কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা রিপোর্ট কার্ড এবার রাজ্য সরকারের। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তৈরি করা হল পাল্টা রিপোর্ট কার্ড। রাজ্যপালের ভূমিকা ও আইনি ক্ষমতা নিয়ে রিপোর্ট কার্ড তৈরি রাজ্যের। “আচার্য তার ক্ষমতা পালনে ব্যর্থ। অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে স্থায়ী উপাচার্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা বাধ্যতামূলক। রাজ্যপাল তা মানছেন না।”
রাজ্যের তরফে তৈরি রিপোর্ট কার্ড একথাই উল্লেখ করেছেন। “আচার্যর ভূমিকা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে শুধু নয়, অনেক ছাত্র ছাত্রীদের পিছনে ফেলে দিচ্ছে।” রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের কড়া নিন্দা রাজ্যের রিপোর্ট কার্ডে।
আরও পড়ুন: তুঙ্গে IPL-এর উত্তেজনা, তার মধ্যে মৃত্যু তারকা ক্রিকেটারের! বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ বছর
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। ব্রাত্য বসুর সেই পদক্ষেপ নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে অভিযোগ ওঠে।
এই আবহে এবার ব্রাত্যতে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পালটা গোটা বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তাইওয়ান-চিনের পর এবার ভারত, হিমাচল-কাশ্মীরে বড় ভূমিকম্প! আরও বড় বিপর্যয় আসছে?
এই বিষয়ে রাজভবনের তরফে জানান হয়েছে, ৩০ মার্চ ব্রাত্য বসুর নেতৃত্ব ও উপস্থিতিতে অন্যান্য মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদ ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বৈঠকের কারণে আচার্য তথা রাজ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনকারী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যার মধ্যে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোও যেন সামিল থাকে। রাজ্যপাল বলেছেন, ‘আপনি যতই উঁচুতে থাকুন না কেন, আইন আপনারও উপরে।’ এবার তাই রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও পাল্টা রিপোর্ট কার্ড তৈরি রাজ্যের।