C V Anand Bose: রাজ্যপালের ‘রিপোর্ট কার্ড’, বেআইনি নির্দেশিকা জারি করছে রাজ্য, কড়া বিবৃতি রাজ্যপালের! পাল্টা শিক্ষামন্ত্রী

কলকাতা: আবারও উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে অপসারণ ও সেই উপাচার্যকেই পুনরায় নিয়োগ উচ্চ শিক্ষা দফতরের, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কড়া চিঠি, এইসব ইস্যুকে সামনে রেখেই রাজ্যপালের কড়া রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করল রাজভবন। আর যা নিয়েই পাল্টা ব্যঙ্গ করে এক্স হ্যান্ডেল এ পোস্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

পাশাপাশি, নাম না করে গৌড়বঙ্গ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সব ক্ষমতাও কেড়ে নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে অর্ডার জারি করেছে রাজভবন। সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করেছিলেন রাজ্যপাল। তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠনের অনুষ্ঠান গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: তুমুল কটাক্ষ…বিজেপি-কে ‘কেউটে সাপে’র সঙ্গে তুলনা! মাত্র ‘৭ টাকা’ বাড়ানো নিয়ে মোদি সরকারকে তুলোধনা মমতার

যদিও সেই উপাচার্যকেই পুনরায় বহাল রাখার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। আর এবার গতকাল রাতেই রাজভবনের তরফে জারি করা অর্ডারে স্পষ্ট বলে দিয়েছে, যাদবপুর বা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপাচার্য হিসেবে থাকলেও যে অর্ডার বা নির্দেশিকা জারি করবেন সেগুলো হবে বেআইনি। শুধু তাই নয় বুধবার রাতে রাজভবনের তরফে প্রকাশ করা রিপোর্ট কার্ডে উচ্চশিক্ষা দফতরের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।

রিপোর্ট কার্ডে বলা হয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর ব্যর্থ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বিধি প্রস্তুত করতে।এও বলা হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বার্থ বিরোধী কাজ করছে। পাশাপাশি, গত এক তারিখে উচ্চশিক্ষা দফতর যে অ্যাডভাইজারি জারি করেছে তারও কড়া নিন্দা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি আমরা করে দেব..,’ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা ভেবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলনেত্রী, আশ্বাস দিলেন মমতা

পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রশাসনে রাজ্যের হস্তক্ষেপ নিয়েও নিন্দা করা হয়েছে এই রিপোর্ট কার্ডে। রিপোর্ট কার্ডে বলা হয়েছে শিক্ষা দফতরের অধীনে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নয়। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত। রাজ্য সরকার টাকা দেয় মানে সেটা চারিটি করার জন্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব তহবিল রয়েছে। সেখান থেকেও টাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

পাশাপাশি, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রিপোর্ট কার্ডে করা মন্তব্য করেছে রাজ্যপাল। অস্থায়ী উপাচার্য পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত নিয়োগ মানে তিনি চিরস্থায়ী নয়। রাজ্য সরকার সেই আইন ভাঙছে। উপাচার্য নিয়োগ জটিলতা কাটাতে সম্প্রতি দুবার রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী বৈঠক করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বৈঠক করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ফের রাজভবনের এই রিপোর্ট কার্ড আবারও রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাত বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।