আজ থেকে উত্তরবঙ্গে মমতা

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ভরসা পেলেন চা শ্রমিকরা, আপাতত আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন তাঁরা

চালসা: উত্তরবঙ্গের চা-বাগানের ১০ লক্ষ শ্রমিক ভুগছিলেন অনিশ্চয়তায়৷ তৈরি হয়েছিল তাঁদের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাও৷ সেই কারণেই আন্দোলনের পথে যাবেন ভেবেছিলেন উত্তরবঙ্গের চা-বাগানের কর্মীরা৷ তবে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আশ্বস্ত হলেন তাঁরা৷ আপাতত তাই আন্দোলনের পথ থেকেও আপাতত সরে আসছেন চা-শ্রমিকরা৷

আপাতত উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন সকালে চালসায় একাধিক কর্মসূচি ছিল তাঁর৷ সেখানেই সর্বভারতীয় ক্ষুদ্র চা-চাষীদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই একটি বিশেষ কারণের কথা উল্লেখ করা হয়৷ বলা হয়, ২০১৫ সালে কেন্দ্র কিছু নির্দেশ দিয়েছিল৷ সেখানে বলা হয়েছিল, চায়ের পাতায় কিছু পোকামাকড় আক্রমণ করে৷ সেই আক্রমণ থেকে চা-পাতা বাঁচাতে বিশেষ ধরনের কিছু কীটনাশক ব্যবহার করা হয়৷ যে কারণে চা পাতা মানবশরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়৷ এই সতর্কতা দিয়ে বিভিন্ন চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলিকে এই কীটনাশক প্রয়োগ করা চা কিনতে নিষেধ করে কেন্দ্র৷

আরও পড়ুন:   বহরমপুরে হারলে রাজনীতি ছাড়বেন, মমতাকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ঘোষণা অধীরের

আরও পড়ুন– ‘ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলকে হারাব, এক লক্ষ বিজেপি কর্মী ময়দানে থাকবে…’! হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর

এই ঘটনার কারণে, উত্তরবঙ্গের প্রায় ১০ লক্ষ চা শ্রমিকের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়৷ সেই বিষয়ে লাগাতার আন্দোলনে মানার পরিকল্পনা নেয় চা শ্রমিকদের সংগঠন৷ সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয়, সব চা বাগান বন্ধ করে দেওয়া হবে পাশাপাশি, জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে জানা, ‘আমি অনুরোধ জানালাম যেন কাজ বন্ধ না করে কাজ করে যাওয়া হয়৷ কেন এই সমস্যা হয়েছে, সেটি নিয়ে নির্বাচন মিটলে বৈজ্ঞানিকরা দেখবেন৷ আমার আবেদন এঁদের একটা সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া হোক৷ যে বটোলিক প্ল্যান্ট রয়েছে সেখানে যেন এদের চা পাতা কেনা বন্ধ না করা হয়৷’

বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংগঠনের নেতৃত্ব বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের একটা চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল৷ কাল থেকে সব চা বাগান বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল৷ জাতীয় সড়কে বসে পড়ার কথা হয়েছিল৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে বললেন, আশা করি কাল থেকে চা পাতা নেবেন৷ আগামিকাল থেকে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি৷ টি বোর্ডকে জানিয়েছি৷ এগুলো চক্রান্ত হতে পারে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পকে আটকানোর জন্য৷’