দু'টি চারচাকা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ

Hooghly News: গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ ঝিমুনি চালকের…! নেতার ভাইপো ও অফিসারের গাড়ির মুখোমুখি ভয়ানক সংঘর্ষ! তারপর…

হুগলি: দু’টি চারচাকা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ! দুমড়ে মুচড়ে যায়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়ার বিবেকানন্দ রোডের। সময় মতো গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলেছিল বলেই প্রাণে বাঁচলো আবগারি আধিকারিক-সহ তিন ব্যক্তি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ১২টা নাগাদ চুঁচুড়া বিবেকানন্দ রোডে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দু’টি চার চাকা গাড়ির। একটি গাড়িতে ছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্তের ভাইপো রোশন দত্ত। তিনি তাঁর অসুস্থ বাবা গৌতম দত্তকে কলকাতার হাসপাতাল থেকে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। পিপুলপাতির দিক থেকে কারবালার দিকে যাচ্ছিল রোশনের গাড়িটি।

অন্য আরেকটি গাড়ি হুগলির মোড় থেকে চুঁচুড়ার দিকে যাচ্ছিল। যে গাড়িটিতে ছিলেন আবগারি দফতরের চন্দননগরের সুপারিনটেনডেন্ট কৌশিক মিত্র। এইচআইটি কলেজের সামনে দুটটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আবগাড়ির চালক রাজু তালুকদার ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তাঁকে ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট জানান, তাঁর চালক দোলের ছুটি কাটিয়ে আজ ভোর বেলায় দিঘা থেকে ফিরেছেন। ফিরেই তিনি ডিউটি জয়েন করেন। গাড়ি চালানোর সময় তাঁর চোখ লেগে যাচ্ছিল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি একবার চোখে জল দেন। এরপর আবার গাড়ি চালাতে শুরু করেন।

এইচআইটি কলেজের সামনে তাঁর চোখ বুজে যেতেই লেন পাল্টে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারেন। দুর্ঘটনার অভিঘাতে এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেন রোশন দত্ত। আবগারি আধিকারিকের পায়ে চোট লাগে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ এবং চন্দননগর ট্রাফিক পুলিশ আহতকে হাসপাতালে পাঠায়। গাড়ি দু’টিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘দিদার হাতে ভাতে ভাত আর… আহা!’ বচ্চনদের হেঁসেলেও রাজ করছে মধ্যবিত্ত বাঙালির পদ, কী কী রাঁধেন জয়া? জানালেন নাতনি

এই বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, তাঁর ভাইপোর গাড়িতে এয়ারব্যাক থাকার কারণে আজ তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। না হলে যেভাবে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে গাড়িতে এয়ারব্যাগ না থাকলে আরও খারাপ কিছু ঘটে যেত। কাউন্সিলরের আক্ষেপ, গাড়ির চালক একদিন ছুটি নিলে এই  ঘটনাটা ঘটত না। এইভাবে জীবন বিপন্ন করে তাঁর কাজে যোগ দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি।

রাহী হালদার