নজরে সংগঠন, বাছাই লোকসভা আসন নিয়ে অভিষেকের বৈঠক

Abhishek Banerjee: নজরে সংগঠন, বাছাই লোকসভা আসন নিয়ে অভিষেকের বৈঠক

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: লোকসভা ভোটে নজরে সংগঠন। আজ, বুধবার থেকে সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ লোকসভা আসন নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন।শুরু হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা দিয়ে। আজ এই লোকসভার দুই বিধানসভা নিয়ে হবে বৈঠক। এই লোকসভায় লিড বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন অভিষেক। আবার তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারছে না বলে কটাক্ষ করছেন। ভোট পরিচালনা নিয়েই হবে এই বৈঠকগুলি।

ডায়মন্ড হারবার ছাড়াও দার্জিলিং, কোচবিহার, বোলপুর, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। এই লোকসভা আসনের মধ্যে ৫ আসন। দার্জিলিং, কোচবিহার, ঝাড়্গ্রাম, মালদহ উত্তর ও দক্ষিণে লোকসভায় হেরে যায় তৃণমূল। বিধানসভায় দার্জিলিং ও কোচবিহার লোকসভার মধ্যে থাকা বিধানসভাতেও ফল খারাপ।

আরও পড়ুন- আজ বসিরহাটে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতিতে ‘না’, ‘জঙ্গলরাজ চলছে’ ! তোপ শুভেন্দুর

জোট না হওয়ায় মালদহ উত্তর ও দক্ষিণে লোকসভায় ভোট ভাগাভাগি হবে। সংখ্যালঘু ভোট এখানে বড় ফ্যাক্টর। যা কংগ্রেস গণি পরিবারের আবেগ কাজে লাগাতে পারে। এ ছাড়া মালদহের মতো জেলায় নেতাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।

ঘাটাল লোকসভা জেতা আসন। বিধানসভায় ফল ভাল। একমাত্র ঘাটাল বিধানসভা ছাড়া। এখানে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। অবস্থা এমন হয়েছিল যে দেব লড়াই করতে চাননি। মমতা-অভিষেক ওকে বোঝায়। শঙ্কর দলুইকে দায়িত্ব থেকে সরালেও নীচু তলায় বিশেষ করে বুথ স্তরে যেন সমস্যা না থাকে। হিরণকে নিয়ে এই আসনে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন– শরীরের ‘অবাঞ্ছিত’ চুল কাটতে গিয়ে কোমায়! চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৪ শতাংশ’, তার পর?

ঝাড়গ্রাম বিধানসভা ভোটে দারুণ রেজাল্ট। কিন্তু বারবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বলতে শোনা গেছে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে নেতাদের সঙ্গে একাধিক জায়গায় দূরত্ব হয়েছে। প্রচুর নেতা আর তাদের নানা লবি।বোলপুর-বীরভূম কেষ্ট মণ্ডল যতদিন দেখতেন ততদিন সে অর্থে মাথা ঘামাতে হত না দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। অনুব্রত বিহীন অবস্থায় বারবার বিব্রত হতে হয়েছে। কোর কমিটি আছে। তবে ভোট পরিচালনায় আরও দক্ষতা প্রয়োজন বলে দল মনে করেছে। এ ছাড়া একের পর এক নেতাকে তলব। দূর্নীতি ও বগটুই ইস্যুর মোকাবিলায় প্রচারে জোর কিভাবে দেওয়া হবে। তা নিয়ে ফের বার্তা দিতে চায়। এ ছাড়া কাজল বনাম বাকিরা যেন না ঘটে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে। সেদিকেও নজর। দার্জিলিং পাহাড়ের তিন আসনে নিয়ন্ত্রক হিসাবে অনীতের ওপর ভরসা রাখছে তৃণমূল। সমতলের চোপড়া বাদে বাকি তিন আসনে লিড বা জোরদার লড়াই চায় জোড়াফুল শিবির। তাই দার্জিলিং নিয়ে বিশেষ কৌশল।

কোচবিহার তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। নিশীথের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচারে গিয়েছে তারা। কিন্তু বুথের নেতাদের বাড়ি বাড়ি রোজ পাঠাতে হবে। অন্তত ভোটের আগে শেষ ১৫ দিন। নিজেদের দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে যেন তারা সেই কাজ করে। তা ছাড়া বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চায় তারা। তাই এই বৈঠক।