লাইফস্টাইল Excessive Sweating Reasons: ঘুমের মধ্যে দরদরিয়ে ঘামছেন? এসি-ফ্যান চালানোর পরও জামা ভিজে যাচ্ছে? সাবধান…! ‘এই’ বিপজ্জনক রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই সর্বনাশ! Gallery April 7, 2024 Bangla Digital Desk গরম কালে ঘাম হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার, কিন্তু রাতের বেলা ফ্যান কিংবা এসি চালু থাকা পরও যদি আপনার কাপড় ঘামে ভিজে যায়, তাহলে তা বিপজ্জনক রোগের লক্ষণ হতে পারে। কোন কোন রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। অনেকেই বলেন যে, ঘুমানোর সময় তারা প্রচুর ঘামেন। এ কারণে বারবার উঠে পোশাক বদলাতে হয় তাদের। আর রাতের ঘুম ভাল না হলে সকালে ক্লান্ত বোধ হয় শরীরে। যদিও ঘাম হওয়া কোনও চিকিৎসা সমস্যা নয়, কিন্তু যখন অতিরিক্ত ঘাম হয় বা এসি বা কুলারের ঘরেও এই সমস্যা থেকে যায়, তখন অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। হেলথলাইনের মতে, অনেক সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত গরমের সমস্যা হয়। মেনোপজের সময়, মহিলারা প্রায়শই গরমের সমস্যায় ভোগেন যা অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া এইচআইভি, যক্ষ্মা, ছত্রাকের সংক্রমণ, হাড়, হার্টে কোনও ধরনের সংক্রমণ হলে অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণও দেখা যায়। অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণ হাইপারহাইড্রোসিসেও দেখা যায়। এতে, একজন ব্যক্তি সারাক্ষণ ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং মেজাজ পরিবর্তনের সমস্যার সাথে লড়াই করে। অতিরিক্ত ঘামের কারণে মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং দৈনন্দিন জীবনে সমস্যায় পড়েন। হাইপোগ্লাইসেমিয়া একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা যাতে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যায় এবং এর কারণে বিশেষ করে রাতে প্রচুর ঘাম হয়। আপনার যদি টাইপ ১ বা টাইপ ১ ডায়াবেটিস থাকে তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও এমনটা হতে পারে। রাতে অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণ গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজে (GERD) দেখা যায়। এই রোগে খাওয়ার পর পেটে জ্বালাপোড়া, বুকে ব্যথা, গিলতে অসুবিধা, ঘুমাতে অসুবিধা, হাঁপানি ইত্যাদি উপসর্গও দেখা যায়। স্লিপ অ্যাপনিয়া এমন একটি অবস্থা যার কারণে রাতে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং কখনও কখনও একজন ব্যক্তির কিছু সময়ের জন্য শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সাধারণত ঘটে যখন একজন ব্যক্তির শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ কারণে রাতে ঘুমানোর সময় শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হতে থাকে। এছাড়াও অনেক স্নায়বিক রোগ রয়েছে যার প্রাথমিক লক্ষণ হল রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। যেমন হার্ট স্ট্রোক, অটোনমিক ডিসরেফ্লেক্সিয়া ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, একে ক্যানসারের লক্ষণ হিসেবেও দেখা হয়। সুতরাং রাতে অতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই একবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন এবং এর সমাধান জেনে নিন।