কলকাতাঃ ইনস্টাগ্রামে ‘মহিলা’ সেজে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেলিং, দোষীর হল ৪ বছরের কারাবাস এবং ৬ লক্ষ জরিমানা। মেয়েটি নাবালিকা, ক্লাস এইটের ছাত্রী। বাসিন্দা কালিম্পঙয়ের। এক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ২০২২ সালে তাঁর আলাপ হয় আর এক মহিলার সঙ্গে। মহিলার সোশ্যাল মিডিয়া অনুসারে মহিলা সুইডেনের নাগরিক। নাবালিকার সঙ্গে এই মহিলার আলাপ ক্রমে গভীর হয়। নিজের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ওই মহিলার সঙ্গে শেয়ার করে নাবালিকা।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় মেট্রো স্টেশনের টয়লেট-দোকানগুলিতে এবার বিরাট সুবিধা! লাখ-লাখ যাত্রীর চিন্তা শেষ
কিছুদিন পরে হঠাৎই ওই মহিলা জানান, তিনি আদৌ মহিলা নন। তিনি আসলে পুরুষ। তাঁর সুইডেননিবাসী এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তিনি কিছুদিন ধরে ব্যবহার করছেন বান্ধবীর থেকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড নিয়ে।নাবালিকা মেয়েটি তো সব শুনে আকাশ থেকে পড়ল। এবং এর পর শুরু হল ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ভয় দেখানো এবং টাকা চাওয়া। না দিলে ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। ইনস্টাগ্রামে ওই অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দিয়েও রেহাই মিলছিল না, একাধিক আইডি থেকে চলছিল ব্ল্যাকমেলিং। নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল আতঙ্কে।
ইনস্টাগ্রামে ‘মহিলা’ সেজে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেলিং, দোষীর ৪ বছরের কারাবাস, ৬ লক্ষ জরিমানা
মেয়েটি নাবালিকা, ক্লাস এইটের ছাত্রী। বাসিন্দা কালিম্পঙয়ের। ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে ২০২২ সালে মেয়েটির আলাপ হয় এক মহিলার সঙ্গে।.. (১/৭)
— West Bengal Police (@WBPolice) April 15, 2024
নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয় ইনফর্মেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট, POCSO (Protection of Children from Sexual Offences) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায়। কালিম্পং পুলিশের সাইবার থানার আই.সি রাজকুমার মালাকারের উপর দায়িত্ব পড়ে তদন্তের।
প্রযুক্তি-প্রহরার মাধ্যমে দ্রুতই রাজকুমার চিহ্নিত করেন অভিযুক্তকে। যাঁর নাম অশ্বিনী চতুর্বেদী, বয়স ২৩, বাড়ি ছত্তিশগড়ের দুর্গ জেলায়। এই অশ্বিনীকে ছত্তিশগড়ের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে আনেন রাজকুমার এবং তাঁর সহকর্মীরা। খুব তাড়াতাড়িই জমা পড়ে চার্জশিট। মামলার রায় বেরিয়েছে দিনকয়েক হল। অপরাধীকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত। সঙ্গে ছয় লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানা।