পূর্ব বর্ধমান : বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছেপূর্ব বর্ধমানের এই সতীপীঠে। বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনায় আয়োজিত হচ্ছেমহাযজ্ঞ , আয়োজন করা হয়েছে মহোৎসবেরও। দোল উৎসবকে ঘিরে উৎসবমুখর গোটা এলাকা। পূর্ব বর্ধমান জেলার এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল কেতুগ্রামের অট্টহাস। এই স্থানটিকে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পীঠ হিসেবে গণ্য করা হয়। কেতুগ্রামের এই সতীপীঠে সারা বছর লেগে থাকে দর্শনার্থী তথা ভক্তদের আনাগোনা। প্রতি বছর দোল উৎসবে অট্টহাসে আয়োজিত হয় মহাপুজো। চার দিন ব্যাপী চলা এই উৎসবের সূচনা হয় দোল পূর্ণিমার দিন। কবিগুরুর গানের তালে তালে শুরু হয় বসন্ত উৎসব। এর পর একে একে নিজস্ব রীতি রেওয়াজ মেনে পুজো অনুষ্ঠান হয়। যার মধ্যে থাকে নাম সংকীর্তনও।
এলাকার, পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়াও দুর দূরান্ত থেকে অনেকে সামিল হন এই উৎসবে। অট্টহাস সতীপীঠ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই দোল উৎসবই, এই সতীপীঠের মহাপুজো। এই প্রসঙ্গে অট্টহাসের সেবক রামজি মহারাজ বলেন, ” দোল নিয়ে যেমন সামগ্রিক ভাবে চারিদিক মেতে উঠছে, ঠিক সেরকমই অট্টহাস সতীপীঠও মেতে উঠেছে। বসন্ত উৎসব মানে নতুনকে আহ্বান করে নেওয়া , নতুন রঙে রাঙিয়ে দেওয়া। আমাদের মহাপীঠ সতীপীঠে দীর্ঘকাল ধরে এই দোল উৎসব চলে আসছে। “দোল উৎসবের দিন কয়েক আগে থেকেই এখানে শুরু হয় প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে, ৫১ সতীপীঠের অন্যতম এই পীঠে এই পুজোকে কেন্দ্র করে দোলের পরের দিন মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় তিরিশ হাজার ভক্তের প্রসাদ গ্রহণের বন্দোবস্ত করা হয় মন্দির কতৃপক্ষের তরফে। এই বিষয়ে সেবক রামজি মহারাজ জানান , এই আয়োজন সবটুকুই তারা করেন ভক্তদের দান থেকেই। পাশাপশি, বিশ্ব তথা বিশ্ব বাসীর শান্তির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয় মহাযজ্ঞের।
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই হোলি, রং মাখার আগে মনে রাখুন এই কয়েকটি কথা! নাহলেই বড় ভুল
চার দিন ব্যাপী চলা এই উৎসবের তৃতীয় দিন বাউল গান, কবি গান সহ নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয় মেলা চত্বরে। এই উৎসব উপলক্ষে স্থানীয় মহিলা দ্বারা পরিচালিত নাটক এবং বহিরাগত দলের যাত্রা পালারও আয়োজন করা হয়।এই উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় মানুষদের উৎসাহ উদ্দীপনা থাকে চোখে পড়ার মত। এই প্রসঙ্গে সেবক রামজি মহারাজ জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা আনন্দে মেতে থাকেন এই চার দিন। প্রত্যেকের বাড়িতেই আত্মীয় স্বজনেরা আসেন এই উৎসবে যোগ দিতে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে কোন দর্শনার্থী বা ভক্ত বাড়ি ফিরতে না পারলে তাদের জন্য থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে এই সতীপীঠে। ঈশানি নদীর ধারে, জঙ্গল ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই সতীপীঠটি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
যেখানে জঙ্গলের মাঝে বিরাজ করছে মা মহামায়া। দোল উৎসবকে ঘিরে বর্তমানে যেখানে উৎসবের আমেজ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী