আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় (বাঁদিকে)৷

RG Kar Medical College rape and murder case: আরজি কর কাণ্ডের পর মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর! বড় পদক্ষেপ পুলিশ কমিশনারের

কলকাতা:  আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর সাবধান হচ্ছে রাজ্য। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে। চিহ্নিত করা হবে অপরাধপ্রবণ এলাকা।

পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, এলাকায় কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় তা জানতে হবে। পুলিশ মোতায়েন বাড়াতে হবে। মহিলাদের বাইকবাহিনী বা উইনার্সকে কাজে লাগাতে হবে বেশি করে। মহিলা পুলিশকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার নজরদারি বাড়াতে হবে, সরকারি হাসপাতাল, মহিলা হস্টেলের মতোও জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা উচিত।

আরও পড়ুন- মামলা নিষ্পত্তি করতে সাব-ইন্সপেক্টর যা ঘুষ চাইলেন…ভাইরাল অডিওতে সব ফাঁস

রাজ্যে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে। এমন কি এই নজরদারির আওতায় বাহিনীর কর্মীরাও থাকবেন। মহিলাদের ওপর কোনও ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, এমনই নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের।

আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে উত্তাল কলকাতা। সঞ্জয়কে নিয়ে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীরা তুলে ধরার পর যখন সঞ্জয় বুঝতে পরে যে সে ধরা পড়ে গিয়েছে, তখন কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।

আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ, দু’চোখ-সহ একাধিক জায়গা থেকে রক্তপাতের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার।