আগামী দিনে সোনার দাম কত হতে পারে, সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা মুশকিল। তবে সোনার দাম বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এদিকে আবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সোনার জনপ্রিয়তা রয়েছে তুঙ্গে। ভূ-অর্থনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনের জেরে মূল্যবান হলুদ ধাতুর দর বর্তমানে উর্ধ্বমুখী।কিন্তু ২০২৭ সালের পর কি সোনার দাম আদৌ কমবে? এমনিতে বরারবরই সুরক্ষিত সম্পদ হিসেবেই গণ্য করা হয় সোনাকে। বিশেষ করে আর্থিক অনিশ্চয়তার কালে তো বটেই! সাম্প্রতিক কালে সোনার দর রয়েছে উর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং ব্রোকারেজের দাবি, এই প্রবণতা আগামী তিন বছর অর্থাৎ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে। আর সাম্প্রতিক কালে সোনার এই দর বৃদ্ধির দিন দিন সর্বকালের সেরা উচ্চতায় পৌঁছতে দেখা গিয়েছে।এর অন্যতম কারণ হল – গ্লোবাল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের বায়িং ভাল ছিল। এর পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক অশান্তি, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের নীতি, ডলারের মূল্যে ওঠা-নামা তো রয়েছেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ভবিষ্য়তে কি সোনার দাম কমবে? সেটাই দেখে নেওয়া যাক।সোনার দামের ভবিষ্যৎ: আমরা যদি ভবিষ্যতের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব যে, সোনার দামের আউটলুক বিভিন্ন গতিশীল কারণের উপর নির্ভরশীল থাকে। সেই কারণগুলিই নীচে উল্লিখিত করা হল।গ্লোবাল ইকনমিক রিকভারি: বর্তমান চ্যালেঞ্জ থেকে অর্থনীতি কত দ্রুত এবং সফল ভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে মূল্যবান ধাতুর বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে।প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ: সোনার সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ গতিবিধি পরিমাপ করার জন্য মূল রেজিস্ট্যান্স এবং সাপোর্ট লেভেলগুলি পর্যবেক্ষণ করবেন বিশ্লেষকরা।বাজারের প্রবণতা বা মার্কেট সেন্টিমেন্ট: ভবিষ্যতের দরের ওঠা-নামার উপর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং রিটেল ট্রেডারদের আচরণ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের খবরের প্রতিক্রিয়ায়।সোনার দামে সাম্প্রতিক বৃদ্ধির কারণগুলি অনুধাবন করা পণ্যের বাজারে জড়িত যে কোনও ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক বিষয় এবং মানিটারি পলিসির ওঠা-নামা – এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে বাজারের অবস্থা বেশ অস্থির।কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে রয়েছে নানা ধরনের সুযোগও। ফলে এই সব বিষয়ের উপর নজর রাখলে এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।
