আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দুইয়ে থাকা দল ফাইনালে ওঠার দুটি করে সুযোগ পাবে। এক ও দুই নম্বরে থাকা দল প্রথমে কোয়ালিফায়ার খেলবে। যে জিতবে সরাসরি ফাইনাল।

আইপিএল-এর জন্য সব হারালেন! শেষে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে শ্রীঘরে ক্যাশিয়ার!

রঘুনাথগঞ্জ: আইপিএল-এ জুয়ার বেটিং-এ বাজি রেখে শপিং মল থেকে লক্ষাধিক টাকা চুরি। শ্রীঘরে ঠাঁই হল শপিং মলের হেড ক্যাশিয়ারের।

২৫শে মার্চ রঘুনাথগঞ্জ থানার দরবেশপাড়ার একটি শপিং মল থেকে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা চুরি যায়। লকার ভেঙে নগদ টাকা চুরি করা হয়। মল কর্তৃপক্ষের নজরে ঘটনাটি আসতেই রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযোগের ভিত্তিতে শপিং মলের বর্তমান ও প্রাক্তন দুই ম্যানেজার এবং হেড ক্যাশিয়ার প্রবীর হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরই প্রবীর হালদারের কাছ থেকে চুরি যাওয়া প্রায় ৬ লক্ষ ৩২হাজার টাকা-সহ বেশ কিছু ইলেট্রনিক্স গেজেট পুলিশ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন- টি২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে বড়সড় চমক! ‘এই’ তারকা ক্রিকেটারের জায়গা পাকা

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবীর হালদার নিয়মিত আইপিএল ম্যাচে জুয়া খেলতেন। এর আগে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন প্রবীর। সেখানেও টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি আইপিএল-এ জুয়ার বেটিং-এ প্রচুর টাকা বাজি রেখে হেরে যান প্রবীর। মল থেকে টাকা চুরি করার দুদিন আগে প্রবীর হালদার কালেকশনের কোনো টাকা ব্যাঙ্কে জমা করেননি। সমস্ত টাকা ভল্টের মধ্যে করে তালা ছাড়াই একটি আলমারিতে রেখে চাবি মলের ম্যানেজারকে দিয়ে চলে যান।

২৫শে মার্চ রাতে মলের পিছনের দিকের একটি শাটার খুলে ভিতরে ঢুকে আলমারি থেকে টাকা চুরি করেন। সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ কেটে তার, হার্ড ড্রাইভ পিছনের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

চুরি করা টাকা ঔরঙ্গাবাদে নিজের শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। পরিবারের লোকদের বলে ওই টাকা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই টাকা সামশেরগঞ্জ থানার দুর্গাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি রেখে আসে।

আরও পড়ুন- ‘একটা লবি বিরাট কোহলির সঙ্গে রাজনীতি করছে’, ভয়ঙ্কর দাবি, হইচই ভারতীয় ক্রিকেটে

পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে সমস্ত টাকা উদ্ধার করে। তবে চুরি যাওয়া টাকার মধ্যে ৮৩হাজার টাকা পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশি জেরায় প্রবীর হালদার স্বীকার করেন, তিনি চুরি করেছিলেন। বাকি টাকা আইপিএল-এ জুয়া খেলেছেন। পুলিশ হেফাজতের আবেদন চেয়ে বুধবার ধৃত প্রবীর হালদারকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।