লাইফস্টাইল Weight Loss Tips: লেবু-মধুর জল ডাহা ফেল! এক চুমুকেই মোমের মতো গলবে মেদ! দিন শুরু করুন ‘এই’ সবুজ পানীয় দিয়ে, খেলেই ‘মিরাকেল’… Gallery March 27, 2024 Bangla Digital Desk গরমে সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভাল। এর মধ্যে অন্যতম হল শসা। আর গরমকালে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকার৷ কারণ এতে জলের পরিমাণ বেশি, যা আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে। তবে শুধু শসা নয়, শসার রসও খাওয়াও শরীরের জন্য ভীষণ উপকার। শসার রসে অনেক ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে এবং এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এটি খেলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং স্থূলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব তাড়াতাড়ি। লখনউয়ের রিজেন্সি হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী জানিয়েছেন, শসার রস পান করলে শুধু স্থূলতা নয় বরং অনেক রোগ থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়৷ ডায়েটিশিয়ান রিতু ত্রিবেদী বলেছেন যে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের অবশ্যই শসার রস পান করা উচিত। আসলে, শসার রস স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর উপাদানে পূর্ণ। এতে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জলের কারণে এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শসার রস কম ক্যালরির জুস। এছাড়াও, এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি এক ধরণের প্রাকৃতিক বিপাক বৃদ্ধিকারী উপাদান, তাই এটি ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। এটি প্রতিদিন খেলে হু হু করে ওজন কমতে শুরু করবে৷ শসার রসে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপকে খুব কম বা খুব বেশি হতে বাধা দেয়। ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ কমায় এবং ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যে শসার বীজ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা রক্তচাপকেও প্রভাবিত করে। ডায়েটিশিয়ানের মতে, শসা ভিটামিন কে এবং সিলিকার ভাল উৎস। এই দুটিই স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য। উপরন্তু, শসার রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকে কম লালভাব এবং ফোলাভাব দেখা দেয়। চোখের জন্য দারুণ উপকারী শসা৷ বিউটি পার্লার বা স্পাতে ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট নেওয়ার সময় চোখের উপর শসার টুকরো দেওয়া হয়। এটি করা হয় কারণ এটি চোখের শীতলতা প্রদান করে। ফোলা কমায়। শসা চোখের স্বাস্থ্য বাড়ায়। শসার রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ রেটিনার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।