কালো হলুদের নাম শুনেছেন? কতটা উপকারি, জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ

কলকাতা– রান্না কিংবা খাবারে রঙ আনার জন্য হলুদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর হলুদের গুণাগুণ তো সকলেরই জানা। নানা রোগের প্রতিকার করতে একদম ওষুধের মতো কাজ করে এই ভেষজ। কিন্তু কালো হলুদের সম্পর্কে কি কেউ কখনও শুনেছেন! অধিকাংশ মানুষই এই হলুদের বিষয়ে কিছুই জানেন না। আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করে নেওয়া যাক, এই উপকারী ভেষজের বিষয়ে।

আসলে কালো হলুদের মধ্যে কারকিউমিন এবং অন্যান্য যৌগ রয়েছে। আর এর উপযোগিতা জানলে সকলেই তা ব্যবহার করতে চাইবেন। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই কালো হলুদ। সেই সঙ্গে শরীরের ব্যথা-বেদনা এবং দাঁতের ব্যথা-সহ একাধিক রোগের ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকর এটি।

আরও পড়ুন- মুক্তোর মতো উজ্জ্বল দাঁত,ব্যথার কষ্ট গায়েব,এই ৪ নিয়মে বয়সেও মাড়ির জোর থাকবে

উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনের প্রসিদ্ধ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. সিরাজ সিদ্দিকি Local 18-এর কাছে এই ভেষজের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে, কালো হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে সকলে ওয়াকিবহাল নন। আসলে রান্না করার সময় এই হলুদ ব্যবহার করা হয়।

আর এর ঔষধি গুণের কারণে এটি ওষুধেও ব্যবহৃত হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Curcuma Cassia। এটি ঐতিহ্যগত ভাবেও ব্যবহৃত হত। কিন্তু এখন এটি নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয়েছে।

স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে কালো হলুদ খুবই উপকারী। স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। কারও যদি অ্যালজাইমার্সের সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁদের জন্যও এই কালো হলুদ অত্যন্ত উপকারী। কারণ এর মধ্যে রয়েছে কারকিউমেনাইটস।

এর পাশাপাশি কালো হলুদের মধ্যে পাওয়া যায় অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানও। যা ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে। আবার যাঁরা ত্বকে ব্রণর সমস্যায় জেরবার, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা নিবারণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কালো হলুদ।

আরও পড়ুন- সায়েস্তা হবে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থেকে ওজন, শুধু এই নিয়মে খান রসুন

সেই সঙ্গে যাঁদের পেট সংক্রান্ত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্যও উপকারী এটি। আসলে কালো হলুদকে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে ব্রণর জায়গায় লাগালে সেই সমস্যা থেকে অনায়াসে মুক্তি পাওয়া যায়।

এছাড়া ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই এক চামচ কালো হলুদের সঙ্গে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি মিহি মিশ্রণ তৈরি করে গোটা মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর মিনিট কুড়ি পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে মুখে উজ্জ্বলতা আসবে।