জনসমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা

Loksabha Election 2024: নির্বাচনী প্রচারে কং-বাম জোট থেকে সাবধান থাকার বার্তা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার 

আগরতলা: “কংগ্রেস সিপিআইএমের অশুভ জোট থেকে সাবধান থাকতে হবে। তাদের এখন আর কোনও নীতি নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার শুধু মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল অংশের মানুষের উন্নয়নই এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেই দিশায় মানুষের জন্য নিরন্তর কাজ করছেন। ’’  আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতী সিং দেববর্মার সমর্থনে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ঋষ্যমুখে আয়োজিত নির্বাচনী জনসমাবেশে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ সোনাইছড়ি স্কুল মাঠে আয়োজিত এই নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে দিল্লিতে কার্যকারিণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় জনতা পার্টিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৩৭০টি আসনের টার্গেট দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য সহযোগী দলগুলিকে নিয়ে ৪০০ এর বেশি আসন পাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই দিশাকে সামনে রেখে সারা দেশেই ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাগণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। আমরাও রাজ্যের ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। মানুষকে বলতে হচ্ছে যে, আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাঠিয়েছেন।  সেই লক্ষ্যে আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আস্থা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন শক্তিশালী হয়েছে, আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি যেভাবে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন সেটা দেখে সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রনেতারা এখন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন।’’

নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন কি বাত অনুষ্ঠানে এসে মানুষের কথা বলেন। আর এটাই এখন সারা বিশ্বে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পৃথিবীর কোন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা এভাবে মন কি বাত অনুষ্ঠান করেন না। যা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী করে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ থেকে নিরাপদে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সেটা ইউক্রেন হোক কিংবা ইজরায়েলের যুদ্ধ ক্ষেত্র হোক। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশকে শক্তিশালী করছেন সেটা দেখে বিশ্বের রাষ্ট্র নেতারাও এখন তাঁকে সমীহ করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ প্রতিরক্ষার দিক থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। অথচ বিরোধীরা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইন্ডিয়া জোট করেছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সেই জোট ভেঙে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের জোট ব্যর্থ হচ্ছে। আর ত্রিপুরাতে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস সিপিএম হাত মিলিয়েছে। অতীতের খুন, সন্ত্রাসের কথা ভুলে গিয়েছে তারা। তাদের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী এক অদ্ভুত তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। বলছেন সময়ের কারনেই নাকি এখন কংগ্রেসকে সমর্থন দিতে হচ্ছে। অথচ মানুষ তাঁকে নিয়ে কী ভাবত। আজকে কিন্তু ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে গেছে।’’

আরও পড়ুন : পাতে রাখুন এই লিকলিকে সবুজ সবজি, একইসঙ্গে কমবে কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার! মেদ ভ্যানিশ হয়ে ঝরবে ওজন, থাকবেন সুস্থ ও সুন্দর

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ খুব সাবধানে এধরনের অশুভ জোট থেকে বাঁচতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তা করেন। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস এর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মানুষের জন্য কাজ করছেন তিনি। জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় এই সরকার। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কারণে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে ত্রিপুরা। তিনি আমাদের হিরা মডেল উপহার দিয়েছেন। এজন্য জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পরিষেবা, রেল যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ সব ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। তাই প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে এবং দেশকে উন্নতির দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।’’