সাধারণ জ্ঞান একটি অত্যন্ত জরুরি তথ্য ভাণ্ডার যা আমরা যেমন জানি বই পড়ে বা পত্র পত্রিকা ঘেঁটে, তেমনই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাওয়া যায় অনেকে অজানা তথ্য। জানা অজানা জ্ঞান প্রায়শই অবাক করে।

Money: ভারতের প্রতিবেশী…! ‘এই’ দেশেই প্রথম চালু হয়েছিল কাগজের নোট! জানেন কেন একে ‘উড়ন্ত মুদ্রা’ বলা হয়? চমকে দেবে উত্তর!

সাধারণ জ্ঞান একটি অত্যন্ত জরুরি তথ্য ভাণ্ডার যা আমরা যেমন জানি বই পড়ে বা পত্র পত্রিকা ঘেঁটে, তেমনই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাওয়া যায় অনেকে অজানা তথ্য। জানা অজানা জ্ঞান প্রায়শই অবাক করে।
সাধারণ জ্ঞান একটি অত্যন্ত জরুরি তথ্য ভাণ্ডার যা আমরা যেমন জানি বই পড়ে বা পত্র পত্রিকা ঘেঁটে, তেমনই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাওয়া যায় অনেকে অজানা তথ্য। জানা অজানা জ্ঞান প্রায়শই অবাক করে।
তবে এই সব সাধারণ জ্ঞানমূলক তথ্যই অনেক সময়ই চাকরির পরীক্ষা থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দারুণ কাজে দেয়। নিজেদের সাধারণ জ্ঞান বাড়াতেও এই ধরণের তথ্য জানা জরুরি। আজ এই প্রতিবেদনে এমনই এক প্রশ্নের উত্তর ও এই সম্পর্কিত বিস্তারিত জ্ঞান জেনে নেওয়া যাক।
তবে এই সব সাধারণ জ্ঞানমূলক তথ্যই অনেক সময়ই চাকরির পরীক্ষা থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দারুণ কাজে দেয়। নিজেদের সাধারণ জ্ঞান বাড়াতেও এই ধরণের তথ্য জানা জরুরি। আজ এই প্রতিবেদনে এমনই এক প্রশ্নের উত্তর ও এই সম্পর্কিত বিস্তারিত জ্ঞান জেনে নেওয়া যাক।
আপনি কি জানেন, কোন দেশে প্রথম চালু হয়েছিল কাগজের টাকা? ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে প্রথম চালু হয় টাকার নোট? জানা যায়, ১৩ শতকের শুরুতে ভেনিসিয়ান বণিক মার্কো পোলো যখন চিনে পৌঁছেছিলেন, তখন সেখানে এমন অনেক জিনিস ব্যবহার করার প্রচলন ছিল, যা তাকে অবাক করেছিল। যেমন- বারুদ, কয়লা, চশমা এবং চিনামাটির বাসন।
আপনি কি জানেন, কোন দেশে প্রথম চালু হয়েছিল কাগজের টাকা? ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে প্রথম চালু হয় টাকার নোট? জানা যায়, ১৩ শতকের শুরুতে ভেনিসিয়ান বণিক মার্কো পোলো যখন চিনে পৌঁছেছিলেন, তখন সেখানে এমন অনেক জিনিস ব্যবহার করার প্রচলন ছিল, যা তাকে অবাক করেছিল। যেমন- বারুদ, কয়লা, চশমা এবং চিনামাটির বাসন।
তবে যে জিনিসটি তাঁকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছিল তা হল কাগজের মুদ্রার ব্যবহার। অর্থাৎ টাকার নোটের ব্যবহার। চেঙ্গিস খানের নাতি কুবলাই খান ১২০৬ সালে প্রয়োগ করেছিলেন এই মুদ্রা। মার্কো পোলো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি কী দেখছেন এবং কুবলাই খান কী আশ্চর্যজনক জিনিস চালু করেছেন।
তবে যে জিনিসটি তাঁকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছিল তা হল কাগজের মুদ্রার ব্যবহার। অর্থাৎ টাকার নোটের ব্যবহার। চেঙ্গিস খানের নাতি কুবলাই খান ১২০৬ সালে প্রয়োগ করেছিলেন এই মুদ্রা। মার্কো পোলো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি কী দেখছেন এবং কুবলাই খান কী আশ্চর্যজনক জিনিস চালু করেছেন।
উল্লেখ্য, এই কাগজ নোট প্রথম চিনে উদ্ভাবিত হয়েছিল। ইতিহাসবিদদের মতে, টো১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চিনে টাকার নোটের কাগজ প্রথম আবিষ্কৃত হয়। হান রাজবংশের সময়কালে এটি ঘটেছিল। চিনের বাসিন্দা “কাই লুন” আবিষ্কার করেন এই কাগজ।
উল্লেখ্য, এই কাগজ নোট প্রথম চিনে উদ্ভাবিত হয়েছিল। ইতিহাসবিদদের মতে, টো১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চিনে টাকার নোটের কাগজ প্রথম আবিষ্কৃত হয়। হান রাজবংশের সময়কালে এটি ঘটেছিল। চিনের বাসিন্দা “কাই লুন” আবিষ্কার করেন এই কাগজ।
কাগজগুলিকে বিভিন্ন আকারে কাটা হত।চিনে বিশেষ রঙের তৈরি কাগজকে বিভিন্ন আকারের টুকরো করে কাটা হতো। এইগুলি তখন নোট হিসাবে জারি করা হয়েছিল। নিয়ম ছিল কর্মকর্তাদের তাদের নাম লিখতে হবে এবং প্রতিটি নোটে সীলমোহর দিতে হবে।
কাগজগুলিকে বিভিন্ন আকারে কাটা হত।
চিনে বিশেষ রঙের তৈরি কাগজকে বিভিন্ন আকারের টুকরো করে কাটা হতো। এইগুলি তখন নোট হিসাবে জারি করা হয়েছিল। নিয়ম ছিল কর্মকর্তাদের তাদের নাম লিখতে হবে এবং প্রতিটি নোটে সীলমোহর দিতে হবে।
কুবলাই খান কর্তৃক নিযুক্ত প্রধান কর্মকর্তা তার হাতে দেওয়া সিলমোহরে সিঁদুর লাগিয়ে কাগজে ছাপ দিতেন, যাতে সিলের আকৃতি লাল রঙে ছাপিয়ে থাকে। কেউ এটি জাল করার চেষ্টা করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান দেওয়া ছিল।
কুবলাই খান কর্তৃক নিযুক্ত প্রধান কর্মকর্তা তার হাতে দেওয়া সিলমোহরে সিঁদুর লাগিয়ে কাগজে ছাপ দিতেন, যাতে সিলের আকৃতি লাল রঙে ছাপিয়ে থাকে। কেউ এটি জাল করার চেষ্টা করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান দেওয়া ছিল।
কোন গাছের ছাল দিয়ে কাগজটি তৈরি করা হয়েছিল। তুঁত গাছের ছাল থেকে এই কাগজের মুদ্রা তৈরি করা হয়েছে। এটি 'উড়ন্ত মুদ্রা' নামে পরিচিত ছিল কারণ এটি বাতাসে উড়তে পারে। অবাক লাগলেও একথা সত্যি যে ১৭ শতকে ইউরোপ এটি ব্যবহার শুরু করার আগে চিনারা কাগজের মুদ্রা ব্যবহার করেছিল ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
কোন গাছের ছাল দিয়ে কাগজটি তৈরি করা হয়েছিল। তুঁত গাছের ছাল থেকে এই কাগজের মুদ্রা তৈরি করা হয়েছে। এটি ‘উড়ন্ত মুদ্রা’ নামে পরিচিত ছিল কারণ এটি বাতাসে উড়তে পারে। অবাক লাগলেও একথা সত্যি যে ১৭ শতকে ইউরোপ এটি ব্যবহার শুরু করার আগে চিনারা কাগজের মুদ্রা ব্যবহার করেছিল ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
ভারতে প্রথম কাগজের নোট কখন প্রকাশিত হয়েছিল?ভারতে প্রথম কাগজের নোট ১৮৬২ সালে ব্রিটিশরা জারি করেছিল। তাতে ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়ার ছবি ছিল। ১৯৩৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার প্রথম মুদ্রা মুদ্রণ করে। পাঁচ টাকার নোটে রাজা জর্জের ছবি ছিল। ১৯৯৬ সালে আরবিআই নোটগুলিতে পরিবর্তন এনেছিল। এরপর থেকে নোটগুলিতে মহাত্মা গান্ধির ছবি ব্যবহার করা শুরু হয়।
ভারতে প্রথম কাগজের নোট কখন প্রকাশিত হয়েছিল?
ভারতে প্রথম কাগজের নোট ১৮৬২ সালে ব্রিটিশরা জারি করেছিল। তাতে ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়ার ছবি ছিল। ১৯৩৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তার প্রথম মুদ্রা মুদ্রণ করে। পাঁচ টাকার নোটে রাজা জর্জের ছবি ছিল। ১৯৯৬ সালে আরবিআই নোটগুলিতে পরিবর্তন এনেছিল। এরপর থেকে নোটগুলিতে মহাত্মা গান্ধির ছবি ব্যবহার করা শুরু হয়।
স্বাধীন ভারত ১৯৪৯ সালে প্রথম ব্যাঙ্কনোট জারি করে। এটা ছিল এক টাকার নোট। ভারতে চারটি জায়গায় নোট ছাপানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে শালবনি, মহীশূর, নাসিক এবং দেওয়াস।
স্বাধীন ভারত ১৯৪৯ সালে প্রথম ব্যাঙ্কনোট জারি করে। এটা ছিল এক টাকার নোট। ভারতে চারটি জায়গায় নোট ছাপানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে শালবনি, মহীশূর, নাসিক এবং দেওয়াস।