Category Archives: পূর্ব বর্ধমান

WB HS Results 2024: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম পূর্ব বর্ধমানের এই তিন পড়ুয়া, দেখুন বিস্তারিত 

পূর্ব বর্ধমান: প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। প্রথম দশের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়ারাও। পরীক্ষার ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪ এর ফলাফল। পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম দশের মেধা তালিকায় রয়েছে মোট ৫৮ জন কৃতি শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মোট চার জন পড়ুয়া।

আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, বাড়ল পাশের হার, এ বছর পাশ ৯০ শতাংশ পড়ুয়া

উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪ এর প্রথম ১০ এর মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আফরিন মণ্ডল, অন্তরা শেঠ, ইন্দ্রানী সেন এবং সোহম কোনার। তবে এই চার জন পড়ুয়ার মধ্যে আফরিন মণ্ডল রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। আর পূর্ব বর্ধমানের বাকি তিন পড়ুয়া রয়েছে দশম স্থানে। চলুন তাহলে এবার দেখে নেওয়া যাক উচ্চ মাধ্যমিকে দশম পূর্ব বর্ধমানের এই তিন পড়ুয়া ঠিক কী জানাচ্ছেন। দশম স্থানাধিকারী অন্তরা শেঠ জানায়, “ফল ভাল হবে আশা করেছিলাম কিন্তু মেধাতালিকায় জায়গা পাব সেটা আশা করিনি। পড়তে বসার কোনও নির্দিষ্ট টাইম ছিল না। যতক্ষণ মন হত ততক্ষণই পড়তাম। প্রিয় বিষয় ইংরেজি, ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ে শিক্ষিকা হতে চাই। পড়াশোনার বাইরে গল্প শুনতে ভালো লাগে।”

উচ্চ মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী ইন্দ্রানী সেন জানিয়েছে , \”এত ভাল ফল হবে আমি আশা করিনি। ভবিষ্যতে আমি কেমিস্ট্রি তে রিসার্চ এর বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। পড়াশোনার পাশাপাশি আমি শুধু ছবি আঁকতাম। আমার ৬ জন শিক্ষক ছিলেন এবং আমার এই সাফল্যের পিছনে প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে। “দশম স্থান অর্জন করে পূর্ব বর্ধমানের সোহম কোনার জানিয়েছে, “মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম হয়েছিলাম আবার উচ্চমাধ্যমিকে ও রাজ্যে সেই একই স্থান ধরে রাখতে পেরে খুবই আনন্দ হচ্ছে। পড়াশোনা করার নির্দিষ্ট কোনও সময়সূচী ছিল না তবে সারাদিনের নয় থেকে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করেছি। আমার এই সাফল্যের পিছনে অবদান রয়েছে আমার মা বাবা দাদু এবং অবশ্যই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এরপর আমি মেডিকেল লাইন নিয়েই পড়াশোনা করতে চাই। “

পূর্ব বর্ধমানের চারজনের মধ্যে তিনজনই দশম স্থান অধিকার করেছে। তিনজনের মধ্যে অন্তরা শেঠ ছিল মেঝিয়ারি সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ইন্দ্রানী সেন ছিল নসরতপুর পারুলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং সোহম কোনার ছিল মন্তেশ্বর সাগরবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। উচ্চ মাধ্যমিকে এই তিন পড়ুয়ার সাফল্যে খুশি হয়েছেন নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরিবারের লোকজন সকলেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Arrow Wounded Woman: ছুরি বা গুলি নয়… পারিবারিক বিবাদে জেরে ছোড়া তির লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়ে সোজা মীরার পাঁজরে! তুমুল হইচই এলাকায়

পূর্ব বর্ধমান: ছুরি নয়, গুলি নয়। তিরবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা। স্বভাবতই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি অবাক করার মতোই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানা এলাকায়। তিরবিদ্ধ জখম এই মহিলার নাম মীরা দাস। জানা যায়, বছর ৪৭-এর আহত এই মহিলা রায়না থানার অন্তর্গত ফকিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জখম মহিলার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফকিরপুর গ্রামের একটি পারিবারিক অশান্তির জেরে তির ছোড়েন এক ব্যক্তি। সেই সময়, আহত মীরা দাস ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তার গায়ে এসে তির বিঁধে যায়।

