Report: Anju Prajapati
অঞ্জু প্রজাপতি, রামপুর: অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করবেন। এমনই মনস্কামনা নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু পথেই যে ‘লালা’-এর দর্শন হয়ে যাবে কে জানত! আসলে জীবন বোধহয় এরকমই। এমন সব মুহূর্ত তৈরি হয় যা শুধু স্মরণীয় হয়ে থাকে তাই নয়, অন্যদেরও অনুপ্রেরণা যোগায়।
কথায় বলে, জীবন মানে এক দীর্ঘ যাত্রাপথ। সেই পথে যে সবসময় গোলাপ বিছানো থাকবে, তা কখনওই নয়। কাঁটা থাকবে। রক্তাক্ত হতে হবে। কিন্তু মণি-মুক্তোও মিলবে। সেটাই জীবনের তৃপ্তি। ঠিক এমনটাই ঘটেছে মীনার জীবনে।
ব্যাপারটা কী? রামলালার দর্শন করতে দিল্লি থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন রাম কুমার এবং তাঁর স্ত্রী মীনা। মীনা গর্ভবতী। তাঁর ইচ্ছা হয়েছিল গর্ভাবস্থায় একবার রামলালার দর্শন করবেন। সেই মতো অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু ট্রেনেই প্রসব করেন মীনা। ‘লালা’-এর দর্শন হয়ে যায় পথেই।
ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে রাম কুমার বলেন, “গতকাল অযোধ্যা যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমরা দিল্লি থেকে ট্রেনে উঠি। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎই স্ত্রী প্রসব বেদনা শুরু হয়। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। টেনে উপস্থিত যাত্রীদের জানালাম। আমার কথা শুনে এক মহিলা এগিয়ে এলেন। তিনিই সবরকম সাহায্য করেন। এরপর সাড়ে এগারোটা নাগাদ সন্তানের জন্ম দেন মীনা।’’
জানা গিয়েছে, মীনা যখন সন্তান প্রসব করছেন ট্রেন তখন রামপুর স্টেশনে ঢুকছে। স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেন। মীনাকে রামপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নবজাতক ও মীনার দেখভাল করেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মা এবং শিশু দু’জনেই সুস্থ আছেন। কোনও সমস্যা নেই।
মীনার অভিজ্ঞতা: মীনা বলেন, অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ট্রেনেই প্রসব বেদনা শুরু হয়। রামপুর স্টেশনের কাছে ভূমিষ্ঠ হয় সন্তান। আমি এবং সন্তান, দু’জনেই ভাল আছি। এখন সন্তানকে নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই। সঙ্গে মীনা জানান, রামলালার দর্শন করতে গিয়ে অমূল্য উপহার পেয়েছেন তিনি। এই যাত্রা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।