জয়চন্ডী মাতা মন্দির

Joy Maa: কলকাতার থেকে খুব দূরে নয়, মহাজাগ্রত এই দেবী মন্দিরে পূর্ণ হয় সব মানত! ৫২০ সিঁড়ি পেরিয়ে তবেই দেবী দর্শন

পুরুলিয়া:  ভ্রমন পিপাসু মানুষদের পছন্দের তালিকার অনেকখানি জায়গা করে নিয়েছে লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। সারাটা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা এই জেলায় লেগেই থাকে। ‌ বছরের বিভিন্ন সময়তে পর্যটকেরা দু-দিনের ছুটি কাটাতে চলে আসেন এই জেলায়। ‌ পুরুলিয়া বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে নানান পর্যটন কেন্দ্র। তার মধ্যে অন্যতম জয়চন্ডী পাহাড়।

রঘুনাথপুর মহকুমার অন্তর্গত এই জয়চন্ডী পাহাড়। ‌ অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্স ও ট্যুরিজমের জন্য এই জয়চন্ডী পাহাড় খুবই জনপ্রিয়। তবে এই পাহাড়ের অন্যতম আকর্ষণ মা চন্ডীমাতার মন্দির। এই মন্দিরে পুজো দিতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা। কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মা চন্ডীমাতার মন্দিরে পৌঁছাতে হয়। এই মন্দিরে পৌঁছাতে গেলে অতিক্রম করতে হয় ৫২০ টি সিঁড়ি।

আরও পড়ুন – IMD Monsoon Update: তৈরি পশ্চিমী বিক্ষোভ, পাঁচদিন পর্যন্ত বৃষ্টির তাণ্ডব দেশের একাধিক রাজ্যে

এ বিষয়ে মন্দিরের পূজারী বলেন , এই মন্দির প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরানো। ‌ সারা বছরই কমবেশি ভক্তদের সমাগম হয়ে থাকে এই মন্দিরে। এ মন্দিরে পুজো করতে আসতে গেলে তাকে প্রতিদিন এই ৫২০ সিঁড়ি ভেঙে আসতে হয়। শীত , গ্রীষ্ম বর্ষা , সারা বছর এই ভাবেই এই মন্দিরের পুজো হয়ে আসছে। মায়ের আশীর্বাদে তা সুষ্ঠুভাবেই হয়ে থাকে।কমবেশি সকলের কাছেই পরিচিত এই জয়চন্ডী পাহাড়। বাংলা চলচ্চিত্র হীরক রাজার দেশের শ্যুটিং হয়েছিল এই পাহাড়েই।

পুরুলিয়া প্ল্যান করলেঅতি অবশ্যই ঘুরে দেখে যান এই জয়চন্ডী পাহাড়। ‌ এছাড়াও বহু ভক্ত মাতা জয়চন্ডীর মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। কথিত আছে , এ মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত। ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ করে থাকেন মা জয়চন্ডী।

আর সেই পাহাড়ের উপরেই রয়েছে এই মন্দির। ‌ অনেকে আবার জয়চন্ডী রেলস্টেশন থেকেও অটো বা গাড়িতে করে জয়চন্ডী পাহাড়ে আসতে পারেন। এখানে থাকার জন্য রয়েছে সরকারি যুব আবাস , পথের সাথী ও কয়েকটি হোমস্টে। 

এই পুরুলিয়ার পর্যটনের তালিকায় অন্যতম এই জয়চন্ডী পাহাড়। এই জয়চন্ডী মাতার মন্দিরে আসতে গেলে আসতে হবে পুরুলিয়ার মহকুমা রঘুনাথপুর শহরে। এখান থেকে যে কোনও টোটো , অটো বা গাড়িতে আধ ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে দেওয়া যাবে জয়চন্ডী পাহাড়। ‌

Sharmistha Banerjee