আরও পড়ুন: বেড়ে চলেছে জিরার দাম! গত ১০ দিনেই আকাশছোঁয়া, মশলার মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত

পারিবারিক অশান্তির কারণে ফকিরপুর গ্রামেরই বাসিন্দা বলাই রুইদাস নামের এক ব্যক্তি তির ছোড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে। কিন্তু সেই তির পরিবারের কোনও সদস্যের গায়ে লাগে না। তির ছুড়লে, সেই তির এসে লাগে মীরা দাসের শরীরে। মীরা দাসের পাঁজরের কাছে তির বিঁধে গিয়েছে।

তড়িঘড়ি জখম মহিলাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় শেয়ারবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তিরবিদ্ধ অবস্থাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় মীরা দাসকে। এখন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Loksabha Election 2024: বৃষ্টি মাথায় করে অপেক্ষায় অগণিত, কালনার ধাত্রীগ্রামে দেবের সভায় জনজোয়ার

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: কালনার ধাত্রীগ্রামে অভিনেতা তথা রাজনীতিক দেবের জনসভায় উপচে পড়ল ভিড়। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধাত্রীগ্রামে জনসভা ছিল অভিনেতা দেবের। অন্যতম অভিনেতা হিসেবে একটা আলাদাই জনপ্রিয়তা রয়েছে দেবের। তাঁর জনসভায় দেখা গেল জনজোয়ার। এদিন বুধবার হেলিকপ্টারে চেপে কালনার ধাত্রীগ্রামে উপস্থিত হন দেব।

তিনি যখন অসেন তার বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকে হালকা বৃষ্টি হতেও শুরু করে নির্দিষ্ট এলাকায়। ছাতা মাথায় নিয়েই মঞ্চে ওঠেন অভিনেতা দেব। তবে বৃষ্টি হলেও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এক আলাদা উত্তেজনা দেখা যায়। ছাতা মাথায় নিয়ে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে দেবের অপেক্ষায় অপেক্ষারত ছিলেন হাজার হাজার কর্মী সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন : ভিড়ে ঠাসা রাস্তায় প্রচার, বীরভূমে রাস্তায় তৃণমূলের প্রচারে ঝড় দেবের

তবে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও বেশ কিছু কথা বলেন দেব। দেব বলেন, “ঘাটালের প্রত্যেকটা মানুষ আমার মানুষ। যে বিজেপি করে, সিপিআইএম করে ,কংগ্রেস করে বা তৃণমূল করে সবাই আমারই মানুষ, দেশের মানুষ, রাজ্যের মানুষ। সবারই বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এবং রাজনীতি হারি বা জিতি আমার কাছে কোনও ফ্যাক্টর করে না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা।”

দেবের বক্তব্য শুনে উচ্ছ্বসিত উপস্থিত জনতা।

East Bardhaman News: ভোরবেলা পড়তে বসতেই ভাল লাগত বেশি, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ আফরিন চান গ্রামের মানুষের জন্য চিকিৎসক হতে

পূর্ব বর্ধমান: ভোরবেলা নিয়মিত পড়তে বসা, অবসর সময়ে গল্পের বই, গান শোনা। উচ্চ মাধ্যমিকে সফল পূর্ব বর্ধমানের এই ছাত্রী। প্রকাশিত হল ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। প্রথম দশের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিল পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়ারা। পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম দশের মেধা তালিকায় রয়েছে মোট ৫৮ জন কৃতী শিক্ষার্থী। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক পড়ুয়া। উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪ এর প্রথম ১০ এর মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির এক ছাত্রী।

আফরিন মণ্ডল নামে এই ছাত্রী মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। আফরিনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১। ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে তিনি ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। আফরিন, মেমারি ভি এম ইনস্টিটিউট ইউনিট ওয়ানের ছাত্রী। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আফরিনের ইচ্ছে আগামিদিনে চিকিৎসক হওয়ার।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপি-র ডামি ক্যান্ডিডেট’ বলে তীব্র আক্রমণ! ইউসুফকে পাশে নিয়ে অধীরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অভিষেক

আফরিন বলেন, “চিকিৎসক এমন একটা প্রফেশন যেটাকে সবাই ভগবানের পরে বলে মনে করেন। আল্টিমেট সময়ে চিকিৎসকের দরকার হয়। এছাড়াও আমি নিজে গ্রামে থাকি। আমি গ্রামের মানুষদের মধ্যে চিকিৎসা সম্পর্কে যে ভুল ধারণা রয়েছে সেগুলো দেখেছি। তাই আমি যদি চিকিৎসক হতে পারি তাহলে আল্টিমেট সময়ে মানুষকে সাহায্য করতে পারব এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে পারব।”

আফরিন জানিয়েছেন, তিনি অবসর সময়ে ভালবাসেন গল্পের বই পড়তে, গান শুনতে। তাঁর পছন্দের গায়ক আতিফ আসলাম। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগে সে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। নিজের পড়ার সময় হিসেবে তাঁর পছন্দ ছিল ভোরবেলা। একটানা পড়ার স্ট্রেস কমানোর জন্য মাঝে মধ্যে বেড়াতে ভালবাসতেন।

আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে খুন হবে কেশপুরে! হঠাৎ আশঙ্কাপ্রকাশ দেবের, কারা করছে ষড়যন্ত্র? নিশানায় কে?

তাঁর কথায়, ডাক্তারি ছাড়া অন্যান্য অনেক পেশা থাকলেও, পেশা হিসাবে ডাক্তারিই তাঁর পছন্দ। সেই পথেই এগোতে চান তিনি। নিজস্ব মেধা আর বুদ্ধিমত্তার জেরে রাজ্যের মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়া আফরিন মণ্ডল আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন মনীষীদের লেখা বই থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।

ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে আফরিন জানান, এ পি জে আব্দুল কালামের লেখা ‘দ্য উইংস অফ ফায়ার’, তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। অন্যদিকে, স্কুলের ছাত্রীর এই ফলে স্বভাবতই খুশি স্কুলের শিক্ষকেরাও। সেই সঙ্গে তারা আফরিনকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন।

এই প্রসঙ্গে মেমারি ভি এম ইনস্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক কেশব কুমার ঘোষাল আরও জানান, এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় ৫৮ জনের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান থেকে রয়েছে চার জন পড়ুয়া। আফরিন ছাড়াও জেলা থেকে মেধাতালিকায় একসঙ্গে তিন পরীক্ষার্থী দশম স্থান অধিকার করেছেন। তবে আফরিনের এই সাফল্যে খুশি হয়েছেন তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পরিবারের লোকজন সকলেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Election 2024: শহরের পাশাপাশি গ্রামকে গুরুত্ব দিয়েও প্রচার দিলীপ ঘোষের  

পূর্ব বর্ধমান: সোমবার রাত্রে বর্ধমান ষ্টেশন বাজার পরিদর্শন করলেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত ভোটের মরশুমে দিলীপ ঘোষ বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। বিভিন্ন মাঠে, বাজারেও তাঁকে যেতে দেখা গিয়েছে। সেরকমই সোমবার রাত্রে তাঁকে দেখা গেল বর্ধমান ষ্টেশন বাজারে। সোমবার রাত্রি ৯:১০ নাগাদ বর্ধমান ষ্টেশন বাজারে আসেন দিলীপ ঘোষ। পরিদর্শন করেন সবজি বাজার।

আরও পড়ুনঃ জলদাপাড়া ও বক্সা জঙ্গলজুড়ে দেখা নেই পর্যটকের! কারণ জানালেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

পরিদর্শন চলাকালীন কথা বলেন একাধিক সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে। প্রত্যেকটা সবজির দোকানে ঘুরে ঘুরে তিনি সকলের সঙ্গে কথাও বলেন। সবজির বিক্রেতাদের কাছে বিভিন্ন সবজির দামও জিজ্ঞেস করেন তিনি। এই বাজার পরিদর্শন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি এমনি সকালের দিকে অনেকবার বাজারে গিয়েছি। এখানে স্টেশনের কাছে যে বাজার আছে সবজি বাজার বসে। সন্ধ্যাবেলা বহু লোক আসেন এখানে , বাজার নিয়ে যান। আমাদের মনে হল যারা গ্রাম থেকে আসেন এই ধরনের সবজি বিক্রি করেন একবার দেখা করি। তাই এসেছিলাম তাঁদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করলাম। জিনিসপত্রের দরদাম কীরকম রয়েছে তা জানার চেষ্টা করলাম। “

দিলীপ বাবুকে প্রশ্ন করা হয় যে , “এত বড় লোকসভা কেন্দ্রে কীভাবে প্রচার চালাচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন , “সব গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি , গ্রামে গ্রামে।” প্রশ্নের উত্তরেই যেন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে শহরের পাশাপাশি গ্রামের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষের কাছে দাপুটে নেতা নামেই পরিচিত দিলীপ ঘোষ। সেরকমই নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে তিনি যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে যাচ্ছেন , জনসংযোগ করছেন। নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও পৌঁছে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। যেন শহরের পাশাপশি গ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারে ঝড় তুলছেন তিনি।

তীব্র গরমের পর অবশেষে সোমবার বৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহরে। মেঘলা আকাশ সঙ্গে ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যেই সোমবার রাত্রে ষ্টেশন বাজার পরিদর্শন করলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষকে দেখে সবজি বিক্রেতাদের পাশাপাশি বাজারে উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যেও উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। অনেককেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

East Bardhaman News: তীব্র গরমেও জল নেই, জলের জ্বালায় ভুগছেন স্থানীয়রা 

পূর্ব বর্ধমান: ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এমনিতেই গরম শুরু হয়ে গিয়েছে। গরমের জ্বালায় ওষ্ঠাগত হচ্ছে প্রাণ। তাপমাত্রা যেন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এহেন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারাও জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু এই গরমের সময়ই ভয়াবহ ছবি উঠে আসছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অবস্থা এখন নাজেহাল। নাজেহাল অবস্থা শুধুমাত্র জলের কারণে। রীতিমত হাসফাঁস অবস্থা স্থানীয়দের। এখন শুধুমাত্র জল চাইছেন স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে কালনা ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিরা দাস বলেন, “একদমই জল নেই। জলই পাওয়া যাচ্ছে না। জলের সমস্যার জন্য বাইরে কল করা হল। কিন্তু এই তীব্র গরমেও এক বোতল খাওয়ার জল ও পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল থেকেই জল পাওয়া যাচ্ছে না দিনের কথা তো বাদ দিন। পৌরসভাকে জানিও কোনও স্টেপ নিচ্ছে না তাহলে কি করা যাবে।”

তীব্র গরমের মধ্যেও জলের জন্য নাজেহাল হচ্ছেন স্থানীয়রা। নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন ? হ্যাঁ ঘটনাটি অবাক হওয়ার মতই। কালনা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই টাইমকলের পয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু কল থাকলেও জল নেই। স্থানীয়দের কথায় প্রত্যেক বছর গরমের সময় এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কল রয়েছে কিন্তু জল আসেনা। আবার অনেকেই জানান যে , জল এলেও সকালে মাত্র কয়েকঘণ্টর জন্য জল আসে। আর সকালে যে জল কল থেকে পড়ে তা না পড়ার সমান। তাই বর্তমানে সবমিলিয়ে এখন জলের জন্য ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন কালনার বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে কালনা ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর সিং বলেন, “আমরা সকাল সাড়ে সাতটা থেকে নটা পর্যন্ত এই দেড় ঘন্টা জল পাই। তাছাড়া সকালে যে জল আসে সেটা খুবই সরুভাবে জল পড়ে। পৌরসভা এর কারণে জলের ট্যাংকি দিয়ে গেছে। সেখান থেকে আমরা জল নিয়ে এসে বাড়ি নিয়ে যাই। এই সমস্যা আমাদের দুই থেকে আড়াই মাস লাগাতার চলবে। প্রত্যেক বছর আমাদের এই দুই থেকে আড়াই মাস জলদূর্ভোগ ভোগ করতে হয়। আমরা প্রয়োজনের জলটুকুনিও পাই না। রাস্তার কলের অবস্থাও খারাপ জল পড়ে না। “

আরও পড়ুন : উপকরণ সামান্য! স্বল্পমূল্যে এয়ারকুলার বানিয়ে তাক লাগালেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ

কালনার এই বেশকিছু ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা বাড়িতে কল থাকা সত্ত্বেও মিউনিসিপালিটি কলে জল পড়ে না। এমনকি রাস্তারও বেশ কিছু কলও অকেজো হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ১০০, ২০০ মিটার দূর থেকে হাতকলে জল তুলে নিয়ে এসে, বাড়ির জলের কাজ করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। স্থানীয়দের কথায় এই বিষয়ে দীর্ঘদিন পৌরসভাকে অভিযোগ জানিয়েও কোনওরকম এলাকায় পানীয় জলের উন্নতি হয়নি। এই প্রসঙ্গে কালনা পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনিল চৌধুরী বলেন, “আমি এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে প্রাণপণ চেষ্টা করছি । তারপরে এখন তীব্র দাবদাহ চলছে , জলস্তর এমনি নেমে গেছে। তাও আমি প্রাণপণ চেষ্টা করছি যাতে যে ওয়ার্ডগুলো জল পাচ্ছে না তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়। যখন প্রজেক্ট এর কাজ হয় তখন প্রজেক্ট এর লোকজন ঠিকভাবে কাজ করেনি যে কারণে বেশ কিছু ওয়ার্ডে এই সমস্যা হচ্ছে। “

আরও পড়ুন : পুড়ছে গোটা বাংলা, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস, চরম ভোগান্তি সকলের, তবুও চাষিদের কোনও কষ্ট হচ্ছে না! কারণটা কী?

কালনার যে সকল ওয়ার্ডে জলের সমস্যা হচ্ছে , বর্তমানে তারা খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তীব্র গরমেও তাদের জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। তবে যদিও কাউন্সিলর এর কাছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলেছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কিন্তু এখন দেখার বিষয় কতদিনে এই সমস্যার সমাধান হয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

East Bardhaman News: উপকরণ সামান্য! স্বল্পমূল্যে এয়ারকুলার বানিয়ে তাক লাগালেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: গরমে নাজেহাল হয়ে উঠছেন সকলেই। তাই গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই এসি অথবা এয়ার কুলার কিনছেন। তবে অনেকেই আছেন যাদের এসি অথবা এয়ার কুলার কেনার সামর্থ্য নেই। তাই যাঁদের এসি অথবা এয়ার কুলার কেনার সামর্থ্য নেই তাঁদের কথা মাথায় রেখেই, স্বল্প খরচে নিজের হাতে এয়ার কুলার তৈরি করলেন ৭২ বছরের এক বৃদ্ধ। পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা অরূপ কুমার মোদক। বর্তমানে তাঁর বয়স প্রায় ৭২ বছর।

তবে বয়স হলেও তিনি এই বয়সে যা তৈরি করেছেন তা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক হচ্ছেন। স্বল্প খরচে তৈরি করেছেন এয়ার কুলার। ইতিমধ্যেই এই এয়ার কুলার বানানোর জন্য তাঁর কাছে প্রচুর অর্ডার আসতেও শুরু করেছে। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে অরূপ বাবুর তৈরি এয়ার কুলারের চাহিদা। এই প্রসঙ্গে অরূপ কুমার মোদক বলেন, “সাধারণত একটা এয়ারকুলার কিনতে গেলে ৫-৬ হাজার টাকার নীচে ভাল জিনিস পাওয়া যায় না। কিন্তু সাধারণ গরিব মানুষেরা এই গরমে যে কষ্ট পাচ্ছে তার জন্য কি করা যায় সেটা চিন্তা করতে করতেই বাড়িতে থাকা জিনিসপত্র দিয়েই আমি একটা এয়ারকুলার তৈরি করলাম। এটা দেখার পরে এখন অনেকেই আমাকে তৈরি করে দেওয়ার জন্য ধরেছে। এটা খুবই স্বল্প ব্যয় এবং কম বিদ্যুৎ খরচে চলবে। “

পূর্ব বর্ধমানের অরূপ কুমার মোদক বর্তমানে কালনা পুরসভার ডাঙাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে অরূপবাবু পেশায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর কথায় তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীর পর থেকেই মেকানিকাল কাজে আগ্রহী হয়ে চলে যান। পরবর্তীতে স্কুল জীবন পেরিয়ে তিনি টেকনিক্যাল লাইনে আসেন। এবং বর্তমানে তিনি ওয়াটার ফিল্টার বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।

আরও পড়ুন : প্রোমোশন, অগাধ টাকা, দাম্পত্য প্রেম, বাড়িতে সম্পদ ও শান্তি! শুধু কিছু পাতিলেবু রাখুন এভাবে

অরূপবাবু প্রায় বেশিরভাগ সময় নতুন কিছু বানানোর চেষ্টা করেন। সেরকমই তিনি এবার নিজের হাতে তৈরি করেছেন এয়ার কুলার। অরূপ বাবু আরও বলেন, “এটা তৈরি করতে লেগেছে একটা এগজস্ট ফ্যান , ভিতরে একটা সাবমারসিবল ছোট পাম্প আছে। নেট আছে, ছোবড়া আছে। কিছু পাইপ কানেকশনের কাজ আছে এবং একটা জার ব্যবহার করা হয়েছে। নেট দিয়ে ঘেরা আছে যাতে হাত লাগলেও বাচ্চাদের কোনও ক্ষতি না হয়।”

এই গরমে এহেন স্বল্পমূল্যের এয়ার কুলার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কালনার এই ৭২ বছরের অরূপ কুমার মোদক। মূলত সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কথা ভেবে এহেন কুলার তৈরি করে খুবই খুশি এবং আনন্দিত পূর্ব বর্ধমানের অরূপ বাবু।

East Bardhaman News: পুড়ছে গোটা বাংলা, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস, চরম ভোগান্তি সকলের, তবুও চাষিদের কোনও কষ্ট হচ্ছে না! কারণটা কী?

পূর্ব বর্ধমান: তীব্র গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কার্যত উল্টো সুর, এক শ্রেণীর মানুষের মুখে। কিন্তু ঠিক কি কারণে এমন প্রত্যাশা তাদের? কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।

বিগত বেশ কয়েকদিন যাবত গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরম ও মারাত্মক তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মের দহন জ্বালায় কার্যত পুড়ছে গোটা বাংলা। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই চাইছে গোটা বাংলার মানুষ। আট থেকে আশি, সকলেই তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির আশায় চেয়ে রয়েছে সবাই। কিন্তু এহেন অবস্থাতে কার্যত উল্টো সুর এক শ্রেণীর মানুষের মুখে। স্বস্তির বৃষ্টি নয়, তারা চাইছেন আরও কিছুদিন বজায় থাকুক এই আবহাওয়া।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তীব্র এই রোদ গরম স্থায়ী হোক আরও কিছুদিন। আর তাতেই নাকি হাসি ফুটবে তাদের মুখে। কিন্তু কেনই বা এমন ভিন্ন কথা তাদের মুখে ? কারাই বা চাইছেন এই কাঠফাটা রোদ? আসলে যারা এই তীব্র রোদ গরম চাইছেন তারা রাজ্যের শস্য ভান্ডারের অর্থাৎ পূর্ব বর্ধমান জেলার বোরো ধান চাষি। কিন্তু কেন এমন চাইছেন তারা? আসলে কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, এখন সব মাত্র বোরো ধান পেকে, তাতে সোনালি রঙ ধরা শুরু হয়েছে। সেই ধান কেটে, ঝেড়ে ঘরে তোলা এখনও বাকি। আর তাই এমন ভিন্ন ধর্মী চাওয়া তাদের। এই প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার বোরো ধান চাষ চাষিরা বলেন, “রোদে গরমে থাকতে পারা যাচ্ছেনা, কিন্তু এরকম রোদ থাকা ভাল। কারণ মাঠে ধান আছে সেগুলো তুলতে সুবিধা হবে। এরকম রোদ আরও দিন দশেক থাকলে আরও বেশি ভাল হয়। আমরা চাষি লোক , এই রোদ থাকলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।”

