ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে আটক রাহুল গান্ধি! প্রশ্ন: কোন আইনে?

#লখনউ: হাতরসে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার পথেই উত্তর প্রদেশ পুলিশ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে আটক করল। কয়েক প্রস্থ লাগাতার ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জের পর এদিন রাহুল গান্ধিকে আটক করা হয়। রাহুলের সপাট প্রশ্ন, আমি কি অন্যায় করেছি? কোন আইনে আটক করা হচ্ছে আমায়?

এদিন যমুনা সেতুতে পৌঁছতেই ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়েন রাহুল গান্ধি। গাড়ি যেতে বাধা দেওয়া হলে, রাহুল হেঁটে যাওয়া শুরু করেন। তখন শুরু হয় ধস্তাধস্তি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা যমুনা সেতু থেকে নড়েনি। পুলিশের যুক্তি, ছিল পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ যুক্তি না মেনে এগোতেই রাহুল গান্ধিকে আটক করা হয়।

ক্ষুব্ধ রাহুল ট্যুইটারে লেখেন, “উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। সরকার এতটাই ভীত যে কেউ শোকগ্রস্থর সঙ্গে দেখা করলেও সরকারকে ভয় পেতে হয়।”

রাহুল গান্ধি এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে, তাই আমরা পায়ে হেঁটেই এগোচ্ছিলাম। এর মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এ দেশে কি শুধু নরেন্দ্র মোদিই হাঁটবেন? সাধারণ মানুষের হাঁটারও অধিকার নেই?”

হাতরাস কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা দেশ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করে তদন্তের বিষয়ে জোর দিয়েছে। নানা আশ্বাসও দিয়েছে আদিত্যনাথ সরকার। কিন্তু তাতেও চিড়ে ভিজছে না। ইতিমধ্যেই আদিত্যনাথের ইস্তফা চেয়ে সরব সব পক্ষ। এই পরিস্থিতিতেই হাতরাসে মৃত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ও রাহুল গান্ধি।

উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণ কাণ্ডের আঁচ এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও। এদিন কংগ্রেস, বাম, ভীম রাও আর্মির সদস্যরা জোট বেধে প্রতিবাদ করেন নয়াদিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন ও ইন্ডিয়া গেটের সামনে। সেখান থেকে ৩২ জন জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

যোগী সরকারকে একহাত নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি একটি ভার্চুয়াল বিবৃতিতে বলেন, “আপনি প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন? এক ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার? একজন মা তাঁর মৃত সন্তানের দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে পারল না। আপনার সরকার কী ভাবে এত অমানবিক হয়?” ট্যুটটারে সরব হনরাহুল গান্ধিও। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। তিনি লেখেন, “বিজেপি সরকার দলিতদের দমিয়ে রাখছে। আমাদের লড়াই এই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে।”