একটা সময়ে বলিউডে শর্মিলা ঠাকুর ও তাঁর স্বামী ক্রিকেটার টাইগার পতৌদিকে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। শর্মিলা-পতৌদি সম্পর্কের রসায়ন বলিউডে বরাবরই ছিল অন্যতম আকর্ষণ। এই শর্মিলাই একসময় বিকিনি পরে ফটোশ্যুট করেছিলেন। ১৯৬০ সালে অ্যান ইভিনিং ইন প্যারিস ছবিতে শাম্মি কাপুরের সঙ্গেও বিকিনি পরে দৃশ্য শ্যুট করেছিলেন।১৯৬০-এই বোল্ড লুকে সকলকে তাক লাগিয়েছিলেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। পর্দায় তখন তিনিই সকলের ‘প্রিয়তমা’। হাজার-হাজার ভক্তের মনে তখন তাঁর বাস। রূপের ছটায় সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী রাতারাতি। শর্মিলা ঠাকুর বরাবরই নিজের সেরাটা উপহার দিতে চেয়েছিলেন তাঁর ভক্তদের।কিন্তু ৬০ বছর আগে বিকিনি শ্যুটে যে তিনি ঝড় তুলবেন, তা হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেননি। তাই হঠাৎ-ই একদিন সকালে একটি বিনোদন ম্যাগাজিন হাতে পেয়ে চমকে উঠছিলেন তাঁর ভক্তরা। এ কেমন পোজ!বিকিনিতে বোল্ড শর্মিলা ঠাকুর। পছন্দ কম বেশি সকলের হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। তখন রীতিমতো ক্রিকেটার পতৌদির সঙ্গে প্রেম করছেন শর্মিলা ঠাকুর।প্রেমিক টাইগার পাতৌদি তখন কাছে নেই। কর্মসূত্রে বাইরে। নেই ইন্টারনেটের সুবিধে, নেই ফোন করার সুযোগ, তড়িঘড়ি প্রেমিককে টেলিগ্রাম করে দিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। জানিয়েছিলেন তাঁর বিকিনি শুট নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের খবর।উত্তরও দিয়েছিলেন টাইগার। শর্মিলার ওপর তাঁর অপার আস্থা, ছবি না দেখেই তিনি পাল্টা উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁর বিশ্বাস, শর্মিলাকে খুব সুন্দর দেখাবে। লিখেছিলেন, ‘You must be looking very nice’।সাংবাদিক বরখা দত্তের মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে একবার এই ঘটনার উল্লেখ করেন শর্মিলা। এই মন্তব্যই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ঠিক কতটা তাঁর প্রতি আস্থা-ভরসা ও বিশ্বাস রাখতেন নবাব। যদিও এই ঘটনার পর রীতিমতো মানসিক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় শর্মিলা ঠাকুরকে।এক পরিচালক যখন তাঁকে এই ঘটনার পর ডেকে পাঠান, তখন তিনি মনে মনে ভেবেছিলেন এরপর হয়তো তাঁকে নেগেটিভ চরিত্রের প্রস্তাব দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি এই ভিলেন ও হিরোইনের মধ্যে পার্থক্যটা ভাঙতে চেয়েছিলেন।শর্মিলার কথায়, হেলেন অনেক ডার্ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাঁর পোশাকের ক্ষেত্রে তাই ছাড় রয়েছে, কিন্তু অভিনেত্রীদের বেলায় তা থাকে না। সেই স্বাধীনতাই অর্জন করতে চেয়েছিলেন তিনি।
