শিবরাত্রির ব্রতীদের কাছে উপবাস পালন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ মনে করা হয় উপবাস ব্রত পালনে চিত্তশুদ্ধি হয়৷ পাশাপাশি, মন্ত্রপাঠ, মহাদেবকে দুধ, দই, ঘি, মধু, চন্দন, আখের রস, গঙ্গাজল-সহ নানা উপচারের অর্ঘ্য নিবেদন করেন পুণ্যার্থীরা৷বিশ্বাস করা হয় যে মহাশিবরাত্রির উপবাস সাধককে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে, দুঃখ, রোগ এবং ত্রুটি দূর করেআজ মহা শিবরাত্রি৷ ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় এই শৈব পার্বণ৷ আজ মহা শিবরাত্রি।পঞ্জিকা মতে আজ ৮ মার্চ রাত ৯ টা ৫৭ মিনিটে পড়ছে শিবরাত্রির তিথি। পরের দিন ৯ মার্চ সন্ধে ৬ টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত চলবে।অনেকে আজ থেকেই শিবরাত্রির নির্জলা উপবাস শুরু করে দিয়েছেন।তবে এই শিবরাত্রির উপবাস ভাঙার সময় কী কী খেতে পারবেন জানেন ?ডাবের জল: নির্জলা উপোস করলে শরীর শুকিয়ে যায়। তাতে হজম প্রক্রিয়া এবং কিডনির উপর চাপ পড়ে। এই পরিস্থিতিতে অনেকটা জল খেতে হয়। মনে রাখবেন, সাধারণ জল খাওয়ার চেয়ে ডাবের বা নারকেলের জল এই সময়ে খাওয়া ভালো। তাতে শরীর আর্দ্র হয়, পেট ঠান্ডা হয় এবং শরীরে বেশ কিছু পুষ্টিগুণও যায়।সাবুদানা পায়েস: এই পায়েসের প্রচুর পুষ্টিগুণ। অনেকেই বাড়িতে এমনি সময়েই এই পায়েস খান। তাঁরা শিবরাত্রির উপোস ভাঙার সময়ে এই পায়েসে প্রচুর শুকনো ফল মিশিয়ে নিন। তাতে শরীর ঠান্ডা হবে এবং প্রচুর পুষ্টিও পাবেন।ওটসের ক্ষীর: যাঁরা উপবাস ভাঙার সময়ে একটু অন্য ধরনের কিছু খেতে চান, তাঁদের জন্য এটি সেরা খাবার। এখন অনেকেই ওটস খান। এই ক্ষীর বানাতে তার সঙ্গে লাগবে ঘি, দুধ এবং শুকনো ফল। প্রথমে পাত্রে ঘি গরম করুন। তার পরে ওটস দিয়ে হাল্কা করে নাড়ুন। এতে দুধ মেশান। ওটস নরম না হওয়া পর্যন্ত আঁচ কমিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে উপরে শুকনো ফল ছড়িয়ে একটু ঘন হতে দিন। ইচ্ছা মতো গরম বা ঠান্ডা— যে কোনও অবস্থায় খেতে পারেন।আখরোট-কলার স্মুদি: সারা উপোসের পরে এই স্মুদি পেটও ভরাবে। উপকরণও রয়েছে ঘরেই। কলা, দই, আখরোট ও মধু। কলা, দই ও আখরোট একসঙ্গে মিক্সার ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তার পরে একটি গ্লাসে ঢেলে এর সঙ্গে দু’চামচ মধু মেশান।