লকেটকে প্রাক্তন করার চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

Abhishek Banerjee challenges Locket Chatterjee: প্রাক্তন সাংসদের প্যাডটা ছাপিয়ে রাখুন! হুগলিতে দাঁড়িয়েই লকেটকে ‘পরামর্শ’ অভিষেকের

সিঙ্গুর: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে গোটা রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ নাম না করেই হুগলির সাংসদ এবং এবারের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এই চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু তাই নয়, অভিষেকের দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির যা ফল হয়েছিল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তার থেকেও শোচনীয় ফল হবে৷

এ দিন হুগলি জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই বৈঠকের শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷

আরও পড়ুন: ‘বাংলায় এক নম্বর দল হবে বিজেপি!’ ভোটের আগেই বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

হুগলি জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আরামবাগ এবং শ্রীরামপুর তৃণমূলের দখলে রয়েছে৷ হুগলি কেন্দ্রে গতবার জয়ী হন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ এবারেও তিনিই প্রার্থী৷ লকেটকে হারিয়ে হুগলি দখল করতে এবার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল৷ আরামবাগেও বর্তমান সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে টিকিট না দিয়ে প্রার্থী বদল করা হয়েছে৷ কিন্তু তৃণমূলের পাখির চোখ হুগলিই৷ তবে এই কেন্দ্রে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বই তৃণমূল নেতৃত্বের অন্যতম মাথাব্যথা৷ এ দিন সেই কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েও অভিষেক লকেটকে প্রাক্তন সাংসদ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন৷

অভিষেক বলেন, কয়েকটা জায়গায় সাংগঠনিক সমস্যা রয়েছে, একথা ঠিক৷ কিন্তু দলীয় বৈঠকে কী হয়েছে সেটা তো বাইরে বলব না৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রতিটি জায়গাতেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়বে৷ যে কটি জায়গায় ছোট ছোট সমস্যা ছিল সেটা নিয়ে কথা বলেছি।  এটুকু বলতে পারি, হুগলি লোকসভায় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জিতব৷ যিনি ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির নাম করে আর অচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে জিতেছিলেন, তাঁকে শুধু বলব আপনি প্রাক্তন সাংসদের প্যাডটা ছাপিয়ে রাখুন৷

দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে থেকে তৃণমূল সাংসদ এবং নেতানেত্রীদের আটক করা নিয়েও এ দিন সরব হয়েছেন অভিষেক৷ এই ইস্যুতে তৃণমূল যে আন্দোলন চালিয়ে যাবে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অভিষেক৷ পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ এনআইএ-এর এসপি পদমর্যাদার অফিসার ধনরাম সিং-এর সঙ্গে বিাজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বৈঠকের অভিযোগ তুলে গত কয়েক দিন ধরে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ অভিযুক্ত এনআইএ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি তুলেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷ কমিশনের সদর দফতরের বাইরে গতকাল ধরনায় বসেন তৃণমূল নেতানেত্রীরা৷ সেখান থেকেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের জোর করে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷

এনআইএ আধিকারিকের সঙ্গে বিজেপি নেতার সাক্ষাতের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ফের নির্বাচন কমিশনের সময় চাইবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক৷ দল যে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি৷ রাজ্যপালও তৃণমূলের দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলে স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন অভিষেক৷

বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, আমরাই সব এটা ঠিক নয়। ২০২১ সালের থেকেও খারাপ পরিণতি হবে।

বিজেপি আসন নিয়ে যা বলেছে তা আর একটা জুমলা। গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছে। আপনি না লড়ে পিক অ্যন্ড চুজ করছেন। সিপিএমের অবস্থা দেখেছেন তো? কেউ কোনওদিন ভেবেছিল সিপিএম শূন্য হয়ে যাবে? বিজেপি নেতারা রাজ্যে ২৫ থেকে ৩৫টি আসন জয়ের দাবি করতে শুরু করেছেন৷ এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ৪২, ৫০টি আসন পাবে বলে দাবি করুক না৷ বিধানসভা নির্বাচনেও তো ২০০টি আসন পাবে দাবি করেছিল, পেয়েছে ৭০৷