দোল খাচ্ছে শাকচুন্নি, পাশে দাঁড়িয়ে মামদো ভুত! দেখলেই গায়ে কাঁটা দেবে এই ‘জীবন্ত বারোয়ারি’

Bankura News: দোল খাচ্ছে শাকচুন্নি, পাশে দাঁড়িয়ে মামদো ভুত! দেখলেই গায়ে কাঁটা দেবে এই ‘জীবন্ত বারোয়ারি’

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার লোক সংস্কৃতিতে প্রতিদিন কিছু না কিছু আমরা নিত্যনতুন জিনিস দেখতে পাই। এই সংস্কৃতির বিশেষ অঙ্গ হল পুতুল, কাঠের পুতুল,মাটির পুতুল কিংবা মোমের পুতুল।

এবার তার পরিবর্তে বাঁকুড়ায় জীবন্ত পুতুল দেখা গেল। আগে দেখেছেন কি? এই উৎসবের পোশাকি নাম ‘জীবন্ত বারোয়ারি’। কেউ কেউ আবার জ্যান্ত বারোয়ারি নামেও চেনেন।

আরও পড়ুন: ধর্মেন্দ্র-জিতেন্দ্র-সঞ্জীব নয়, এই নায়ককে জামাই করতে চেয়েছিলেন হেমা মালিনীর মা! অভিনেতার সঙ্গে ছবিও করেছেন ড্রিম গার্ল? জানেন কে তিনি?

বিগত বছর দশক ধরে বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের কাঁটাপাল গ্রামের ছেলেরা এই জীবন্ত বারোয়ারি করে আসছে। মূলত গ্রামবাংলাতেই এই সমস্ত ঐতিহ্যবাহী বিষয়বস্তু এখনও প্রচলিত রয়েছে।

গ্রামীণ মেলাগুলিতে মাটির পুতুলের পরিবর্তে জীবন্ত মানুষ এই মাটির পুতুল হিসেবে ভান করে দাঁড়িয়ে থাকে। দাঁড়িয়ে থেকে কিছু বিশেষ বার্তা পোঁছে দেওয়া হয় মেলার দর্শনার্থীদের। কখনও পৌরাণিক দৃশ্য আবার বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তাও দেওয়া হয়। ফুটে ওঠে ভৌতিক দৃশ্য পর্যন্ত।

এই সব কিছু করা হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য। নিজেরা প্রায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে কোনও কথা না বলেই। গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এটা একটা কৌতূহলের বিষয়। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পুতুল নাচ, পুতুল সেজে প্রদর্শন করার মতো শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল এর হাত ধরে জীবিত রয়েছে জীবন্ত বারোয়ারী। মানুষ উপভোগ করছেন এই উৎসব।

দু’দিন ব্যাপী এই বারোয়ারীতে ইতিমধ্যেই ভিড় চোখে পড়ার মত। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে বিনোদন বলতে মেলা, যাত্রা এবং বারোয়ারী উৎসবকেই বোঝায়। সেই কারণেই প্রতিবছর জীবন্ত বারোয়ারী অপেক্ষায় থাকেন কাঁটাপাল তথা রাইপুরের মানুষ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী