ভোটের আগে মানুষের মন বোঝার চেষ্টা, ফের বড় চমক দিল তৃণমূল

কলকাতা: লোকসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের অস্ত্র কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে ‘জনগর্জন’ নামে প্রচারে তুলে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস।ইতিমধ্যেই এই নামে ব্রিগেড সভা হয়েছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় একাধিক সভা করেছেন। সূত্রের খবর, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রচারেও এই নাম ব্যবহার হবে।

তৃণমূল কংগ্রেসের এই প্রচার ইস্যু বিজেপি বিরোধিতায় কতটা প্রাসঙ্গিক? মানুষের মন যাচাইয়ে তাই জনগর্জন ওয়েবসাইট চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস।যেখানে লগ ইন করলে আট প্রশ্নের মাধ্যমে জনমত যাচাই করতে চলেছে শাসক দল।

প্রচারে ব্যবহৃত তথ্য বা যা দিয়ে মানুষের মত যাচাই করছে তৃণমূল কংগ্রেস তা হল-

১) বহিরাগতরা বারবার বাংলার সংস্কৃতির প্রতি তীব্র অসম্মান দেখিয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে আনা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

২) মিথ্যা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, বহিরাগতরা ষড়যন্ত্রমূলক কৌশল  এবং মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছে।

৩) ২০১৪ থেকে আবাস-চাকরি-স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং পরিকাঠামোগত বিষয়ে বহিরাগতরা একগুচ্ছ ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে যা আজও পূরণ হয়নি।

৪) দিল্লির জমিদাররা বাংলার বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প খাতে, রাজ্যের প্রায় এক কোটি ষাট লক্ষ কোটি টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রেখে দিয়েছে।

৫) কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ৫৯ লক্ষেরও বেশি ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের ৬৯১৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে।

আরও পড়ুন: বাড়িতে মিলেছিল লক্ষ লক্ষ টাকা! রাজ্যের আরও এক মন্ত্রীকে তলব করল ইডি

৬) আবাস যোজনার আওতায় ১১.৩৬ লক্ষ যোগ্য উপভোক্তার প্রাপ্য ৮১৪০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে।

৭) কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে বাংলার বকেয়া অধিকারের দাবি জানাতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মারধর করেছে দিল্লি পুলিশ।

৮) রাজনৈতিক কারণে বাংলা বিদ্বেষী মনোভাব রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে।জনসভার মঞ্চ থেকেও এই বিষয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ডিজিটাল মাধ্যমেও যাবতীয় তথ্য জনমত আকারে তারা গ্রহণ করছে।

এ ছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্প বিষয়ে জোরদার প্রচার চালানো হচ্ছে।শুধুমাত্র সভা, মিছিল করে নয়। ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচারে জোর দিচ্ছে শাসক দল। তাই জনমত যাচাইয়ে নামল তারা।