দুই প্রার্থীর মিলন দৃশ্য

TMC: ভোটের আগে মথুরাপুরে বিরল দৃশ্য! নবীন-প্রবীণ স্বাক্ষাতে আবেগঘন পরিস্থিতি, যা ঘটল অবিশ্বাস্য

মথুরাপুর: দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। চারিদিকে চলছে প্রচারকাজ। তারমধ্যেই মথুরাপুরে নবীন-প্রবীণ স্বাক্ষাতে আবেগঘন পরিস্থিতি সৃষ্টি হল মথুরাপুরে। এ বার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তরুণ বাপি হালদার। এই কেন্দ্রের গত দু’বারের সাংসদ ছিলেন চৌধুরীমোহন জাতুয়া। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন।

বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় এ বার সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদারকে প্রার্থী করে তৃণমূল। চরম ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে মথুরাপুরের তিনবারের সাংসদ চৌধুরীমোহন জাতুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপি হালদার।

আরও পড়ুনঃ মাস খানেকের ব্যবসায় রমরমা! সামান্য পুঁজিতে প্রচুর লাভ! মহিলারা ঘরে বসে আজই শুরু করুন 

কয়েকজন দলীয় সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে অসুস্থ চৌধুরীমোহনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাপি। প্রবীণ ও অসুস্থ রাজনীতিককে ফল ও মিষ্টি উপহার দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর এমন আচরণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন চৌধুরীমোহন জাতুয়া। তরুণ রাজনীতিককে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে তিনি বলেন, ‘‘বাপি হালদার একজন তরুণ রাজনীতিবিদ। ওঁর দল একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি পঞ্চায়েত ও ব্লকস্তরে ওঁকে কাজ করতে দেখেছি। শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রমের জন্যই ওঁকে জেলা যুব সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত, তিনি আমার যোগ্যতম উত্তরসূরি হবেন এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’’

বাপি হালদার ও তাঁর দলীয় সহকর্মীরা যখন চৌধুরীমোহন জাতুয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, সেই সময় ভীষণ অসুস্থতা সত্ত্বেও প্রাক্তন সাংসদ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং অতিথিদের সদর দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেন। তাতে বাপি হালদারও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চৌধুরীমোহন জাতুয়ার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এত বছর ধরে তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছেন। আমার প্রার্থনা, তিনি দ্রুত সেরে উঠুন এবং সুস্থ হয়ে আমার সঙ্গে মাঠে-ময়দানে যোগ দিন। মথুরাপুরের মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে আমি যাতে দিল্লিতে পৌঁছতে পারি, সেই লক্ষ্য পূরণে তিনি আমাকে সাহায্য করুন।’’

নবাব মল্লিক