ভয়ানক পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। দক্ষিণবঙ্গে আরও ৭ ডিগ্রি বাড়বে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম হটস্পট বাঁকুড়া। তাপপ্রবাহ, গরম হাওয়া এবং তীব্র রোদ এই তিন চক্রে জর্জরিত বাঁকুড়া। ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান , বীরভূম সহ বাঁকুড়াতে তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আরও বাড়বে তাপমাত্রা।শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পেরিয়ে গেল ৪২ ডিগ্রি। রেকর্ড তাপমাত্রা থাকবে বাঁকুড়ায় এদিন, রাজ্যে দ্বিতীয় উষ্ণতম এলাকা বাঁকুড়া, প্রথম স্থান অধিকার করে আছে পানাগড়। বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বাইরে যেতে নিষেধ উপদেশ দিচ্ছে প্রশাসন এবং চিকিৎসকেরা। তবুও সকাল ৯ টা থেকেই যেন জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের।আর্দ্রতারপরিমাণও সাধারণের চেয়ে সামান্য বেশি থাকায় ঘামের আকারে জল বেরিয়ে যাচ্ছে শরীর থেকে। ঘর্মাক্ত তীব্র গরমে একপ্রকার গৃহবন্দি হয়েছেন খেটে খাওয়া প্রান্তিক বাঁকুড়ার মানুষ। এই তীব্র গরম যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে জেলার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উপর।বয়স্ক মানুষদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে হুড়মুড়িয়ে। মানুষজন সকাল সকাল কাজ সেরে ঢুকে পড়ছেন ঘরের ভিতর। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। প্রচন্ড রোদে গরম হয়ে পড়ছে বাঁকুড়ার পথ এবং ভূপৃষ্ঠ। সেই তাপ জ্বলন্ত উনুনের মত ছড়িয়ে পড়ছে পরিবেশে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে গরম হাওয়া অর্থাৎ লু’এর প্রভাব।শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশ কিছুটা উপরে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বৃহষ্পতিবার থেকে একটু বেড়ে ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে। অতিবেগুনি রশ্মি পরিমাণ থাকবে সাধারণের চেয়ে অনেকটাই বেশি। এছাড়াও বায়ুর গুণগতমান ১০০ যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।সব মিলিয়ে বাঁকুড়ার গ্রীষ্মের আবহাওয়া একটু একটু করে বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত পরিস্থিতি চরমভাবাপন্ন বললে ভুল হবে না। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা বলাই বাহুল্য।