গোটা রাজ্যে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব বর্ধমান অন্যতম। রাজ্যে এর পরিচিতি শস্যভান্ডার হিসেবে। ধান হল পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল। বিভিন্ন উন্নত ও সুগন্ধি প্রজাতির ধান চাষে এই জেলার সুনাম রয়েছে সর্বত্রই। জেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে বোরো ধান চাষ হয় ব্যাপক পরিমাণে। অন্যান্য বছর বৈশাখের এই সময় বিকেলের দিকে প্রায়শই কালবৈশাখীর তান্ডব দেখা যায়। কিন্তু এই বছর তীব্র তাপপ্রবাহে দেখা যায়নি সেই ছবি।

আর তাতেই নাকি উপকার হয়েছে জেলার ধান চাষিদের। অন্যদিকে জেলার কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। মূলত আমন ধান চাষের মরশুম শেষ হবার পরে বোরো ধানের চাষ শুরু হয় বাংলার কার্তিক মাসের মাঝামাঝি বোরো ধান রোপন করা হয়। সেই ধান কাটা ও ঝাড়ার কাজ চলে বাংলার বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ ও অর্থাৎ ইংরেজি এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত। তীব্র গরমের স্বস্তির বৃষ্টির দেখার না মেলায় রাজ্যবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা হলেও, এতে খুশি পূর্ব বর্ধমানের বোরো ধান চাষিরা। কালবৈশাখীর দাপট পাকা ধানে মই না দেওয়ায় দহন জ্বালা সহ্য করেও, কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পারার আশায় মুখে হাসি ফুটেছে তাদের।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Madhyamik Result 2024: বাবার কোলে চড়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে যেত বিষ্ণু, মাধ্যমিকে তাক লাগানো সাফল্য, ফলাফল জানলে চমকে যাবেন

পূর্ব বর্ধমান: মনের জোরে পরীক্ষার ভয় আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করেছিল আগেই। আর এবার মাধ্যমিকে সফল পূর্ব বর্ধমানের বিশেষ ভাবে সক্ষম সেই পরীক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক ২০২৪-এর ফলাফল। নিজেদের মেধার জোরে, মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অনেকেই। যে তালিকায় রয়েছে পূর্ব বর্ধমান একাধিক পরীক্ষার্থীও। তবে পূর্ব বর্ধমান থেকেই সামনে এল আরও এক সফলতার গল্প। বাবার কোলে চড়ে পৌঁছেছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে, মনের জোরে মাধ্যমিকে সফল বিষ্ণু বসাক।

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাট শিমলা গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণু বসাক। এই বিষ্ণু বসাক বাবার কোলে চেপে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিল। সে পরীক্ষাও দিয়েছিল নিজের হাতে লিখেই। তবে বিষ্ণু কী উত্তীর্ণ হবে ? এই প্রশ্ন ছিল অনেকের মনেই। তাই ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বিষ্ণুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় বিষ্ণু ভালভাবে পাস করেছে।

আরও পড়ুন-      শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বিষ্ণুর বাবা মা জানিয়েছেন, বিষ্ণু হাঁটতে কিংবা দাঁড়াতে পারে না। ছোট থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সঙ্গী তার। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তাকে কোলে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বাবা। আর ফল প্রকাশের পর সেই ছেলের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি বিষ্ণুর মা বাবা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। ৪২২ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে বিষ্ণু বসাক। বিষ্ণু নসরতপুর পারুল ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। শারীরিক অবস্থার কারণে বিদ্যালয়ে যেতে পারত না সে। বাড়িতে বসেই পড়াশোনা করত বিষ্ণু। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুর বাবা বলেন, “কোলে করে টোটোতে বসিয়ে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যেতাম , আবার আমিই নিয়ে আসতাম। ও সবসময় বাড়িতেই বসে থাকত আর বই নিয়েই থাকত। একটা ঘরের মধ্যে বন্দী জীবন কাটিয়ে ও যে এত ভাল রেজাল্ট করেছে আমি অনেক খুশি হয়েছি।”

আরও পড়ুন-   সদ্যোজাত শিশুর কি AC-তে ঘুমানো উচিত? ৯০% বাবা-মায়েরা এই ভুলটাই করে, এখনই সতর্ক না হলে ঘনঘন অসুস্থ হবে আপনার সন্তান

ঘরবন্দী অবস্থার মধ্যেও মনের জোরকে হাতিয়ার করে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে বিষ্ণু। তার মায়ের কথায়, ছেলে সারাদিন ঘরেই থাকত। নিজের মত করেই পড়াশোনা করত। এই প্রসঙ্গে তার মা আরও জানান, “ও পাস করবে সেটা জানতাম তবে এত ভাল ফলাফল করবে সেটা আশা করিনি। আমাদের খুবই ভাল লাগছে ও যতটা পড়তে চায় আমরা পড়ানোর চেষ্টা করব।”

জানা গিয়েছে, মোট তিনজন গৃহশিক্ষক ছিল বিষ্ণুর। সারাদিন ঘরে বই নিয়েই থাকত সে। অবসরে টিভির পর্দায় চোখ রাখত কখনও কখনও। নিজের মনের জোরে ছেলে এত ভাল ফল করায় কার্যত আপ্লুত তার মা বাবা। বিষ্ণুর বাবা তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত।তার মাও বাড়ির কাজ সামলে হাত লাগান সেই কাজে। আগামী দিনেও বিষ্ণু তার পড়াশোনা চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে তার বাবা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Election 2024: ধান ঝাড়াবার ধুম! প্রথমে দিলীপ, এবার কীর্তি আজাদ! যা করলেন তৃণমূল নেতা, চমকে গেল সবাই

পূর্ব বর্ধমান: বৃহস্পতিবার ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ধান ঝাড়াতে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। আবারও ঠিক সেরকমই ছবি ধরা পড়ল এদিন শুক্রবার। তবে এবার আর দিলীপ ঘোষ নয়, এদিন শুক্রবার ধান ঝাড়াতে দেখা গেল কীর্তি আজাদকে। বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হলেন কীর্তি আজাদ।

বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কীর্তি আজাদের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তিনি জোর কদমে প্রচার করেছেন। নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার চালাচ্ছেন কীর্তি আজাদ। কীর্তি আজাদও ভোট প্রচারে একাধিক চমক দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গরমে রোজ দই খাচ্ছেন? তলে তলে বাড়ছে না তো ইউরিক অ‍্যাসিড? জেনে নিন

কখনও তিনি খেলার মাঠে ব্যাট হতে ক্রিকেট খেলেছেন আবার কখনও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে নেচেও তাক লাগিয়েছেন। কীর্তি আজাদ নিজে একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেই হিসেবে তিনি খুদে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন। আবার কখনও ভোট প্রচারে বেরিয়ে বর্ধমানের জনপ্রিয় মিষ্টি শক্তিগরের ল্যাংচা ভাজতেও দেখা গিয়েছে কীর্তি আজাদকে।

সেরকমই এদিন ভোট প্রচারে বেরিয়ে ধান ঝেড়ে চমক দিলেন তৃণমুল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এদিন শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারী ২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার কর্মসূচী ছিল কীর্তি আজাদের। সেরকমই মেমারি ব্লকে প্রচার চলাকালীন মেমারি ২ ব্লকের বিটরা গ্রামের শীতলা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ধান ঝাড়েন কীর্তি আজাদ।

হাতে খড়ের আঁটি নিয়ে পা দিয়ে মেশিন চালিয়ে ধান ঝাড়তে দেখা যায় কীর্তি আজাদকে। এদিন কীর্তি আজাদের প্রচার অভিযানে দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাও ছিল চোখে পড়ার মত।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী