Viral Video: সাপের মুখ মুখ ডুবিয়ে শ্বাস ভরে দিলেন পুলিশ কনস্টেবল; মানবিকতার ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল

ভোপাল: মানুষ কীভাবে চেনা যায়? তার মানবিকতায়।

শত্রুর বিপদেও পাশে দাঁড়াতে শেখায় এই মানবিকতা। অন্তত তেমনই আদর্শ হওয়ার কথা। অথচ, এই সমাজে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি যারা অন্যের ক্ষতি করতে বদ্ধপরিকর। আবার এই সমাজেই রয়েছেন এমন মানুষ, যাঁদের কাজ আমাদের দেখিয়ে দেয় সেই আদর্শের পথ।

নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে প্রাণী হত্যার ছবি। বিশেষত সাপ। শুধু ভয়ের কারণে কত মানুষ পিটিয়ে, পুড়িয়ে মেরে ফেলেন কত সাপ। সেই সব সাপ হয় তো আদৌ বিষধর ছিল না। এ থেকে নিস্তার পেতে সচেতনতা প্রচার চালানো হয়। কিন্তু সুরহা হয় না।

সেই আবহেই এবার ভাইরাল হয়েছে এক পুলিশকর্মীর ভিডিও। তাঁর কাণ্ডকারখানা দেখে তাজ্জব বনে যেতে হয় বইকি! সাপের মুখে মুখ লাগিয়ে সিপিআর দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তোলা চেষ্টা করেছেন ওই পুলিশকর্মী। সাফল্যও পেয়েছেন। আর তারপরেই তাঁর মুখে দেখা গিয়েছে অনাবিল হাসি।

আরও পড়ুন? রাশিফল ৩০ অক্টোবর-৫ নভেম্বর: দেখে নিন কেমন যাবে সপ্তাহ

মধ্যপ্রদেশের এক পুলিশকর্মীর ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে, কীটনাশকযুক্ত জলে সাঁতার কেটে আসার পর একটি সাপ অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল। সেই সময় তাকে উদ্ধার করেন ওই পুলিশকর্মী। মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরমের এই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ওই পুলিশকর্মীর কাণ্ড দেখে যেমন অবাক হচ্ছেন, তেমনই তাঁর সাহস, সদ্বুদ্ধি আর মানবিকতার প্রশংসা না করেও পারছেন না।

সম্প্রতি ?X? ব্যবহারকারী অনুরাগ দ্বারী তাঁর অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ভিডিওটি আপলোড করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘নর্মদাপুরমের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, একজন পুলিশ কনস্টেবল একটি সাপকে সিপিআর দিচ্ছেন। কীটনাশকযুক্ত বিষাক্ত জলে ভিজে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল সাপটি।’’

জানা গিয়েছে ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম অতুল শর্মা। তিনি প্রথমে সাপটিকে ভাল ভাবে পরীক্ষা করেন। তারপর তার মুখ হাঁ করানোর চেষ্টা করে মুখে মুখ লাগিয়ে সিপিআর দেন। তারপর জলের ঝাপটা দেওয়া হয় সাপটির মুখে। এরপর সাপটির গলা থেকে বুক পর্যন্ত ক্রমাগত আঙুল বোলাতে থাকেন তিনি। একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়া সাপটির মুখ হাঁ হয়। শ্বাস নিতে শুরু করে সে।

আরও পড়ুন? লোন না নিয়ে গ্রামেই তৈরি করেছিলেন অফিস, আজ সেই সংস্থারই মূল্য ৩৯,০০০ কোটি টাকা; অথচ সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত শ্রীধর ভেম্বু

অতুল জানিয়েছেন, তিনি ডিসকভারি চ্যানেল থেকে এই দক্ষতা শিখেছেন। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই সকলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অতুলের এই কাজকে।

তবে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন, এই ধরনের কাজে ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই উদ্ধার হওয়া সাপকে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়াই ভাল।