না বাড়লেও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকবে তাই বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে।

সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা গোটা দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গল-বুধবার থেকে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ‘ফেয়ারলি ওয়াইড স্প্রেইড রেইন’ থাকার সম্ভাবনা সপ্তাহ জুড়ে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝড়ো হওয়ার সর্তকতাও রয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকবে।

সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গেও। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ২৪ তারিখ থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে। আগামী ২৫ থেকে ২৭ তারিখে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতে। জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার এই তিন জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার একইভাবে দার্জিলিং ও কালিম্পং বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা এই দুই পার্বত্য জেলাতে। এর ফলে ফের নদীর জলস্তর বাড়ার এবং নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা থাকছে