লাইফস্টাইল Weekend Trip:সাহিত্যিকদের পছন্দের পালামৌ, চারদিকে পাতায় ঢাকা, সুন্দর লেকে ভ্রমণ, চট করে ঘুরে আসুন, রইল সুলুক সন্ধান Gallery October 16, 2024 Bangla Digital Desk : শীতে পশ্চিম ভ্রমণ বহুকাল ধরে বাঙালির ভ্রমণ পরিকল্পনার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এবার যদি পালামৌর কথা ওঠে, তার সঙ্গেও রয়েছে বাঙালির বিশেষ যোগ। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বড় ভাই সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পালামৌ নামের ভ্রমণোপন্যাসের কথা এক্ষেত্রে না বললেই নয়। তিনি যখন গিয়েছিলেন, দেখেছিলেন “পালামৌ পরগণায় পাহাড় অসংখ্য, পাহাড়ের পর পাহাড়, তাহার পর পাহাড়, আবার পাহাড়; যেন বিচলিত নদীর সংখ্যাতীত তরঙ্গ”। পালামৌর সেই সৌন্দর্য আজও অব্যাহত। কেউ যদি শহরের কোলাহল থেকে দূরে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে শীতে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তবে তাঁর অবশ্যই ঝাড়খন্ডের এই জায়গাগুলো ঘুরে দেখা উচিত। বর্ষাকালের পরই শীতের মরশুম শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে কেউ যদি এই শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে মেদিনীনগর শহর সম্পর্কে জেনে রাখা দরকার। এই শহরের উত্তর কোয়েল নদীকে পৌর কর্পোরেশন খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। সবরমতি রিভার ফ্রন্টের আদলে তৈরি করা হয়েছে শাহপুর ব্রিজ, যা দেখে সবাই রোমাঞ্চিত হবে। এছাড়া এখানে একটি পার্কও রয়েছে, যেখানে বসার জন্য রাজস্থানি সাজে বেঞ্চ সাজানো রয়েছে। কেউ যদি ট্রেনে করে এই মেদিনীনগর শহরে আসেন, তাহলে প্রথমেই তাঁর ঘুরে নেওয়া উচিত স্টেশনের কাছে গান্ধী উদ্যান পার্ক। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন গঠনের পর এই পার্কে রয়েছে ওপেন এয়ার থিয়েটারের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার জন্য একটি মজার জোন। এছাড়াও রয়েছে ৭ডি থিয়েটার, মিকি মাউস এবং শিশুদের জন্য অনেক ধরনের দোলনা। সন্ধ্যার পর এখানে মানুষের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি। মেদিনীনগরের পূর্বে অবস্থিত পর্বতটিও অত্যন্ত সুন্দর। এই পাহাড়টি প্রায় ৫০১ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এখানে পাহাড়ের নীচে একটি পার্ক রয়েছে, যেখানে পাহাড়ের উচ্চতা থেকে শহরের একটি সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। সেখান থেকে NH ৩৯-এ ছুটে চলা যানবাহন দেখা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর হতে পারে। কেউ যদি রাঁচি থেকে পালামৌতে আসেন, তাহলে সাতবারওয়া ব্লকে মালয় বাঁধ অপেক্ষা করে রয়েছে তাঁর জন্য, যা সাতটি পাহাড়ে ঘেরা রয়েছে। এটির চারপাশে প্যাডেল বোট ভ্রমণ করা যায় মাত্র ৫০ টাকায়। এই মোটর বোট ভ্রমণ সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চালু থাকে। পালামৌ এবং লাতেহারের সীমান্তে রয়েছে কেচকি সঙ্গম, পর্যটকরা সারা বছরই এখানে আসেন। এই জায়গাটিকে বন বিভাগ সুন্দর করে সাজিয়েছে এবং পর্যটন বিভাগ দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। এই এলাকায় একটি পার্ক এবং আবাসন রয়েছে। এটি কোয়েল এবং ঔরঙ্গাবাদ নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। ঔরঙ্গাবাদ নদীর উপর ট্রেন চলাচলের জন্য একটি সেতু রয়েছে। সেখান দিয়ে যাওয়া ট্রেনের দৃশ্যও প্রচুর লোককে আকর্ষণ করে।