KKR: কলকাতাকে বদনাম করছে কেকেআর! এবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা

কলকাতা: কলকাতা শব্দটাকে ব্যবহার করে ব্যবসা হচ্ছে, কিন্তু সমর্থকদের হতাশা ছাড়া কিছুই দিতে পারছে না শাহরুখ খানের দল। দেশের খেলাধুলার মানচিত্রে যে শহরের অবদান সবচেয়ে বেশি সেই শহরকে ক্রিকেট মাঠে বারবার অপদস্ত হতে দেখা কলকাতাবাসীর কাছে অত্যাচারের মতো। সাতটা ম্যাচ হলেও দল গুছিয়ে নিতে ব্যর্থ নাইট রাইডার্স কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।

সেই প্রথম ম্যাচ থকেই ওপেনিং জুটি নিয়ে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত সাতজনকে খেলানো হয়েছে ওপেনার হিসেবে। আসলে গোড়ায় গলদ। দল গঠনের সময় কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। হাতে গোনা কয়েকজনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হলে এরকম বেহাল অবস্থাই হয়। আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিনের অতীত পরিসংখ্যানটাই ভাল।

এখন আন্দ্রে যেরকম পারফর্ম করছেন, তাতে আইপিএল কেন বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগেও দল পাওয়া কঠিন। তবুও জামাই আদর পাচ্ছেন নাইট শিবিরে। অতীতে যেমনটা পেতেন ইউসুফ পাঠান। সমর্থকদের আবেগের মূল্য চোকাতে ব্যর্থ নাইট-ব্রিগেড।এই রাজ্যের ক্রিকেটপ্রেমীদের নাইট বিতৃষ্ণার পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। তা হল প্রবল বঙ্গবিদ্বেষ।

শাহরুখ খান, জুহি চাওলারা কলকাতা নামটা ব্যবহার করে কামাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা, কিন্তু বাংলার ক্রিকেটারদের সুযোগই দিচ্ছেন না। এই বঞ্চনা চলছে বছরের পর বছর। বৈভব অরোরা, হরশীত রানার মতো অজ্ঞাতকুলশীলরা কেকেআরের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ পান। কিন্তু ব্রাত্য ঋদ্ধিমান সাহা, শাহবাজ আহমেদ, মুকেশ কুমাররা।

শ্রেয়স আয়ারের না থাকাটাও একটা বড় কারণ। তবে রিঙ্কু সিংরা সেই অভাব অনেকটাই ঢেকে দিতে সফল। কিন্তু বোলিংয়ে কর্কট রোগ প্রকট। শুরুতে ঝুড়ি ঝুড়ি রান দিচ্ছেন উমেশ যাদব। পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট। আরও খারাপ অবস্থা লকি ফার্গুসন, শার্দূল ঠাকুরদের। তাঁরা ওভারে পিছু ১১ রান বিলিয়েছেন।

এরপরেও কেকেআর ম্যানেজমেন্টের বোধোদয় হবে কিনা কেউ জানে না। ভিন রাজ্যের অত্যন্ত নিম্নমানের কয়েকজন ক্রিকেটারকে এনে তারা সুযোগ দেন। ভূমি পুত্ররা বঞ্চিত থেকে যায়। তবুও এরপর ক্রিকেট না বোঝা কিছু মানুষ শুধুমাত্র বিনোদন করবেন বলে মাঠে যান এবং ভবিষ্যতেও যাবেন। তবে এভাবে পারফর্ম করলে শাহরুখ খানের দল সমর্থক হারাবে সেটা নিশ্চিত।